ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সুন্দরবনে শুঁটকি আহরণ মৌসুম শুরু

প্রকাশিত: ০৪:১৩, ১৯ অক্টোবর ২০১৬

সুন্দরবনে শুঁটকি আহরণ মৌসুম শুরু

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের দুবলাসহ ১৪টি চরে শনিবার আশ্বিনের পূর্ণিমা থেকে শুঁটকি আহরণ মৌসুম শুরু হয়েছে। চলবে মার্চ পর্যন্ত। সমুদ্রে মৎস্য আহরণ ও শুঁটকি মৌসুমকে ঘিরে এ বছর ১০ থেকে ১৫ হাজার জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ী জড়ো হচ্ছেন। সুন্দরবনের দুবলার চর, মেহেরআলীর চর, আলোর কোল, অফিসকিল্লা, মাঝেরকিল্লা, শেলার চর, নারকেলবাড়িয়া, ছোট আমবাড়িয়া, বড় আমবাড়িয়া, মানিকখালী, কবরখালী, চাপড়াখালীর চর, কোকিলমনি ও হলদাখালী চরে তারা অবস্থান করবেন। সুন্দরবন অভ্যন্তরে ১০টি মৎস্য আহরণ, প্রক্রিয়াকরণ ও বাজারজাতকরণ কেন্দ্র নিয়ে এই দুবলা জেলেপল্লী। এখানে জেলেরা শুঁটকি তৈরির জন্য অস্থায়ী ঘর ও মাচা তৈরি করেন। সমুদ্রে মাছ শিকার করে তা বাছাই শেষে শুঁটকি করেন। এ পল্লীতে জেলেদের মৎস্য আহরণ ও শুঁটকি প্রক্রিয়াকরণের ওপর ভিত্তি করেই সুন্দরবন বিভাগের রাজস্ব আয় হয়ে থাকে। গত বছর পূর্ব বনবিভাগ শুঁটকি আহরণ মৌসুমে ৯ হাজার ৮৩৮ জেলের কাছ থেকে ১ কোটি ৭০ লাখ ৮৮৫ টাকা রাজস্ব আদায় করলেও চলতি শুঁটকি মৌসুমে রাজস্বের লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়েছে দুই কোটি টাকা। এ বছর পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ থেকে শুঁটকি আহরণকারী জেলে ও বহরদাররা পাস-পারমিট নিয়ে শুক্রবার বাদজুমা নৌকা যোগে রওনা দেয় সুন্দরবনের দুবলারচরে শুঁটকি পল্লীর উদ্দেশে। সুন্দরবন বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ সাইদুল ইসলাম জানান, এ বছর শুঁটকি আহরণের জন্য দুবলারচরে ৮০০ বসতঘর ও ৬০টি ডিপো নির্মাণের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এবার রাজস্ব ধরা হয়েছে দুই কোটি টাকা। এ বছর আশা করা হচ্ছে ৩০ হাজার কুইন্টাল শুঁটকি আহরণ করা হবে। এবারও জেলেরা সুন্দরবনের কোন গাছপালা ব্যবহার করতে পারবেন না মর্মে নির্দেশনা দিয়েছে বন বিভাগ। শুঁটকি মৌসুমকে ঘিরে জেলেদের নিরাপত্তার জন্য বন বিভাগের পাশাপাশি কোস্টগার্ড, র‌্যাব ও পুলিশের টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। জেলে-বহরদাররা জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার দস্যু আতঙ্ক কম। সুন্দরবনের কয়েকটি বনদস্যুরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে র‌্যাবের কাছে আত্মসমর্পণ করায় এবারের শুঁটকি আহরণ মৌসুমে তারা উৎকণ্ঠাহীন স্বস্তিতে কাজ করতে পারবেন।
×