ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহমেদ

সবার জন্য সুনিশ্চিত হোক শিক্ষা

প্রকাশিত: ০৪:০০, ৫ অক্টোবর ২০১৬

সবার জন্য সুনিশ্চিত হোক শিক্ষা

আজ ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবস। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর দেশে দেশে শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষানুরাগী বিভিন্ন স্তরের মানুষ, বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা নানা কর্মসূচীর মাধ্যমে দিনটি পালন করছেন। তবে কোন কোন দেশে অন্যদিনেও দিবসটি পালনের দৃষ্টান্ত আছে। ভারতে প্রয়াত রাষ্ট্রপ্রতি সর্বোপল্লী রাধা কৃষ্ণাণের জন্মদিন ৫ সেপ্টেম্বর বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত হয়। থাইল্যান্ডে ১৬ জানুয়ারি। দক্ষিণ কোরিয়ায় ১৫ মে। দিনটিতে পুরো ক্লাস হয় না। ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষকদের সুগন্ধি নানারকম ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। সাবেক ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষকদের সঙ্গে দেখা করেন। ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। শ্রীলঙ্কায় ৬ অক্টোবর শিক্ষক দিবস। দিনটিতে শুধু শিক্ষকদের নিজেদের ছাত্ররাই শ্রদ্ধা নিবেদন করে না, সর্বস্তরের মানুষ শিক্ষকদের অবদান, দুঃখ-কষ্টের কথা তুলে ধরেন। কৃতজ্ঞতা জানানোর স্মারক হিসেবে শুভেচ্ছা কার্ড পাঠান। গণচীনে ১০ সেপ্টেম্বর ছাত্রছাত্রীরা ফুল ও শুভেচ্ছা কার্ড দিয়ে শিক্ষকদের শ্রদ্ধা জানায়। অস্ট্রেলিয়ায় দিবসটি পালিত হয় অক্টোবর মাসের শেষ শুক্রবার। রাশিয়া ও পাকিস্তানে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত হয় ৫ অক্টোবর। ২৮ ফেব্রুয়ারি শিক্ষক দিবস পালিত হয় ওমান, সিরিয়া, মিসর, লিবিয়া, কাতার, বাহরাইন, আরব আমিরাত, ইয়েমেন, তিউনিসিয়া, জর্দান, সৌদি আরব, আলজেরিয়া ও মরক্কোতে। তবে আগে-পরে যেদিনেই পালিত হোক না কেন পেশাগত মর্যাদা ও দক্ষতা উন্নয়নের বিষয়, পেশায় সমস্যা ও সঙ্কট এবং তা থেকে উত্তরণের পন্থা নিরূপণ দিনের কর্মসূচীর সিংহভাগজুড়ে থাকে। থাকে প্রত্যাশার সঙ্গে প্রত্যয়দীপ্ত উচ্চারণ। শিক্ষকদের অধিকার, করণীয় ও মর্যাদা সংক্রান্ত ইউনেস্কো-আইএলওর ১৯৬৬ সালের ১৪৫টি সুপারিশ আজকের দিনে গৃহীত হওয়ার ঘটনাকে স্মরণীয় করে রাখতে ১৯৯৪ সাল থেকে ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত হয়ে আসছে। দিনটি উপলক্ষে ইউনেস্কো-আইএলওর সঙ্গে ইউএনডিপি, গ্লোবাল ক্যাম্পেইন ফর এ্যাডুকেশন, এ্যাডুকেশন ইন্টারন্যাশনাল যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে থাকে এবং প্রতিবছর একটি প্রতিপাদ্য নির্বাচিত হয়। এ বছরের নির্ধারিত বিষয় : ‘শিক্ষকের মূল্যায়ন, মর্যাদার উন্নয়ন’। বহু দেশে ৫ অক্টোবর দিবসটি পালিত হলেও অন্যদিনে দিনটি উদযাপনের দৃষ্টান্তও রয়েছে। ২০১১ সাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে পৃষ্ঠপোষক করে শিক্ষক সংগঠনগুলো ও এনজিওদের নিয়ে গঠিত বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদযাপন জাতীয় কমিটির ব্যানারে দিবসটি পালিত হচ্ছে। আগের বছরগুলোর মতো এবারও কেন্দ্রীয় প্রধান কর্মসূচী থাকছে শহীদ মিনারে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, শিক্ষাকর্মী ও অভিভাবকদের র‌্যালি। