স্টাফ রিপোর্টার, ঈশ্বরদী ॥ ঈশ্বরদী প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা হওয়া সত্ত্বেও প্রায় এক লাখ পৌরবাসীর নাগরিক সুবিধা বাড়েনি। বেড়েছে পৌর ট্যাক্স, আলো স্বল্পতা ও পানির বিল। প্রথম শ্রেণীর পৌরসভার অনেক রাস্তার অবস্থা ভাল নেই। কোন কোন রাস্তায় সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে জনদুর্ভোগ বৃদ্ধি পায়। আবার কোন কোন রাস্তায় মালবাহী ট্রাকের চাকা বসে রাস্তা ব্লক হয়ে অন্যান্য যানবাহন ও মানুষ চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি হয়। পানির বিল সংযোগপ্রতি ৫০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ২শ’ টাকা করা হয়েছে। কিন্তু পানি সাপ্লাইয়ের গুণগতমান বাড়ানো হয়নি। আবার চাহিদার শতকরা মাত্র ৩৫ ভাগ সংযোগ দেয়া সম্ভব হয়েছে। ৩১ দশমিক শূন্য ৭৩ বর্গকিলোমিটার আয়তনের পৌর এলাকায় সংশ্লিষ্ট অফিসের হিসাব অনুযায়ী ২৫শ’ ৯১টি লাইট জ্বালানোর কথা বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে কয়টি জ্বলে তা বলা কঠিন। তবে উপজেলা রোডে মাসাধিক কাল থেকে লাইট জ্বলে না। সন্ধ্যার পর থেকে ভুতুড়ে অবস্থার সৃষ্টি হয়। ট্রাফিক জ্যামের পাশাপাশি বাজার রোডে দিনের বেলায় ট্রাক থেকে মালামাল আনলোড করায় জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই অনেক এলাকায় মানুষকে ভোগান্তির শিকার হতে হয়।
১৮ দিনে হত্যা মামলা নেয়নি পুলিশ
স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ গৃহবধূ রাবেয়া হত্যার ১৮ দিন পরও রহস্যজনক কারণে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অজুহাত দেখিয়ে হত্যা মামলা রেকর্ড করেনি পুলিশ। উল্টো হত্যার সঙ্গে জড়িতরা প্রকাশ্যে নিহতের স্বজনদের মামলা না করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমকি অব্যাহত রেখেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি জেলার হিজলা উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামের। একই উপজেলার আবুপুর গ্রামের দিনমজুর রাজ্জাক বেপারি অভিযোগ করেন, গত ৭ আগস্ট দুপুরে পরিকল্পিতভাবে রাবেয়াকে হত্যা করে তার শ্বশুর পরিবারের লোকজন। স্থানীয়দের কাছে তারা রাবেয়ার মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে ওই বাড়ি থেকে রাবেয়ার লাশ উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় তিনি (রাজ্জাক) বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়েরের জন্য লিখিত অভিযোগ করা সত্ত্বেও পুলিশ রহস্যজনক কারণে মামলা রেকর্ড করেনি। উল্টো অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে মামলা দায়ের না করার জন্য তাকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমকি অব্যাহত রেখেছে।
এ ব্যাপারে হিজলা থানার ওসি মাসুদুজ্জামান বলেন, নিহত গৃহবধূ রাবেয়ার লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তাই ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা এ নিয়ে সন্দেহ দেখা দেয়। বিধায় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাচ্ছে না।
সাতক্ষীরায় সাপের কামড়ে মৃত্যু
স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা ॥ দুই দিনের ব্যবধানে সাপের কামড়ে বাবা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার শ্রীকলা গ্রামে। বুধবার গভীর রাতে ছেলে আমিরুল ইসলাম বাড়িতে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় বিষাক্ত সাপের কামড়ে তার মৃত্যু হয়। এর দুই দিন আগে একইভাবে তার বাবা আনার গাজীরও মৃত্যু হয়েছে।