ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শান্তিতে আনন্দময় ঈদ

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬

শান্তিতে আনন্দময় ঈদ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসবমুখর পরিবেশে মঙ্গলবার সারাদেশে ঈদ-উল-আযহা উদযাপিত হয়েছে। মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ এবং দেশ-জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনার পাশাপাশি সবাইকে জঙ্গীমুক্ত রাখতে ঈদ জামাত শেষে আল্লাহর দরবারে মোনাজাত করা হয়। বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঈদের নামাজ শেষে মহান ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে কোরবানির মধ্য দিয়ে মুসলমানরা অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসবে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের চেষ্টা করে। রমজানের ঈদের আগে গুলশানে এবং ঈদের দিন শোলাকিয়ায় জঙ্গী হামলা হওয়ায় এবারও এ ধরণের ঘটনা ঘটে কি না এ নিয়ে জনমনে আশঙ্কা ছিল। তবে সরকারের পক্ষ থেকে দেশব্যাপী কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করায় সারাদেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ঈদ উদযাপিত হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ঈদের আগেই দেশবাসীকে আশ্বস্ত করা হয় জঙ্গী হামলাসহ যে কোন ধরনের নাশকতামূলক ঘটনা যাতে না ঘটতে পারে সেজন্য তারা সতর্ক প্রহরায় থাকবে। এরই অংশ হিসেবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদা সতর্ক ছিল। এছাড়া জঙ্গী সংগঠনগুলো যাতে কোনভাবে কোন অঘটন ঘটাতে না পারে সেজন্য সারাদেশে কঠোর নজরদারি ছিল। আর ঈদের আগেই কয়েকটি জঙ্গী আস্তানায় অভিযান চালিয়ে তাদের অস্ত্রসহ ধরে ফেলা হয়। এছাড়া ঘরমুখী মানুষের যাত্রা নিরাপদ করতে পথে পথে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়। এর ফলে মানুষ অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক নিরাপদ ও স্বস্তিতে নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছতে পারে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, এবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক থাকায় দেশের কোথাও কোন অঘটন ঘটেনি। অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে মানুষ ঈদ উদযাপন করতে পেরেছে। রোজার ঈদে শোলাকিয়ায় ঈদ জামাতের অদূরে জঙ্গী হামলা হওয়ায় এবং জনমনে ঈদ উৎসব পালন নিয়ে আশঙ্কা থাকায় এবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সারাদেশের সকল স্থানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে। এজন্য মানুষের মনে আতঙ্ক থাকলেও সরকার তাদের আতঙ্কমুক্ত পরিবেশে ঈদ উদযাপন করতে সহায়তা করেছে। এ সরকার জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এবারের ঈদ উৎসব পালনের মধ্য দিয়েই জনগণ তার প্রমাণ পেয়েছে। এজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ধন্যবাদ পেতে পারে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই সারাদেশের অধিকাংশ এলাকায় বৃষ্টি হয়। কিন্তু ঈদ উৎসব পালনে বৃষ্টি বাধা হতে পারেনি। বৃষ্টির মধ্যেই মুসল্লির ঢল নেমেছিল ঈদগাহগুলোতে। ঈদের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায়ের জন্য ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা যথাসময়ে নিজ নিজ ঈদগাহ বা মসজিদে সমবেত হন। ধনী-গরিবের ভেদাভেদ ভুলে সবাই এক কাতারে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে নিজের পাপমোচন এবং পরিবার-পরিজন, দেশ ও মুসলিম উম্মাহর জন্য আল্লাহর দরবারে মোনাজাত করেন তারা। এর পাশাপাশি দেশ ও মুসলিম উম্মাহকে জঙ্গীমুক্ত রাখতে আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করেন। এরপর হযরত ইব্রাহিম (আ)-এর মহান আত্মত্যাগের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজের ভেতরের পশুত্বকে পরিহার ও আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের আশায় পশু কোরবানি করেন। কোরবানির পর আত্মীয়স্বজন ও গরিব মানুষদের মধ্যে যে যার সাধ্যমতো মাংস বিতরণ করেন। যারা কোন কারণে ঈদের দিন পশু কোরবানি দিতে পারেননি তারা ঈদের পরদিন কোরবানি দিয়েছেন। পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও সড়কদ্বীপ জাতীয় ও ঈদ মোবারক খচিত পতাকা দিয়ে সুশোভিত