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তনে দিবসটির ওপর আলোকপাত, গুণী শিক্ষকদের সম্মাননা প্রদান, ইউনেস্কো, আইএলও, ইউএনডিপি, ইউনিসেফ, গ্লোবাল ক্যাম্পেইন ফর এ্যাডুকেশন, এ্যাডুকেশন ইন্টারন্যাশনালসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনের বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে প্রদত্ত যৌথ ঘোষণা পাঠ, শিক্ষকদের পক্ষ থেকে প্রতিজ্ঞা উচ্চারণ, যার মধ্যে থাকবে শিক্ষার্থীদের উন্নত পাঠদান, শারীরিক ও মানসিক শাস্তি দান থেকে নিবৃত্ত থাকা, জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাস প্রতিরোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আরও বেশি ভূমিকা পালন, মেয়েদের বাল্যবিয়ে রোধ ও নিরুৎসাহিতকরণসহ বিভিন্ন প্রসঙ্গ। শিক্ষকদের অধিকার ও করণীয় প্রসঙ্গে বেশ কয়েক বছর আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বৈঠক ও মতবিনিময়ের পর জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থা ইউনেস্কোর উদ্যোগে ১৯৬৬ সালের ৫ অক্টেবর প্যারিসে বিভিন্ন রাষ্ট্রের সরকারসমূহের সম্মেলনে ১৪৫টি সুপারিশসহ ‘শিক্ষকদের মর্যাদা সনদ’ গৃহীত হয়। পরে জাতিসংঘের আরেক সংগঠন আইএলও তা অনুমোদন করে। এ ধারাবাহিকতায় ২৮ বছর ধরে আলোচনা-পর্যালোচনান্তে ১৯৯৪ সালে ইউনেস্কোর ২৬তম সাধারণ অধিবেশনে তৎকালীন মহাপরিচালক ফেডেরিকো মেয়রের প্রস্তাবক্রমে ৫ অক্টোবরের সুপারিশগুলো স্মরণীয় করে রাখতে ওই দিনে ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত হয়। তবে ১৯৬৬ সালের সুপারিশমালা ছিল মূলত নার্সারি, কিন্ডার গার্টেন, প্রাথমিক, কারিগরি, বৃত্তিমূলক, চারুকলাসহ স্কুলে পাঠদানকারী শিক্ষকদের জন্য। মাধ্যমিক (উচ্চ) পরবর্তী স্তরসমূহের সুস্পষ্ট উল্লেখ সেখানে ছিল না। এ প্রেক্ষিতে ১৯৯৭ সালের ১৫ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর প্যারিসে ইউনেস্কোর এক বিশেষ অধিবেশনে উচ্চতর স্তরে শিক্ষাদানকারী শিক্ষকদের মর্যাদা সংক্রান্ত সুপারিশ প্রণীত হয়। সিদ্ধান্ত হয় যে, ১৯৬৬ ও ১৯৯৭ সালের উভয় সুপারিশমালা যুগ্মভাবে ‘শিক্ষকদের মর্যাদা সনদ’ হিসেবে বিবেচিত হবে এবং বিশ্বব্যাপী সর্বস্তরের শিক্ষকদের ওই সনদের স্মারক দিবস হিসেবে ৫ অক্টোবর প্রতিবছর ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’ পালন করা হবে। অন্য যে দুটি বিষয় এ বছর বিশ্ব শিক্ষক দিবসের পটভূমি তৈরি করেছে তার মধ্যে আছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্যবস্থাপনায় শিক্ষকের অধিনায়কত্ব প্রতিষ্ঠা ও পাবলিক এ্যাডুকেশনে সর্বোচ্চ বরাদ্দের প্রসঙ্গ। উন্নত, অনুন্নত ও উন্নয়নশীল বিভিন্ন দেশের বাস্তব অভিজ্ঞতার মূল্যায়ন করে ইউনেস্কো প্রস্তাব করেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্যবস্থাপনায় শিক্ষক নেতৃত্ব জরুরী। এ প্রস্তাবে সুনির্দিষ্টভাবে প্রধান শিক্ষকের কথা বলা হয়েছে। আমাদের দেশে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান বলতে স্কুলে প্রধান শিক্ষক ও কলেজে অধ্যক্ষকে মনে করা হয়। