এইচএম এরশাদ, কক্সবাজার থেকে ॥ আরাকান প্রদেশের মংডু, কাউয়ারবিল, নাকপুরা ও ঘুনচি পাড়া বিজিপি ক্যাম্পে সশস্ত্র বিদ্রোহী গ্রুপের চোরাগোপ্তা হামলার পর থেকে দেশটির প্রত্যন্ত অঞ্চলে ধরপাকড় অব্যাহত রয়েছে। মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী পুলিশ (বিজিপি) কর্মকর্তাগণ বলছেন, শুধু ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দোষী ব্যক্তিদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। তবে সে দেশে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের ওপর গণহারে নির্যাতন চালানো হচ্ছে বলে পুরনো কিছু ছবি পোস্ট করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ফলাও করে প্রকাশ করছে আরএসও ক্যাডাররা। বাংলাদেশে আশ্রিত শরণার্থী, অবৈধভাবে বসবাসরত রোহিঙ্গা এবং স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মন গলাতে রোহিঙ্গা জঙ্গীরা (আরএসও) এসব ভুয়া তথ্য ও ছবি সংবলিত কথিত নির্যাতনের কাহিনী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ফলাও করে প্রকাশ করছে বলে জানা গেছে। তাদের উদ্দেশ্য মিয়ানমারে বসবাসরত রোহিঙ্গারা যেন ফের এদেশে সপরিবারে ধেয়ে আসে। এদিকে গত রবিবার থেকে রাখাইন-রোহিঙ্গা মুসলিমদের মধ্যে সংঘাতে এ পর্যন্ত ৪০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে বলে জানা গেছে। মংডুতে এ নির্মম হামলায় নির্দোষ ব্যক্তিদের প্রাণহানির ঘটনায় বাংলাদেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
মিয়ানমারে সহিংস হামলার পর বাংলাদেশ সীমান্তে বিজিবি জওয়ানদের টহল জোরদার রয়েছে। মংডুতে তাদের নিরাপত্তা চৌকিতে সশস্ত্র হামলার ঘটনার পর থেকে এ পর্যন্ত একজন রোহিঙ্গাও বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেনি বলে বিজিবি ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে। মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের মংডুতে বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ফাঁড়িতে সহিংস হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ওই এলাকায় এ নির্মম হামলায় নির্দোষ ব্যক্তিদের প্রাণহানির ঘটনায় বাংলাদেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কিশোরীকে স্টিমারে অচেতন করে ধর্ষণ
স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ মোরেলগঞ্জে ১৩ বছরের এক কিশোরীকে স্টিমারে তুলে অচেতন করে দফায় দফায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর অসুস্থ ওই কিশোরীকে মোরেলগঞ্জ হাসপাতাল থেকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বুধবার তার ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ঘটনার ৩ দিন পর মোরেলগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ জানায়, মোরেলগঞ্জ পৌরসভা সদরের বারইখালী গ্রামের আব্দুল গনি মোল্লার ছেলে বাবু মোল্লা (২২) তার প্রতিবেশী কিশোরীকে ঢাকায় বোনের বাসায় ঝি এর কাজ দেয়ার কথা বলে গত শুক্রবার ঢাকাগামী স্টিমার বাঙ্গালীর একটি কেবিনে করে রওয়ানা হয়। স্টিমারে ওঠার কিছুক্ষণ পরই কেবিনে মেয়েটিকে ঝালমুড়ি ও জুসের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ধর্ষণ করে।
