ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

কৃষি উন্নয়নে সমবায়

প্রকাশিত: ০৭:২৯, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬

কৃষি উন্নয়নে সমবায়

বিশ্বে যত ধরনের প্রযুক্তি আছে, তার প্রায় সবই আমাদের কৃষিতে ব্যবহৃত হচ্ছে। এর সঙ্গে রয়েছে দেশীয় বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত বিভিন্ন ধরনের বীজ, যন্ত্রপাতি ও পদ্ধতি।আমাদের কৃষিতে এ বৈষম্য বর্তমানে প্রকট রূপ ধারণ করেছে। দেশের প্রায় ৭০% কৃষক হচ্ছে প্রান্তিক কৃষক।আমাদের কৃষিতে একটি অত্যন্ত শক্ত মধ্যস্বত্ব¡ভোগী শ্রেণী বিদ্যমান আছে। বিভিন্ন কৃষি উপকরণ ও উৎপাদিত ফসলের বাজার মূলত এরাই নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে আমাদের প্রান্তিক কৃষকরা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করেও লাভবান হতে পারছে না।জাতির জনক কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এবং কৃষকের তথা প্রান্তিক কৃষকের সহায়তার জন্য স্বাধীনতার পরপরই ১৯৭২ সালে পূর্ব পাকিস্তান কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনকে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন নামে পুনর্গঠন করেছিলেন। এর মাধ্যমে আমাদের দেশের কৃষককে ন্যায্যমূল্য অথবা বিনামূল্যে সেচযন্ত্রসহ বিভিন্ন কৃষি উপকরণ সরবরাহ শুরু হয়েছিল। কৃষকদের জন্য তিনি ভর্তুকিরও ব্যবস্থা করেছিলেন।১৯৯৬ এ সরকার এসে বিএডিসিকে আবার চাঙ্গা করে এবং কৃষিতে কৃষককে দেয়া যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা ও ভর্তুকি ব্যবস্থা পুনরায় চালু করে। দেশ খাদ্যশস্য উৎপাদনে শুধু স্বয়ংসম্পূর্ণতাই অর্জন করেনি, উদ্বৃত্ত উৎপাদন করতে সমর্থ হয়েছিল। ১০ টাকায় ব্যাংকে হিসাব খোলা, স্বল্পসুদে ঋণ প্রদান, ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি ইত্যাদি আরও অনেক নতুন সুবিধাদি কৃষককে দেয়া হয়। ফলে দেশ আবার খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে।এতকিছুর পরেও বাজার অর্থনীতির কারণে আমাদের প্রান্তিক কৃষক মার খাচ্ছে। ন্যায্য দাম পাচ্ছে না। লাভবান হতে পারছে না। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য কৃষির সমবায়ীকরণের কোন বিকল্প নেই। বর্তমান বিশ্বে প্রায় সব উন্নত দেশেই সমবায় আছে- হোক তা পুঁজিবাদী বা সমাজতন্ত্রী। কর্মকা-ের ধরনে কিছু পার্থক্য থাকলেও, মূল লক্ষ্য এদের এক। আর তা হচ্ছে উৎপাদন বৃদ্ধি ও টেকসই উৎপাদন।আমাদের প্রান্তিক কৃষককে মধ্যস্বত্বভোগীদের কবল থেকে রক্ষার জন্য এবং টেকসই কৃষি উন্নয়নের জন্য যত দ্রুত সম্ভব কৃষির সমবায়ীকরণ করতে হবে। মো. শাহজাহান
×