স্টাফ রিপোর্টার ॥ তথ্যপ্রযুক্তি আইনে টাঙ্গাইলের সখিপুরে স্কুলছাত্র সাব্বিরকে নির্যাতনের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মোহাম্মদ মাকসুদুল আলমকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আদেশে ঐ শিক্ষার্থীকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের দেয়া দুই বছরের সাজার রায় অবৈধ ঘোষণা করেছে আদালত। মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাশের সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ প্রদান করেছেন। রায়ের পর এ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, উচ্চ আদালতের রায়ে স্কুলছাত্র সাব্বির সিকদারকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। ‘আইনকানুন পর্যবেক্ষণ করে আদালত রায় দিয়েছে। যে সাজাটা দেয়া হয়েছিল, সেটা অবৈধ এবং আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত। ওই সাজা বাতিল করে দিয়েছে।’
পাশাপাশি ওই স্কুলছাত্র আদালতে যে জবানবন্দী দিয়েছে, তার আলোকে হাইকোর্ট বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, সখিপুরের ইউএনও ও ওসি এখন যে জায়গার দায়িত্বে আছেন, সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের সেখান থেকে প্রত্যাহার করে ঢাকা বিভাগের বাইরে যে কোন একটা জায়গায় পোস্টিং দিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং পুলিশ মহাপরিদর্শককে আদেশ দিয়েছে আদালত।
প্রসঙ্গত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে টাঙ্গাইল-৮ আসনের এমপি অনুপম শাহজাহানকে নিয়ে মন্তব্যের জেরে গত ১৭ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের সখিপুরের প্রতীমাবঙ্কি পাবলিক হাই স্কুলের শিক্ষার্থী সাব্বিরকে দুই বছরের সাজা দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালনকারী সখিপুরের ইউএনও।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: