ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মোবাইল অপারেটরদের নেটওয়ার্ক ফি

তিন বছরে ১৩৯ কোটি টাকা দিয়েছে বিকাশ

প্রকাশিত: ০৬:৩৩, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬

তিন বছরে ১৩৯ কোটি টাকা দিয়েছে বিকাশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বিগত তিন বছরে মোবাইল অপারেটরদের ইউএসএসডি চ্যানেল ব্যবহার করে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রদানের লক্ষ্যে দেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ মোবাইল অপারেটরদের নেটওয়ার্ক ফি বাবদ ১৩৯ কোটি টাকা প্রদান করেছে। বর্তমানে দেশে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের আয়ের ৭ ভাগই মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে তাদের ইউএসএসডি চ্যানেল ব্যবহার করে মোবাইল আর্থিক সেবা প্রদানের জন্য। এছাড়াও আয়ের ৮০ ভাগই পায় বিকাশের এজেন্ট ও পরিবেশকরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের জুলাই মাসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে রেজিস্টার্ড মোবাইল ব্যাংকিং গ্রাহক সংখ্যা ৩ কোটি ৬ লাখ। ২০১১ সালে চালু হওয়া মোবাইল ব্যাংকিং চালু হওয়ার উদ্দেশ্য ছিল দেশের দরিদ্র ও ব্যাংক বহির্ভূত জনগোষ্ঠীকে একটি আর্থিক অন্তর্ভুক্তির আওতায় নিয়ে আসা। ইউএসএসডি চ্যানেল ব্যবহারের ফলে স্বল্পমূল্যের মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্যবহার করেও গ্রাহকরা মোবাইল ব্যাংকিং সেবা উপভোগ করতে পারছেন। এ বিষয়ে বিকাশের মুখপাত্র জাহেদুল ইসলাম বলেন, ২০১৫ সালে বিকাশ দেশের পাঁচটি মোবাইল অপারেটর- গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক এবং এয়ারটেলকে তাদের ইউএসএসডি চ্যানেল ব্যবহারের জন্য ৬৭টি কোটি টাকা প্রদান করেছে। এই নেটওয়ার্ক ফি’র সিংহভাগই পেয়েছে গ্রামীণফোন। জাহেদুল ইসলাম আরও বলেন, ২০১৪ সালে এই টাকার পরিমাণ ছিল ৪৬ কোটি এবং ২০১৩ সালে ২৬ কোটি টাকা। সংশ্লিস্টরা বলছেন, মোবাইল অপারেটরদের আয় বৃদ্ধিতে মোবাইল ব্যাংকিং খাতের অবদান বাড়ছে। ভবিষ্যতে এই অবদান আরও বাড়বে বলে তারা মনে করেন। বাংলাদেশ ব্যাংক ২৮টি ব্যাংককে মোবাইল ব্যাংকিং চালুর অনুমোদন দিলেও বর্তমানে ১৮টি ব্যাংক এই সেবা প্রদান করছে। তবে এর মধ্যে সবচেয় বিস্তৃত সেবা প্রদান করছে ব্র্যাক ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান বিকাশ। বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট ছাড়াও বেতন দেয়া, মোবাইল ফোনের এয়ার টাইম ক্রয় এবং বিভিন্ন দোকানে কেনাকাটার মূল্য পরিশোধও করা যাচ্ছে ব্যবহার করে।
×