ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশে জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৩৭ ভাগ

প্রকাশিত: ০২:২২, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬

বাংলাদেশে জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৩৭ ভাগ

সংসদ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর এক জরিপ মতে বাংলাদেশে জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৩৭ ভাগ। ওই একই বিভাগের অপর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী এ হারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকলে ২০২১ সাল নাগাদ বাংলাদেশের জনসংখ্যা হবে ১৭ কোটি ১৬ লাখ ৬৪ হাজার। বিশ্বে এ পর্যন্ত মোট ৮৮টি দেশে জিকা ভাইরাস আছে বলে প্রমাণিত হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশসহ এশিয়ার সবক’টি দেশই জিকা ভাইরাসের ঝুঁকিতে রয়েছে। তবে বাংলাদেশে এই মুহূর্তে জিকা ভাইরাসের সংক্রমন মুক্ত রয়েছে। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে একাধিক প্রশ্নের জবাবে এ সব তথ্য জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, সরকারি হিসেবে বর্তমানে দেশে এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৪ হাজার ১৪৩ জন, যার মধ্যে মৃতের সংখ্যা ৬৫৮ জন। চিকিৎসা সেবা ও এইচআইভি সনাক্তকরণ কার্যক্রম সরকারি ১২টি হাসপাতালের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে, যার মধ্যে ৪টি সরকারি হাসপাতাল হতে এইডস আক্রান্ত রোগীদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ঔষধ সরবরাহ করা হচ্ছে। সংসদ সদস্য আবদুল মতিনের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ ঔষধ আমদানীকারক দেশের পরিবর্তে রফতানিকারক দেশ হিসেবে গৌরব অর্জন করেছে। দেশের চাহিদার শতকরা প্রায় ৯৮ ভাগেরও বেশী ঔষধ বর্তমানে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয়। বর্তমানে দেশে উৎপাদিত বিভিন্ন প্রকার ঔষধ ও ঔষধের কাঁচামাল যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের ১২৫টি দেশে রফতানি হয়ে আসছে। জাসদের এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনের প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ নাসিম জানান, সম্প্রতি মধ্য আমেরিকা, আফ্রিকা, ইউরোপ এবং বাংলাদেশের পাশ্ববর্তী এশিয়ান দেশ সিঙ্গাপুরসহ অন্যান্য দেশে ক্রমবর্ধমানভাবে জিকা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশে এই মুহূর্তে জিকা ভাইরাসের সংক্রমন না থাকলেও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় এবং এদেশে এডিস মশার অস্তিত্ব থাকায় বাংলাদেশেও ঝুঁকি মধ্যে রয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিধি ২০০৫ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মুহাম্মদ মিজানুর রহমানের অপর এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বিশ্বে এ পর্যন্ত মোট ৮৮টি দেশে জিকা ভাইরাস আছে বলে প্রমাণিত হয়েছে। এছাড়া বর্তমানে এশিয়ার সবক’টি দেশই জিকা ভাইরাসের ঝুঁকিতে রয়েছে। সিঙ্গাপুরে বসবাসরত এ পর্যন্ত ১৯ জন বাংলাদেশীর শরীরে জিকা ভাইরাস সনাক্ত হয়েছে। বর্তমানে তারা সিঙ্গাপুরস্থ হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণপূর্বক সুস্থ্য হয়ে স্ব স্ব কর্মস্থলে কাজ করছে বলে জানা গেছে। আর দেশে কোন অবস্থাতেই যাতে জিকা ভাইরাস সংক্রান্ত ব্যক্তি প্রবেশ করতে না পারে সে লক্ষ্যে স্থল, নৌ ও বিমান বন্দরে জিকা ভাইরাস সনাক্তকরণের জন্য সার্ভিলেন্স জোরদারকরণে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারি দলের নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জিএমপি (গুড ম্যানুফ্যাকচারিং প্রাকটিস) গাইডলাইন যথাযথভাবে পালন না করায় এবং নি¤œমানের ঔষধ উৎপাদনের দায়ে গত পাঁচ বছরে ৩৪টি এ্যালোপ্যাথিক ঔষধ উৎপাদনকারী কারখানার লাইসেন্স সাময়িক বাতিল করা হয়েছে। সরকার ইতোমধ্যে বেশ কিছু ঔষধ প্রস্তুতকারী কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। তন্মোধ্য ১৩টি ঔষধ প্রস্তুতকারী কারখানার লাইসেন্স বাতিলসহ ২০টি প্রতিষ্ঠানের সকল প্রকার ঔষধ উৎপাদন বন্ধ করা হয়েছে। ১৪টি প্রতিষ্ঠানের সকল প্রকার এন্টিবায়োটিক জাতীয় ঔষধ উৎপাদন বন্ধ করা হয়েছে। তিনি জানান, চলতি বছরের জানুয়ারী থেকে আগস্ট এই ৮ মাসে মান-বাহির্ভূত ঔষধ উৎপাদনের কারণে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সর্বমোট ৪৪টি পদের রেজিস্ট্রেশন বাতিল এবং ২৬ পদের রেজিস্ট্রেশন সাময়িক বাতিল করা হয়েছে। জনগণকে সচেতন করার লক্ষ্যে কোন প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বা পদ বাতিল বা সাময়িক বাতিল করা হলে তা জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়। তিনি জানান, বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত ঔষধ প্রস্তুতকারী কারখানার সংখ্যা ৮৫৩টি। তন্মোধ্য এ্যালোপ্যাথিক কারখানা ২৬৬, ইউনানী ২৬৭, হোমিওপ্যাথিক ৭৯ এবং হার্বাল ৩২টি রয়েছে।
×