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে কার্যত তারা আর প্রতিষ্ঠান প্রধান নেই। তাদের ভূমিকা গৌণ বললেও কম বলা হয়। কোন কোন ক্ষেত্রে ভূমিকাই নেই। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্যবস্থাপনায় এখন মুখ্য ভূমিকায় জনপ্রতিনিধি পরিচয়ে দলীয় রাজনীতিক ও প্রশাসনের কর্মকর্তা। কোন কোন সময় তাকে কমিটির সভায় বসতেও দেয়া হয় না। বাইরে বসিয়ে রাখা হয়। ‘স্কুল লিডারশিপ’ শিরোনামে ইউনেস্কোর প্রস্তাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্যবস্থাপনায় প্রধান শিক্ষকের নেতৃত্বের কথা বলা হয়েছে, যিনি তার সহকর্মী শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের নিয়ে কাজ করবেন। আমাদের প্রেক্ষিতে বিবেচনা করলে দেখা যায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান বলতে এখনও প্রধান শিক্ষক অথবা অধ্যক্ষকে বুঝি ঠিকই; কিন্তু বাস্তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্যবস্থাপনায় তাঁর ভূমিকা নগণ্য। কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বিষয়টি হলো মূলত শিক্ষার্থীকে ঘিরে। অভিভাবকের সন্তান বা পোষ্যকে গড়েপিটে মানুষ করেন শিক্ষক। তার পাঠদান ও জীবনে ক্রমোন্নয়নে, দেশাত্মবোধ, সামাজিক ও নৈতিক মূল্যবোধ সৃষ্টিতে শিক্ষক ও পিতা-মাতার ভূমিকা, দায়-দায়িত্বই প্রধান। কিন্তু এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্যবস্থাপনায় তাদের ভূমিকা পালনের সুযোগ নেই। এ পরিপ্রেক্ষিতে স্কুলে প্রধান শিক্ষকের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি ইউনেস্কো অবতারণা করেছে। সে অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান বলতে বাস্তবেই প্রধান শিক্ষক অথবা অধ্যক্ষকেই হতে হবে। তবে তিনি যাতে একদেশদর্শী না হয়ে যান, সহকর্মী শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের সম্পৃক্ত করে কার্যক্রম পরিচালনা করেন এবং জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের বিশিষ্টজনদের, বিশেষ করে এলাকার প্রকৃত শিক্ষানুরাগীদের যথাযোগ্য ভূমিকা পালনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সেজন্য ব্যবস্থাপনা কমিটি ছাড়াও বিভিন্ন পরামর্শক কমিটি গঠন করা প্রয়োজন। শিক্ষায় বিনিয়োগ শ্রেষ্ঠ বিনিয়োগ হলেও বাংলাদেশের বাজেটে শিক্ষা বরাদ্দ কমে যাচ্ছে। ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে আগের চেয়ে খানিকটা বেশি হলেও আশানুরূপ নয়। এর ফলে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য নীতি বা পরিকল্পনা সত্ত্বেও কাক্সিক্ষত বিনিয়োগ না হওয়ার কারণে দেশ সামনে যাওয়ার বদলে উন্নয়নের মাপকাঠিতে পিছিয়ে যাওয়ার পথে হাঁটছে। ‘সকলের শিক্ষা অধিকার সুরক্ষা, শিক্ষার গুণগতমান উন্নয়ন, প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সর্বস্তরের