ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে চলছে ভাঙ্গাগড়ার খেলা

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬

দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে চলছে ভাঙ্গাগড়ার খেলা

নিজস্ব সংবাদদাতা, রাজবাড়ী, ৫ সেপ্টেম্বর ॥ বন্যার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ার পদ্মা নদীতে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ভাঙ্গনের কারণে দৌলতদিয়ার ২ নম্বর ফেরিঘাটটি আজ স্থানান্তর করা হয়েছে। অপরদিকে ৪ নম্বর ফেরিঘাটের পন্টুনের র‌্যাম ভেঙ্গে যাওয়ায় সোমবার সকাল থেকে এ ঘাটটি দিয়ে যানবাহন পারাপার বন্ধ রাখা হয়েছে। দৌলতদিয়ায় ৪টি ফেরিঘাটের মধ্যে বর্তমানে ২টি ঘাট দিয়ে যানবাহন পারাপার করায় ঘাটে নদী পারের অপেক্ষায় যাত্রীবাহী পারিবহন, গরু বোঝাই ট্রাকসহ ৪ শতাধিক বিভিন্ন প্রকার যানবাহন অপেক্ষায় রয়েছে। সময় যতই গড়িয়ে যাচ্ছে যানবাহনের ভিড় ততই বাড়ছে। বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, প্রচ- ঢেউ আর স্রোতের কারণে ফেরিঘাট রক্ষা করা যাচ্ছে না। সকালে ফেরিঘাট ভাল থাকলেও দুপুরে সে ঘাট ভেঙ্গে যাচ্ছে। কর্তৃপক্ষ ঘাটগুলোকে রক্ষার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ঘাটের অবস্থা এখন খুবই শোচনীয়। দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে চলছে এখন ভাঙ্গাগড়ার খেলা। এদিকে ভাঙ্গনের কারণে দীর্ঘ ১ মাস বন্ধ থাকার পর আজ বেলা ৩টা থেকে ১ নম্বর ফেরিঘাট পুনরায় চালু করা হয়েছে। দৌলতদিয়া বিআইডব্লিউটিসির ঘাট কর্তৃপক্ষ বর্তমান এ পরিস্থিতির কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ার এ নৌরুটে চলাচলকারী যানবাহনগুলোকে বিকল্প পথ ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে। বিআইডব্লিউটিসির ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, নদী ভাঙ্গন এবং প্রচ- স্রোতের কারণে মাঝে মাঝে ঘাট বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। বর্তমানে ২টি ঘাট চালু থাকার ফলে স্বাভাবিক যানবাহন পারাপার ব্যাহত হচ্ছে। বন্ধ থাকা ৪ নম্বর ফেরিঘাটটির জরুরী ভিত্তিতে মেরামতের কাজ চলছে। রাত নাগাদ ঘাটটি মেরামত করা হলেই এ ঘাটটি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হবে বলে কর্তৃপক্ষ জানান। এদিকে দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধানর সম্পাদক মোঃ নুরুল ইসলাম ম-ল জানান, দৌলতদিয়া ইউনিয়নেরই চলতি এক মাসে পদ্মার ভাঙ্গনে ৮শ’ পরিবারের ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে আর ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে রয়েছে আরও ৬শ’ পরিবারের জায়গা-জমি ঘরবাড়ি। এদিকে দৌলতদিয়া ঘাটের এ অবস্থার প্রেক্ষিতে এলাকার সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ী, পরিবহন শ্রমিক, মালিকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। ঈদের আগে ঘাট পরিস্থিতির উন্নতি না হলে ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থা কঠিন হয়ে পড়বে। একই সঙ্গে ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করবে।
×