ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মাদক বিক্রির প্রতিবাদ করায় ধর্ষণ মামলার আসামি ছাত্র

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ২৫ অক্টোবর ২০১৬

মাদক বিক্রির প্রতিবাদ  করায় ধর্ষণ মামলার আসামি ছাত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা, সান্তাহার, ২৪ অক্টোবর ॥ এসএসসি পাস করে কলেজে ভর্তি হবার প্রস্তুতি নিচ্ছে মেধাবী সজিবুর রহমান। বগুড়া পলিটেকনিকে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। কিন্তু বিধিবাম। ভর্তির আগেই তাকে জড়িয়ে ধর্ষণের মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। সজিবের বাবা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আব্দুল জব্বার বগুড়ার সান্তাহার শহরের তিয়রপাড়া এলাকায় সপরিবারে বাস করেন। এই এলাকার মাদকদ্রব্যসহ অসামাজিক নানা কাজে জড়িত আব্দুল হালিমের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেন। এ কারণে তার ছেলে সজিবকে ফাঁসিয়ে দেয়া হয়েছে ধর্ষণ মামলা। সান্তাহার পৌরসভার সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলরসহ চারটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছাড়াও শতাধিক মানুষের স্বাক্ষরিত অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে এমন তথ্য। গণঅভিযোগ পত্রে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে অনেকের সঙ্গে কথা বলে সত্যতা মিলেছে। কিন্তু সন্ধান মেলেনি ধর্ষণ মামলার বাদী আব্দুল হালিম ও তার পরিবারকে। দেরিতে হলেও এলাকাবাসী আব্দুল হালিম ও তার পরিবারের মাদকদ্রব্য ও নারীদেহ ব্যবসাসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকা-ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হবার কারণে সে সপরিবারে লাপাত্তা হয়ে গেছে। পুলিশ বরাবরে দেয়া গণঅভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের তিয়রপাড়া এলাকার আব্দুল জব্বার ও তার পরিবার, প্রতিবেশী জাহাঙ্গীর আলম চায়নার বাড়ির ভাড়াটে আব্দুল হালিমের অসামাজিক ও অপরাধমূলক কর্মকা- থেকে বিরত থাকার কথা বলে। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। সে ওইদিনই তার মেয়ে রাজিয়াকে দিয়ে জব্বারের ছেলে সজিবুর রহমান ধর্ষণ করেছে মর্মে ২১ সেপ্টেম্বর আদমদীঘি থানায় মামলা করে। পুলিশ তদন্ত না করেই শুধু মামলার সূত্রে ওই রাতেই সজিবকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনার পর বাড়িওয়ালা চায়না ভাড়াটে হালিমসহ সব তাড়িয়ে দেয়। চায়না জানান, তাকে মামলায় সাক্ষী করা হলেও তার বাড়িতে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে তার জানা নেই। তিনি আদালতেও এই সাক্ষ্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। মামলার বাদী আব্দুল হালিমের ভাড়া বাসায় (প্রদীপের বাড়ি) গিয়ে তাকে ও তার পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি।
×