স্টাফ রিপোর্টার ॥ নির্বাচনের জন্য বিএনপি সব সময় প্রস্তুত বলে মন্তব্য করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। সরকারি দলের নেতারা বিএনপিকে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেয়ার জন্য যে সব কথা বলছেন তার সমালোচনা করে তিনি নির্বাচনের জন্য বিএনপির হাকডাক করে প্রস্তুতির দরকার নেই। এক দিন পর নির্বাচন হলেও বিএনপি ৩০০ আসনে প্রার্থী দিতে পারবে। তাতে প্রার্থী খোঁজা লাগবে না। তবে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার নির্বাচনের প্রস্তুতির দরকার আছে। বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিক গিয়াস কামাল চৌধুরীর ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ডেমোক্রেটিক কাউন্সিল নামক একটি সংগঠন আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আ.লীগের চেয়ে বিএনপির কাউন্সিলে ৪ থেকে ৫ গুন বেশি লোকসমাগম হয়েছে উল্লেখ করে গয়েশ্বর রায় বলেন, আওয়ামী লীগ দুই মাস আগে থেকে বিমানের টিকিট কেটে এবং বাস ভাড়া করেও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৫০ হাজার লোকসমাগম করতে পারেনি। অথচ বিএনপি ৪৮ ঘন্টা আগে কাউন্সিলের অনুমতি পেয়েও আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের চেয়ে বেশী লোকসমাগম হয়েছে। তিনি বলেন, জনগণ ভোট দিতে পারলে বিএনপিরই রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসবে। তবে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়।
গণমাধ্যমকে এখন ব্যবসার হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে মন্তব্য করে গয়েশ্বর বলেন, গণমাধ্যমগুলো মালিকপক্ষ ও সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। যার ফলে সংবাদকর্মীরা অনেক কিছু দেখেও না দেখার মত সংবাদ পরিবেশন করেন।
গয়েশ্বর বলেন, আমরা শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন চাই। এজন্য সকল দলের সঙ্গে আলোচনা করে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। এমন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে যারা জনগণের ভোটের নিরাপত্তা দিতে পারবে। মেরুদন্ডহীন কোন নির্বাচন কমিশনের অধীনে কখনো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনে বিশ্বাস করে না। আবারও ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের প্রস্তুতি নেয়ার দরকার নেই। তাদের তো র্যা ব, পুলিশসহ আইনশৃংখলা বাহিনী আছেই।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি এম এ হালিমের সভাপতিত্বে এ স্মরণ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক ভিসি অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ, আয়োজক সংগঠনের নেতা শরীফ মোস্তফা জামান লিটু, কাজী মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।
