ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ভারতের পাশাপাশি চীনের সঙ্গেও সুসম্পর্ক থাকবে ॥ আশরাফ

প্রকাশিত: ০৫:১৩, ১৬ অক্টোবর ২০১৬

ভারতের পাশাপাশি চীনের সঙ্গেও সুসম্পর্ক  থাকবে ॥  আশরাফ

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম দেশের উন্নয়নের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে ভারতের পাশাপাশি চীনের সঙ্গেও সুসম্পর্ক রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের সঙ্গে ভারতের নিবিড় সম্পর্ক বিদ্যমান। সেই সঙ্গে অবকাঠামোসহ অর্থনৈতিক উন্নয়নে চীনের সঙ্গেও সম্পর্ক জোরদার হচ্ছে। চীন এখন সুপার পাওয়ার। এটা আমাদের মেনে নিতেই হবে। শনিবার সকালে চীনের প্রেসিডেন্টকে বিদায় জানানোর পর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্রের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলা চীন নিজেদের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে আঞ্চলিক উন্নয়নেও সহযোগিতা করতে চায় উল্লেখ করে সৈয়দ আশরাফ বলেন, চীন যে বিশ্বের অন্যতম অর্থনৈতিক শক্তিধর সেটা মানতে হবে। চীন এখন পরাশক্তি। আমরা এখন পর্যন্ত দেখছি, চীনের নীতি গঠনমূলক। এখানে চীনকে নিয়ে আতঙ্কের কোন কারণ নেই। চীনের প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফরে দু’দেশের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘আমরা যেমন চীনের সঙ্গে কাজ করছি, তেমনি ভারতের সঙ্গেও কাজ করছি। আমাদের সবার সঙ্গেই সম্পর্ক রাখতে হবে। আমাদের পক্ষে একা কোন কিছুই করা সম্ভব না।’ চীনের সঙ্গে কাজ করার ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরতে গিয়ে আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা চীনের সঙ্গে বিগত বছরগুলোতে নিবিড়ভাবে কাজ করছি। পশ্চিমা বিশ্ব বলে, তবে বাস্তবায়নে খুবই কম। কিন্তু চীন বাস্তবায়নে খুব তৎপর। কোন সময়েই ফাঁকি দেয় না।’ চীনের প্রেসিডেন্টের সফরকে সফল দাবি করে জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, কত টাকা দিল? কত চাল দিল? কত ডাল দিল? এটা নিয়ে খোঁচাখুঁচি করতে পারেন। বিষয়টা হলো কানেকটিভিটি। চীন আমাদের সঙ্গে আছে। এটাই একটা পরিপূর্ণ বিষয়। মিয়ানমারের সঙ্গে বিরাজমান সমস্যাগুলো চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে কোন প্রভাব ফেলবে কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ আশরাফ বলেন, মিয়ানমার আর বাংলাদেশ এক নয়। আমরা হলাম ভারতবংশীয় অরিজিন। এ ভূখ- মিয়ানমারের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের এই সাব-কন্টিনেন্টকে কেউ অবহেলা করতে পারবে না। প্রয়োজন থেকেই চীন এ ভূখ-কে গুরুত্ব দেয়। আমাদের এখানে চীন বারবার আসে কেন? আমাদের জন্যই আমাদের কাছে আসবে। কৌশলগত অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো সম্পর্কে জানতে চাইলে সৈয়দ আশরাফ বলেন, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, শিল্প-সাহিত্য, নিরাপত্তা সবকিছু জড়িত। শুধু ব্যবসা-বাণিজ্য নয়, চীনের সঙ্গে আমাদের অনেক কিছু আছে। তিনি বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আমাদের এ অঞ্চলের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা। এটা আমাদের অগ্রাধিকার। দীর্ঘ ৩০ বছর পর কমিউনিস্ট চীনের প্রেসিডেন্টের সফর বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রভাব ফেলবে কিনা, একজন সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা এক সিস্টেমে চলে। আমরা এক সিস্টেমে চলি। আমরাও তাদের সিস্টেম নিয়ে সমালোচনা করি না। তারাও আমাদের সিস্টেম নিয়ে সমালোচনা করে না। নেতিবাচক কথা বলে খালেদা জিয়া দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করতে চান -হানিফ ॥ আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া বিদেশীদের কাছে নেতিবাচক কথা বলে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চান। আগেও অভিযোগ করেছেন, কোন লাভ হয়নি; ভবিষ্যতেও হবে না। যতদিন উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে, ততদিন শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকবেন। শনিবার সকালে ঢাকা মহানগর নাট্যমঞ্চে জাতীয় শ্রমিক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শ্রমিক লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি আরও বলেন, চীনের প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফরই প্রমাণ করে, চীন বর্তমান সরকারের পাশে আছে এবং উন্নয়নের জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করবে। হানিফ বলেন, চীনা রাষ্ট্রপতি এসে প্রমাণ করেছেন তারা সরকারের পাশে রয়েছে, দেশের উন্নয়নে সব সময় সহযোগিতা করবে। কিন্তু তিনি আসায় যখন আমরা নানা কর্মসূচী পালন করছি, তখন খালেদা জিয়া তার কাছে গিয়ে অভিযোগ করলেনÑ দেশে নাকি গণতন্ত্র নেই। তিনি বলেন, এটা খালেদা জিয়ার বাতিক। কিন্তু বিদেশীর কাছে অভিযোগ করে কোন লাভ নেই, অভিযোগ করুন জনগণের কাছে। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি শামসুল আলম বকুলের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেনÑ আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, কার্যকরী সভাপতি ফজলুল কবীর মন্টু, সহসভাপতি আমিনুল হক ফারুক প্রমুখ।
×