ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সৌদি আরবে কর্মী নিয়োগে ৫০ হাজার চাহিদাপত্র এসেছে

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬

সৌদি আরবে কর্মী নিয়োগে ৫০ হাজার চাহিদাপত্র এসেছে

ফিরোজ মান্না ॥ সৌদি আরবে কর্মী নিয়োগে ৫০ হাজারের বেশি চাহিদাপত্র এসেছে। জনশক্তি রফতানিকারকরা ইতোমধ্যে কর্মীদের ইন্টারভিউ নেয়া শুরু করেছে। বেশ কয়েকটি জনশক্তি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান কর্মী বাছাই করে অনুমতির জন্য প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছেন। মন্ত্রণালয় এ পর্যন্ত দুটি কোম্পানিকে সাড়ে ৩শ’ কর্মী পাঠানোর অনুমতি দিয়েছে। প্রায় সাড়ে ৭শ’ জনশক্তি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান সৌদিতে কর্মী নিয়োগের অনুমতি পেয়েছে। তারা নিজেদের মতো করে সৌদি থেকে ভিসা সংগ্রহ করছেন। ভিসা সংগ্রহে কোন অনিয়ম করলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। সূত্র জানিয়েছে, জনশক্তি রফতানিকারকরা কর্মী বাছাই করে ‘গ্লাফ এ্যাপ্রুভড মেডিক্যাল সেন্টার এ্যাসোসিয়েশন’ (গামকা) থেকে মেডিক্যাল করিয়ে মন্ত্রণালয় জমা দেবে। মন্ত্রণালয়ে কর্মীদের পাসপোর্ট পরীক্ষা করে স্মার্ট কার্ড ইস্যু করবে। এরপরই কর্মীরা সৌদি যেতে পারবেন। ইতোমধ্যে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সাড়ে ৩শ’ কর্মীর স্মার্ট কার্ড দিয়েছে। গামকার অনুমোদিত ৩৩টি মেডিক্যাল সেন্টার থেকে কর্মীদের মেডিক্যাল পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। মেডিক্যালের পর পর্যায়ক্রমে কর্মীদের স্মার্ট কার্ড দেবে মন্ত্রণালয়। ব্লু স্টার সার্ভিসেস লিমিটেড নামের একটি জনশক্তি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান কারিগরি খাতে ৮০ জন কর্মী বাছাই করে মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছেন। ব্লু স্টার সার্ভিসেসের কর্মকর্তা জুয়েল খন্দকার জনকণ্ঠকে জানান, আমরা কয়েক শ’ কর্মীর ইন্টারভিউ নিয়েছি। এখান থেকে ৮০ জন কর্মীকে বাছাই করে তাদের পাসপোর্টসহ তালিকা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছি। মন্ত্রণালয় থেকে দ্রুত স্মার্ট কার্ড পাওয়া যাবে। কারণ মন্ত্রণালয় সৌদি আবরে কর্মী পাঠানো বিষয়ে খুবই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। এদিকে এক যুগ্ম সচিব বলেন, সৌদি আরবে কর্মী নিয়োগের পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করবে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটি। অভিযুক্ত জনশক্তি রফতানিকারক কোন প্রতিষ্ঠান কর্মী পাঠাতে পারবে না। অভিযোগ বিহীন জনশক্তি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানই সৌদিতে কর্মী নিয়োগের সুযোগ পাবে। তারা মন্ত্রণালয় নির্ধারিত খরচের বাইরে বেশি টাকা নিতে পারবে না। যদি কোন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বেশি টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠে, তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। বাতিল হবে জনশক্তি রফতানির লাইসেন্স। কর্মী পাঠানোর খরচ নিয়ন্ত্রণ করে সবকিছু ঠিক থাকলে এ বছরের মধ্যে ২০ থেকে ৩০ হাজার কর্মী সৌদি যেতে পারবেন। অন্যদিকে, সৌদি আরবে কারও বিরুদ্ধে ভিসা কেনাবেচার অভিযোগ প্রমাণিত হলে ১৫ বছর কারাদ-ের আইন করা হয়েছে। কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ করতে উভয় দেশই শক্ত অবস্থান নিয়েছে। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) এবং সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
×