ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সেন্টমার্টিনে বালিয়াড়ি ধ্বংস করছে দালাল চক্র

প্রকাশিত: ০৪:১১, ২৮ অক্টোবর ২০১৬

সেন্টমার্টিনে বালিয়াড়ি ধ্বংস করছে দালাল চক্র

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে পরিবেশের ক্ষতি হয়- এমন কাজ সম্পূর্ণ নিষেধ থাকলেও তা বাস্তবে প্রয়োগ হচ্ছে না। সৈকতের বালিয়াড়ি থেকে প্রতিনিয়ত মাটি-বালু কেটে ভিটা ভরাট করছে কতিপয় দালাল। এক শ্রেণীর অসাধু ব্যক্তি (বহিরাগত)) সেন্টমার্টিনে জমি কিনে কিছু দালালের মাধ্যমে ভিটা উঁচু করাচ্ছে। ওসব দালাল টাকার বিনিময়ে রোহিঙ্গা শ্রমিক দিয়ে দিনে রাতে বালিয়াড়ি থেকে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এতে সৈকতপারে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি ছাড়াও নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য। ডিম দেয়ার সময় সাগর থেকে কূলে উঠে আসা বহু মা কাছিম ওসব গর্তে পড়ে মারা যায় বলে জানা গেছে। সেন্টমার্টিনে বিনা অনুমতিতে বালিয়াড়ি ধ্বংস করা হলেও ওই দালাল চক্রকে বাধা দেয়ার মতো যেন কেউ নেই। সচেতন মহল জানান, প্রতিবছর শীতকালে দলে দলে পর্যটক আসে সেন্টমার্টিনে। আবাসিক সঙ্কটের কারণে সকালে এসে অনেকে বিকেলে চলে গেলেও দ্বীপে থেকে যায় দেশী-বিদেশী বহু পর্যটক। পর্যটকদের স্থান করে দেয়ার উদ্দেশ্যে একাধিক ধনাঢ্য ব্যক্তি আবাসিক হোটেল গড়ে তুলছে সেন্টমার্টিনে। ওসব হোটেল-কটেজের বা ভিটা উঁচু করতে সৈকত থেকে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে দালাল চক্র। সেন্টমার্টিন দ্বীপে পরিবেশ অধিদফতরের লোকজনের মাঝে মধ্যেও দেখা মেলে না। বাধা প্রদানকারী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে কোন ধরনের চাপ প্রয়োগ নেই দেখে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ওই দুর্বৃত্তরা। তারা প্রকাশ্যে মাটি কেটে নিচ্ছে সৈকত থেকে। ওই দালালদের বাধা দিলে উল্টো মারমুখী হয়ে উঠে বলে জানান স্থানীয়রা। প্রভাবশালী জমি ক্রেতাদের ইন্ধনে সেন্টমার্টিনের কতিপয় ব্যক্তি পরিবেশের ক্ষতি হয়- এমন নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দিন দুপুরে সৈকতের মাটি এমনকি পাথরও উত্তোলন করে নিয়ে যাচ্ছে। রাবি ভর্তি পরীক্ষা ॥ কর্মচারী মুচলেকায় ছাড়া পেল রাবি সংবাদদাতা ॥ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে ভার্তিচ্ছুদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আরিফুল ইসলাম নামের বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ওই কর্মচারীকে ‘আই’ ইউনিটভুক্ত চারুকলা অনুষদে পরীক্ষা চলাকালে ধরা হলেও বুধবার রাতে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান জানান, অভিযুক্ত কর্মচারী আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। রাবির জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক অধ্যাপক মশিহুর রহমান জানান, আরিফুল ইসলামের গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় বুধবার বিকেল ৩টার দিকে তাকে বিভাগের অফিসে ডাকেন শিক্ষকরা। সেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তার মুঠোফোনে ভর্তি করিয়ে দেয়ার বিষয়ে টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া যায়। এছাড়া শাহীন নামের এক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী তাকে ফোন করে ভর্তিতে সহযোগিতার কথা বলে।
×