বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, আগামী ২২ ও ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আবারও দলের সভানেত্রী হবেন, এর কোন বিকল্প নেই। রবিবার দুপুরে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যৌথসভায় তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের কঠিন সময়ে সভানেত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করে বঙ্গবন্ধুর কন্যা আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করে তিনবার দলকে ক্ষমতায় এনেছেন। একই সঙ্গে তিনি বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের এবং মুক্তিযুদ্ধকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন। শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্ববাসীর চোখে একটি রোল মডেল হিসেবে অবস্থান করছে। মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী ২০১৯ সালে শেখ হাসিনার অধীনেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওই নির্বাচনে বিএনপির অংশ নেয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই। সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।’ আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন সফল করতে গঠিত অভ্যর্থনা উপ-কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ নাসিম বলেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে নতুন কমিটি হবে। আর নতুন নেতাদের প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে ২০১৯ সালের নির্বাচনে জনগণের ভোট নিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনা। তিনি বলেন, দারিদ্র্য বিমোচন, জঙ্গী দমন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ করে দেশের মর্যাদা বৃদ্ধি এবং সমুদ্র জয়ের মাধ্যমে দেশের সীমানা বাড়ানোসহ অসামান্য অর্জনের জন্য দেশের মানুষ আবারও আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করবে।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের হাতে আর মাত্র আড়াই বছর সময় রয়েছে। এ সময়ের মধ্যে যাতে আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ না হয় সেজন্য আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, এমপি ও দলীয় নেতাকর্মীদের অত্যন্ত সচেতন থাকতে হবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে অনেক বিদেশী অতিথি আসবেন। পাকিস্তান এবং জামায়াতে ইসলামী ছাড়া সকল গণতান্ত্রিক দেশ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সম্মেলন উপলক্ষে ব্যাপক আয়োজনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। আর এ সম্মেলন সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করার ওপর সম্মেলনের সফলতা অনেকাংশে নির্ভর করবে। সম্মেলনে কোন বিশৃঙ্খলা করতে দেয়া হবে না উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সম্মেলনে আমরা সবাই কর্মী হিসেবে থাকব, আর একমাত্র নেতা হিসেবে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, বিশ্বের অন্য দেশ যখন জঙ্গী দমনে ব্যর্থ হয়েছে, তখন বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সফলতা পেয়েছে। বিচার না করার সংস্কৃতি বিএনপি চালু করলেও, এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসেছে আওয়ামী লীগ সরকার।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে যৌথসভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য এস এম কামাল হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আকতার হোসেন। সভায় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকগণ উপস্থিত ছিলেন।
