ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রভুদের খুশি করতেই রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে ॥ মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত: ০৪:৩৮, ২ অক্টোবর ২০১৬

প্রভুদের খুশি করতেই রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে ॥ মির্জা ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান সরকার জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয়। এই সরকার জনগণের স্বার্থ রক্ষা করে না। নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করা ও বিদেশী প্রভুদের খুশি রাখতে রামপাল তাপবিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। ইউনেস্কো ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা রামপালে বিদ্যুত কেন্দ্র না করার জন্য অভিমত দিয়েছে। জনগণ এ প্রকল্পের বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছে। জনগণ যত বেশি সোচ্চার হচ্ছে, সরকার তত বেশি শক্ত অবস্থান নিচ্ছে। এটা দেশ ও জাতির জন্য শুভ নয়। তিনি বলেন, সুন্দরবন ধ্বংস হতে দেয়া যাবে না। সুন্দরবনের ক্ষতি হলে তা শুধু খুলনা অঞ্চলেই নয়, সমগ্র বাংলাদেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হবে। তিনি রামপাল বিদ্যুত প্রকল্পের বিরুদ্ধে আরও জনমত তৈরি ও জনগণকে সংগঠিত করার আহ্বান জানান। তিনি শনিবার খুলনা মহানগরীর হোটেল টাইগার গার্ডেনের হলরুমে ‘দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়ন ভাবনা ও সুন্দরবন’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ‘ন্যাশনালিস্ট টিচার্স এ্যাসোসিয়েশন (এনটিএ) এ সেনিমারের আয়োজন করে। সেমিনার হলেও সেটি শেষ পর্যন্ত জনসমাবেশে পরিণত হয়। হোটেল টাইগার গার্ডেনের হল রুম ছাপিয়ে এর আশপাশে ও রাস্তায় কয়েক হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থক জড়ো হন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিদ্যুতকেন্দ্র আমরা অবশ্যই চাই। তবে যদি আমার অস্তিত্ব, আমার ভবিষ্যত বিপন্ন হয়ে যায়, যদি আমার পরবর্তী প্রজন্ম বেঁচে থাকতে না পারে তাহলে সেই বিদ্যুত কেন্দ্র আমাদের প্রয়োজন নেই। বিএনপির মহাসচিব বলেন, এ সরকার দেশের ১৬ কোটি মানুষের প্রতিনিধিত্ব করছে না। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে সকারের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা থাকত। জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা না থাকায় সরকার রামপাল তাপবিদ্যুত প্রকল্পের সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছে, যা খুশি তাই করছে। এ সরকারের কাছ থেকে জনগণের জন্য ভাল কিছু আশা করা যায় না। তিনি বলেন, ইউনেস্কো বলছে রামপাল বিদ্যুতকেন্দ্র সুন্দরবনকে ধ্বংস করবে, পরিবেশ বিশেষজ্ঞসহ পৃথিবীর বিবেকবান মানুষ বলছে রামপালে বিদ্যুত কেন্দ্র হলে পৃথিবীর সর্ব বৃহৎ ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবনের ক্ষতি হবে। কিন্তু সরকার কারও কথায় কর্ণপাত করছে না। হাতাহাতি-সংঘর্ষ ॥ এদিকে সেমিনারে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের শেষ দিকে হলের বাম পাশের প্রবেশ দ্বারে চেঁচামেচি, হৈচৈ। কয়েকবার থমকে যান মির্জা ফখরুল। এরপর নিজেই বলেন, তোমাদের কি হয়েছে? তারপর খানিকটা চুপচাপ। সেমিনার শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেড়টার দিকে খুলনা মহানগরীর হোটেল টাইগার গার্ডেনের অডিটোরিয়ামে শুরু হয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ হয়। তবে কেউ গুরুতর আহত হয়নি।
×