শিক্ষকদের জন্য প্রচলিত বেতন কাঠামোর চেয়ে বেশি ও আকর্ষণীয় স্বতন্ত্র বেতন স্কেল চালু, স্থায়ী বিধিবদ্ধ শিক্ষা কমিশন ও শিক্ষক নিয়োগ কমিশনের বিধান, শিক্ষা অধিকার আইন পাস ও ন্যায্য কর ব্যবস্থার মাধ্যমে শিক্ষায় প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ সে জন্য সময়ের দাবি। কারণ শিক্ষা নিয়ে দলীয় রাজনীতি যেমন আছে, শিক্ষায় অর্জনের ধারাবাহিকতাও আছে। শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থী, বিভিন্ন সরকার, সর্বোপরি শিক্ষার্থীর চাহিদা এক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে। তবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ও নির্দেশনায় শিক্ষায় উন্নয়ন এবং শিক্ষকদের মর্যাদা বৃদ্ধি হয়েছে আগের যে কোন সময়কে অতিক্রম করে। তারপরও শিক্ষাক্ষেত্রে বৈষম্যের অবসান হয়নি। নারী-পুরুষ, গ্রাম-শহর, সাধারণ ও কারিগরি শিক্ষার মধ্যে, সরকারী ও বেসরকারী শিক্ষকদের মধ্যে বৈষম্য কমেনি। তা এখনও পাহাড় সমান। সরকারী শিক্ষকদের পদোন্নতি প্রায় নিয়মিত বিষয় হলেও বেসরকারী শিক্ষকদের বেলায় তা ধরাছোঁয়ার বাইরে। আবার এমপিও পাবার যোগ্য বলে নির্বাচিতরা, সংখ্যায় লক্ষাধিক, দুই দশক ধরে বেতন-ভাতার সরকারী অংশ বা এমপিও থেকে বঞ্চিত। অন্যদিকে শিক্ষার মান বৃদ্ধি, গুণগত শিক্ষা, বিশ্বমানের শিক্ষা নিয়ে বক্তৃতা-বিবৃতি শুনতে আমরা যতটা অভ্যস্ত, শ্রেণীকক্ষে শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত হ্রাস, প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও তার পরবর্তী স্তরে শিক্ষক স্বল্পতা তথা শিক্ষক সঙ্কট নিরসনে যথাযথ উদ্যোগ ততটা চোখে পড়ে না। অভিভাবকদের মত শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নয়ন হয়েছে। তবে যেক্ষেত্রে হয়েছে তার প্রচার না হয়ে যেখানে হয়নি তার প্রচার বেশি হচ্ছে। অবৈতনিক শিক্ষার কথা বলা হলেও সন্তানদের শিক্ষার জন্য তাদের ব্যয়ভার না কমে বেড়েই চলেছে। আমার কাছে মনে হয় এ মুহূর্তে বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রে যা সবচেয়ে বেশি দরকার তা হলো শিক্ষার্থীর শিক্ষা অধিকার ও উন্নয়নকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দান। অহেতুক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও বিলম্বিত সিদ্ধান্ত গ্রহণের পথ পরিহার করা। শিক্ষার্থীর প্রকৃত জ্ঞান অর্জন ও তার মূল্যায়নকে অগ্রাধিকারভিত্তিক বিবেচনায় নেয়া। ওপর থেকে চাপিয়ে দেয়া ক্ষমতাবানদের পরিবর্তে ইউনেস্কোর সুপারিশের আলোকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্যবস্থাপনার আমূল সংস্কার করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক ও অভিভাবকদের কার্যকর অবস্থানকে যথোচিত স্বীকৃতি দান এবং জাতিসংঘে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষায় বাণিজ্যিকীকরণ বন্ধে উদ্যোগ গ্রহণ। বিশ্ব শিক্ষক দিবসে প্রত্যাশা- সবার জন্য সুনিশ্চিত হোক শিক্ষা। লেখক : শিক্ষাবিদ ও বিশ্ব শিক্ষক দিবস জাতীয় উদযাপন কমিটির সমন্বয়ক। [email protected]
×