ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

এবার ৬৪ জেলায় অনুষ্ঠিত হবে স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্যচিত্র উৎসব

প্রকাশিত: ০৬:০৭, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬

এবার ৬৪ জেলায় অনুষ্ঠিত হবে স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্যচিত্র উৎসব

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ৮৪টি চলচ্চিত্র নিয়ে সারাদেশে অনুষ্ঠিত হবে উৎসব। ৬৪ জেলার শিল্পকলা একাডেমিতে একযোগে চলবে এ উৎসব। দেখানো হবে বরেণ্য নির্মাতাদের পাশাপাশি নবীন পরিচালকদের নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র। ১৯৭১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত নির্মিত ছবি দিয়ে সাজানো হয়েছে এ আয়োজন। বাংলাদেশ স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসব শিরোনামে শিল্পের এ বিশাল আয়োজনটি উৎসর্গ করা হয়েছে সদ্যপ্রয়াত সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হককে। প্রথমবারের মতো শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে ২ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে এ উৎসব। সাধারণ মানুষের মধ্যে মানসম্মত চলচ্চিত্র অনুধাবন এবং এর অন্তর্নিহিত ভাবের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়ার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ উৎসব। শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত উৎসবে সহযোগিতা করছে ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরাম ও বাংলাদেশ প্রামাণ্যচিত্র পর্ষদ। বৃহস্পতিবার শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে প্রয়াত লেখক সৈয়দ শামসুল হক স্মরণে পালন করা হয় এক মিনিটের নীরবতা। উৎসবের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। আলোচনায় অংশ নেনÑ প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকি, প্রামাণ্যচিত্র পর্ষদের সভাপতি আনোয়ার চৌধুরী, ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজের সাধারণ সম্পাদক বেলায়াত হোসেন মামুন, শর্টফিল্ম ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী রবিবার সন্ধ্যা ৬টায় একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে এ উৎসবের উদ্বোধন হবে। প্রধান অতিথি হিসেবে উৎসব উদ্বোধন করবেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। বেশ কয়েকজন চলচ্চিত্র নির্মাতাসহ সেদিন উপস্থিত থাকবেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী। বিশেষ অতিথি থাকবেন তিন চলচ্চিত্র নির্মাতা সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকি, মোরশেদুল ইসলাম ও মানজারে হাসীন মুরাদ। সভাপতিত্ব করবেন লিয়াকত আলী লাকী। সবার জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে সপ্তাহব্যাপী এ উৎসব। ৯ অক্টোবর পর্যন্ত একযোগে ৬৪ জেলায় চলমান উৎসবে দেখানো হবে ৮৪টি স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র। ঢাকা শিল্পকলা একাডেমির উৎসবের প্রদর্শনী হবে জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে। উদ্বোধনী দিনে দেখানো হবে জহির রায়হান নির্মিত প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ‘স্টপ জেনোসাইড’, মোরশেদুল ইসলামের স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি ‘আগামী’, তারেক মাসুদের প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ‘আদম সুরত’, আমিনুর রহমান মুকুলের স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি ‘অবরোধ’, রহমান লেনিনের স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি ‘মন ফড়িং’ ও ইয়াসমিন কবির নির্মিত প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ‘পরবাসী মন আমার’। উৎসবের শেষ দিন ৯ অক্টোবর স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য উভয় বিভাগে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ নির্মাতা ও বিশেষ জুরি বিভাগে দেয়া হবে পুরস্কার। পাঁচ সদস্যের একটি জুরি কমিটির মাধ্যমে উৎসবে অংশ নেয়া শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের জন্য ১ লাখ টাকা করে দুজনকে এবং দুইজন শ্রেষ্ঠ নির্মাতাকে ৫০ হাজার করে টাকা দেয়া হবে। বিশেষ জুরি পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতাকে দেয়া হবে সম্মাননা স্মারক ও সনদপত্র। এছাড়া উৎসবে অংশগ্রহণকারী সকল নির্মাতাকে দেয়া হবে সনদপত্র। উৎসবের জন্য বিভিন্ন বিভাগে জমা পড়ে ১৩৩টি ছবি। সেগুলোর ভেতর থেকে বাছাই করে ৩৫টি স্বল্পদৈর্ঘ্য ও ২৯টি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর জন্য নির্বাচন করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে নির্মিত উল্লেখ্যযোগ্য চলচ্চিত্রগুলোর মধ্য থেকে ১১টি প্রামাণ্য ও ৯টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্বাচন করা হয়েছে। সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর এ দেশের মানুষের চেতনা জাগ্রত করার দায়িত্ব নিয়েছিল মঞ্চ। তারপরই সেই দায়িত্ব গিয়ে পড়ে চলচ্চিত্রের ওপর। চলচ্চিত্র নিয়ে যে স্বপ্ন আমরা দেখে এসেছি, এখনকার স্বপ্নবান তরুণেরা সে স্বপ্নগুলো পূরণের পথে আমাদের এগিয়ে নিচ্ছে। সপ্তাহব্যাপী রূপসজ্জা বিষয়ক কর্মশালার সমাপনী ॥ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের ব্যবস্থাপনায় ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে দেশের বিভিন্ন নাট্যসংগঠনের প্রায় ৫০ জন প্রশিক্ষণার্থীর অংশগ্রহণে শুরু হয় সপ্তাহব্যাপী রূপসজ্জা বিষয়ক কর্মশালা। একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার ৫০৩নং মহড়াকক্ষে সপ্তাহব্যাপী কর্মশালায় প্রশিক্ষণ প্রদান করেন- শিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার, এসএম মহসিন, অধ্যাপক রহমত আলী, অধ্যাপক খায়রুজ্জাহান মিতু, ড. আইরিন পারভীন লোপা, মোঃ আসলাম, শংকর কুমার দাশ, মোঃ আলী বাবুল এবং শুভাশীষ দত্ত তন্ময়। সপ্তাহব্যাপী এ কর্মশালার সমাপনী দিন ছিল বৃহস্পতিবার। সমাপনী অনুষ্ঠানে একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন নাট্যনির্দেশক ও অভিনেতা আতাউর রহমান এবং একাডেমির সচিব জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণার্থীরা তাদের সপ্তাহব্যাপী অভিজ্ঞতার চিত্র অতিথিদের সামনে তুলে ধরেন এবং আলোচনা করেন কিভাবে তাদের এ প্রশিক্ষণ কাজে লাগবে।
×