ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ওসির নির্দেশে গণধর্ষণের ঘটনা হলো ধর্ষণ চেষ্টা

প্রকাশিত: ০৪:৩০, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬

ওসির নির্দেশে গণধর্ষণের ঘটনা হলো ধর্ষণ চেষ্টা

নিজস্ব সংবাদদাতা, গফরগাঁও, ১৭ সেপ্টেম্বর ॥ ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার চাকুয়া গ্রামের বাড়ি থেকে উঠিয়ে নিয়ে গণধর্ষণের শিকার নবম শ্রেণীর ছাত্রীর পিতা ধর্ষণের মামলা করতে না পেরে ওসির ফরমায়েশ মতো ধর্ষণ চেষ্টার মামলা করতে বাধ্য হয়েছেন। ধর্ষিতার পিতা গফরগাঁও প্রেসক্লাবে এ অভিযোগ করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, প্রথমে পুলিশ মামলা না নিয়ে সালিশ-বৈঠকে মীমাংসার কথা বলে আমাদের থানা থেকে বিদায় করে দেয়। ওসির কথামতো এবং সন্ত্রাসীদের ভয়ভীতি ও চাপে আমরা সালিশ বৈঠকে যাই। সালিশ বৈঠকে এক ধর্ষক রুবেলের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে ও অপর ধর্ষক ওয়াহেদ আলীকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ধর্ষকের পক্ষের লোকজন বিয়ের সওদা করতে বকুলতলা বাজারে গেলে মেয়েসহ আমি কৌশলে সালিশ বৈঠক থেকে পালিয়ে গিয়ে ধর্ষকের সঙ্গে বিয়ের হাত থেকে আমার মেয়েকে রক্ষা করি। এসব ঘটনার সংবাদ জনকণ্ঠসহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হলে ১১ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরে পাগলা থানার ওসি চান মিয়া আমাদের খবর দিলে আমরা পাগলা থানায় যাই। এ সময় ওসি চান মিয়া আমাকে বলেন, ধর্ষণ মামলা করলে অনেক খরচ হবে, সন্ত্রাসীরা মেরে ফেলবে, মেডিক্যাল করতে হবেÑ এতে মেয়ের ইজ্জত আরও যাবে। মেয়ের সঙ্গেও ওসি আলাদা করে কথা বলেন। ঘটনার ১০ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ কোন আসামিকে ধরছে না। আসামিরা মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিচ্ছে। প্রত্যাহার না করলে আমাকে ও আমার ছেলেকে গুম করার হুমকি দিচ্ছে। এ ব্যাপারে পাগলা থানার ওসি চান মিয়া বলেন, মেয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। মেয়ের স্বীকারোক্তি ভিডিও করা আছে। আসামিদের ধরার চেষ্টা চলছে। হুমকিতে ছাত্রীর লেখাপড়া বন্ধ স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলার অন্যতম আসামি নুর হোসেনের মাদক সম্রাজ্যের নিয়ন্ত্রক মনির আকনের অব্যাহত যৌন হয়রানির মুখে গত এক মাস ধরে পড়াশোনা বন্ধ করে এক স্কুলছাত্রী অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার রাকুদিয়া নতুনহাট গ্রামের। ওই গ্রামের ইব্রাহিম হাওলাদার জানান, তার কন্যা সাথী আক্তার মহিষাদী পারভেজ মোশারফ রাশিদা একাডেমি থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী। তিনি অভিযোগ করেন, একই গ্রামের নজির আকনের পুত্র মনির আকন দীর্ঘদিন থেকে নারায়ণগঞ্জের নুর হোসেনের সহযোগী হিসেবে কাজ করে আসছিল। সাত খুনের ঘটনার পর মনির দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলে। সম্প্রতি সে নিজ গ্রামে আসে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, মনির তার স্কুল পড়ুয়া কন্যা সাথী আক্তারকে বিভিন্ন ধরনের যৌন হয়রানি করে আসছে। মনিরের অব্যাহত হয়রানির মুখে গত এক মাস আগে তার কন্যার পড়াশোনা বন্ধ করে উত্তরাঞ্চলের এক নিকট আত্মীয়র বাড়িতে রাখা হয়। মনিরের আগে দুটি স্ত্রী রয়েছে।
×