করা হয়। সকল সরকারী-বেসরকারী ভবনেও জাতীয় পতাকা ও ঈদ মোবারক খচিত পতাকা উত্তোলন করা হয়। কারাগার, হাসপাতাল, ভবঘুরে কেন্দ্র, বৃদ্ধাশ্রম, শিশু সদনে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। এবার ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে কোরবানির জন্য সাত শতাধিক স্থান নির্দিষ্ট করে দেয়ায় রাজধানীর পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়। আর ঈদের ছুটিতে বিপুলসংখ্যক মানুষ রাজধানী ছেড়ে যাওয়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করে। প্রতিবারের ন্যায় এবারও রাজধানী ঢাকায় সকাল আটটায় সুপ্রীমকোর্ট প্রাঙ্গণে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ, মন্ত্রিসভার সদস্যবৃন্দ, সুপ্রীমকোর্টের বিচারকগণ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, সংসদ সদস্যগণ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সরকারের উর্ধতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ সর্বস্তরের মানুষ সেখানে ঈদের নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে রাষ্ট্রপতি সেখানে উপস্থিত সকলের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এবারের ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মাওলানা মিজানুর রহমান। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত ঈদের এ প্রধান জামাতে মহিলা ও বিদেশী কূটনীতিকদের নামাজ আদায়ে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়। খাবার পানি ও মোবাইল টয়লেটেরও বিশেষ ব্যবস্থা ছিল। জাতীয় ঈদগাহে সুষ্ঠুভাবে ঈদ জামাত অনুষ্ঠানে নেয়া হয়েছিল বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ঈদগাহে সকল প্রবেশপথ এবং ভিআইপি ও ভিভিআইপিদের নামাজের স্থানসহ ঈদগাহ মাঠের প্যান্ডেলে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। প্রধান এ জামাতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাদা পোশাকে র‌্যাব এবং পুলিশ সদস্যরা ঈদগাহ ময়দানে সার্বক্ষণিক তৎপর ছিলেন। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে এবার ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৭টায়। এছাড়া বায়তুল মোকাররমে দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৮টায়, তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায়, চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায়, পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হয় বেলা পৌনে ১১টায়। প্রথম জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা মুহিব্বুল্লাহিল বাকী নদভী, দ্বিতীয় জামাতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুহাদ্দিস মাওলানা ওয়ালীয়ুর রহমান খান, তৃতীয় জামাতে মহাখালী হোসাইনিয়া কামিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ড. মাওলানা নজরুল ইসলাম আল মারুফ, চতুর্থ জামাতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ এবং পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাতে ইমামতি করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক হাফেজ মাওলানা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান। সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে ঈদ-উল আযহার নামাজ আদায়ের জন্য মুসল্লিদের সুবিধার্থে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যাপ্ত পানি ও নিñিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে নামাজ শেষে দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি, উন্নয়ন এবং দেশের জনগণ ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করা হয়। ঈদের দিন দুপুরে বঙ্গভবনে বিদেশী কূটনীতিকসহ সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ। আর গণভবনে বিদেশী কূটনীতিক এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারের ঈদে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া হজ করার জন্য সৌদি আরবে থাকায় রাজধানীতে বিএনপির পক্ষ থেকে কেউ সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেননি। তবে সৌদি আরব থেকে খালেদা জিয়া গণমাধ্যমে পাঠানো বাণীর মাধ্যমে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানান। এবারের ঈদে ঘরমুখী লাখ লাখ মানুষকে ভয়াবহ যানজটের কবলে পড়ে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বিশেষ করে ঢাকা-টাঙ্গাইল, ঢাকা-আরিচা, ঢাকা-মাওয়া ও ঢাকা-চট্টগ্রাম রোডে বেশি যানজট হয়। তবে শত দুর্ভোগ ও ভোগান্তি সত্ত্বেও ঘরমুখী মানুষ নিজ গন্তব্যে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পবিত্র ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেছেন। ঈদ শেষে এখন মানুষ ফের রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছেন। তবে এখনও অনেক মানুষ ঢাকার বাইরে থাকায় রাজধানীর রাজপথ যেন একেবারে ফাঁকা। ঈদের আমেজ এখনও কাটেনি। চিরচেনা সে যানজট আর নেই। প্রতি বছর দেশের বৃহত্তম ঈদ জামাত কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় অনুষ্ঠিত হলেও এবার বৃষ্টি ও জঙ্গী হামলার আতঙ্কের কারণে সেখানে মুসল্লির সংখ্যা ছিল এ যাবতকালের মধ্যে সবচেয়ে কম। তবে সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা থাকায় রোজার ঈদের মতো এবার কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি। ঢাকার বাইরে এবার ফরিদপুরের বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে ঈদের বৃহত্তর জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টায় ৬৯ বছরের ঐতিহ্যবাহী ঈদের এ মহাজামাতে লক্ষাধিক মুসল্লি শরিক হন বলে বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এছাড়া সেখানে ঈদের জামাত শেষে মক্কার মীনার আদলে তিন দিনব্যাপী পশু কোরবানি হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জমিয়ায় ঈদ-উল-আযহার দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম জামাত সকাল ৮টায় এবং দ্বিতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া সল্লিমুল্লাহ হলের প্রধান গেটসংলগ্ন মাঠে এবং শহীদুল্লাহ হল লনে ঈদ-উল-আযহার জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৮টায়। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে। পুরাতন ঢাকায় আহলে হাদিসের ঈদ-উল-আযহার প্রধান জামাত সকাল ৮টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। এতে খুতবা প্রদান ও ইমামতি করেন বংশাল আহলে হাদিস বড় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আলহাজ মোস্তফা বিন বাহাউদ্দিন আস সালাফি। রাজধানীর বাবে রহমত, দেওয়ানবাগ শরিফে তিনটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করেন সুফি সম্রাট হযরত সৈয়দ মাহবুব-এ-খোদা দেওয়ানবাগী হুজুর। এছাড়া সেখানে সকাল ৯টায় দ্বিতীয় ও সকাল ১০টায় তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সায়েদাবাদ আরজুশাহ পাক দরবার শরিফ বড় জামে মসজিদে ঈদের প্রথম জামাত সকাল সাড়ে ৭টায়, দ্বিতীয় জামাত সাড়ে ৮টায় ও তৃতীয় জামাত সাড়ে ৯টায় অনুষ্ঠিত হয়। নয়াপল্টন জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া গে-ারিয়া ধূপখোলা মাঠ, এলিফ্যান্ট রোড এ্যারোপ্লেন মসজিদ, পল্লবী ৬ নম্বর সেকশন মসজিদ, কামরাঙ্গীরচর কেন্দ্রীয় ঈদগাহে সাড়ে ৭টায়, মিরপুর ১২ নম্বর সেকসনের হারুন মোল্লা ঈদগাহ, পার্ক ও খেলার মাঠে সকাল সাড়ে ৭টায়, মিয়া সাহেব ময়দান খানকা শরিফ জামে মসজিদে সকাল ৭টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। মোহাম্মদপুর জামে মসজিদ কমপ্লেক্সে সকাল সাড়ে ৭টায়, মিরপুর সেকশন ১২-ডি ব্লক মাঠে সকাল ৭টায়, রসুলবাগ জামে মসজিদের প্রথম জামাত ৭টায়, মানিকনগর পুকুরপাড় জামে মসজিদে প্রথম জামাত সাড়ে ৭টায়, আবুজর গিফারী কলেজ মাঠ, কল্যাণপুর হাউজিং এস্টেট মসজিদ ও মদিনাবাগ কেন্দ্রীয় মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টা, পল্লীমা সংসদ ময়দানে ঈদ জামাত সকাল ৮টায়, দারুস সালাম মীরবাড়ি আদি জামে মসজিদে সকাল ৭টায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। কলাবাগান বশিরউদ্দিন রোড জামে মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৮টায়। এছাড়া বাউলিয়াপাড়া, কামরাঙ্গীরচর কেন্দ্রীয় ঈদগাহে ৮টায়, মানিকনগর পুকুরপাড় জামে মসজিদে দ্বিতীয় জামাত সাকাল ৮টায়, রসুলবাগ জামে মসজিদের দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায়, নুরানী জামে মসজিদ লক্ষ্মীবাজারে ৮টায়, লক্ষীবাজার নূরানী মসজিদ ও মগবাজার বিটিসিএল কলোনি জামে মসজিদে সকাল ৮টায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
×