ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মীর কাশেমের ফাঁসি

পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে নিন্দা প্রস্তাব পাস

প্রকাশিত: ০৮:৩১, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬

পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে নিন্দা প্রস্তাব পাস

কূটনৈতিক রিপোর্টার ॥ ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধী ও জামায়াতে ইসলামী নেতা মীর কাশেম আলীর মৃত্যুদ-ের প্রতিবাদে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নিন্দা প্রস্তাব পাস করেছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার জন্য বার বার আহ্বান জানানো সত্ত্বেও বুধবার দেশটির জাতীয় পরিষদে এই নিন্দা প্রস্তাব পাস করা হয়। রেডিও পাকিস্তানের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সূত্র জানায়, জামায়াত নেতা মীর কাশেম আলীর মৃত্যুদ-ের প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে নিন্দা প্রস্তাব উত্থাপন করেন শের আকবর খান এমপি। তিনি দাবি করেন, ১৯৭৪ সালের ত্রিপক্ষীয় চুক্তি লঙ্ঘন করে বাংলাদেশ যুদ্ধাপরাধ বিচার চালিয়ে যাচ্ছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্যই এই বিচার প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করে নিন্দা প্রস্তাব উত্থাপন করেন আকবর খান। তার দেয়া এই প্রস্তাব পাস করেন জাতীয় পরিষদের স্পীকার সরদার আয়াজ সাদিক। যুদ্ধাপরাধী মীর কাশেম আলীর মৃত্যুদ- কার্যকরের প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে গভীর মর্মাহত হয়েছে বলে জানায় দেশটি। এছাড়া এই বিচারকে ত্রুটিপূর্ণ হিসেবে আখ্যায়িত করে। ইসলামাবাদের প্রতিক্রিয়ার কড়া প্রতিবাদ জানায় ঢাকা। সে অনুযায়ী রবিবার ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার সামিনা মেহতাবকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। সে সময় পাকিস্তানকে জানিয়ে দেয়া হয়, যুদ্ধাপরাধের বিচার বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সে কারণে বাংলাদেশের এই একান্তই অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাতে নিষেধ করা হয়। দেশটির এই আচরণকে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রতি বড় আঘাত বলেও অভিহিত করে বাংলাদেশ। তবে এই ঘটনার পরও বুধবার জাতীয় পরিষদে নিন্দা প্রস্তাব পাস করে দেশটি।
×