ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নারী-শিশু নির্যাতন

চিত্রশিল্পীদের মানববন্ধন

প্রকাশিত: ০৪:১৭, ২ নভেম্বর ২০১৬

চিত্রশিল্পীদের মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে রাজপথে নেমেছেন চারুশিল্পীরা। দেশব্যাপী চলমান নারী ও শিশুর ওপর সহিংসতাকে ‘রুচির দুর্ভিক্ষ’ উল্লেখ করে শিল্পীরা সমাজে পরিবর্তন এনে নির্যাতিত নারী ও শিশুদের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার করেছেন। মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনের সড়কে বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদের ব্যানারে প্রতিবাদী মানববন্ধনে তারা এ অঙ্গীকার করেন। সে সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির, বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর এবং লুটপাটের ঘটনারও তীব্র নিন্দা জানান শিল্পীরা। প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন, চারুকলা অনুষদের অধ্যাপক ড. ফরিদা জামান, শিশির ভট্টাচার্য, শিল্পী কনকচাপা চাকমা, চারুশিল্পী সংসদের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কামাল পাশা চৌধুরী, অভিনেত্রী ও চিত্রশিল্পী বিপাশা হায়াত প্রমুখ। নিসার হোসেন বলেন, নারীর প্রতি চলমান এ সহিংসতাকে কতিপয় অমানুষের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়ন ও অগ্রাধিকারের বিষয়ে যখন আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, তখন এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। দেশে আইন আছে, কিন্তু আইনের প্রয়োগ নেই। তনু, মিতু হত্যায় পুলিশ বিচারকাজ নিয়ে রসিকতা করছে। মাসের পর মাস তনুর বাবা-মা বিচার চেয়ে যাচ্ছেন। আর সেই সুযোগে নরপিশাচরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। তিনি আরও বলেন, আমাদের বিবেককে চালিত করার অন্যতম মাধ্যম হলো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। সেই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ওয়াজে নারীর অধিকার-স্বাধীনতার বিরুদ্ধে কথা বলা হয়। এদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ করা উচিত। এছাড়াও ধর্ষণ পরীক্ষা পদ্ধতিরও সমালোচনা করেন এই শিল্পী। শিশির ভট্টাচার্য বলেন, অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ায় সামাজিক অবক্ষয় উত্তরোত্তর বাড়ছে। এই যে বিচারের দীর্ঘসূত্রতা, আমার কাছে এ কেবলই ‘টু পাইস’ কামানোর ধান্দা। এসব আমরা মানি না, এগুলো বন্ধ করে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে সেসব মামলার কার্যক্রম দ্রুত শুরু করতে হবে।
×