ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

গবেষণা প্রতিবেদন রামপাল তাপবিদ্যুত প্রকল্পে জীব বৈচিত্র্যের কোন ক্ষতি হবে না

প্রকাশিত: ০৫:৩১, ২৩ আগস্ট ২০১৬

গবেষণা প্রতিবেদন রামপাল তাপবিদ্যুত  প্রকল্পে জীব বৈচিত্র্যের কোন  ক্ষতি হবে না

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ ‘রামপাল তাপবিদ্যুত কেন্দ্রের জন্য কয়লা পরিবহনে পশুর নদীর নৌ-পথকে প্রধান্য দেয়া হবে। মংলাবন্দরে এই নৌপথ দিয়ে জাহাজ চলাচল করছে। নিয়মিত ড্রেজিং করে এই নদীর নাব্য রক্ষা হবে। এই রুটে কয়লা পরিবহনে পরিবেশ বা সুন্দরবনের কোন ক্ষতি হবে না। তবু দুর্ঘটনার ঝুঁকি মোকাবেলায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।’ সোমবার দিনব্যাপী ‘রামপালে ১৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থার্মাল বিদ্যুত প্রকল্পের কয়লা পরিবহনে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য, পরিবেশ ও আর্থ-সামাজিক কোন ক্ষতি হবে কি না-সে ব্যাপারে দীর্ঘ সমীক্ষা শেষে প্রস্তুত প্রতিবেদনের ওপর অনুষ্ঠিত এক অবহিতকরণ সভায় এ কথা জানানো হয়। বাগেরহাট কালেক্টরেট সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি এ্যাডভোকেট মীর শওকাত আলী বাদশা এমপি। বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাওয়ার কোম্পানি লি: (বিআইএফপিসিএল)’র ব্যবস্থাপনায় বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞ মোঃ মোখতারুজ্জামান, বিদ্যুত বিশেষজ্ঞ মোঃ আজিজুল হক, জালাল আহমদ চৌধুরী, সমাজবিদ এটিএম সামছুল আলম, মনিরুল ইসলাম মানিক, রামপাল উপজেলা পরিশদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রফেসর আঃ রউফ, বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সভাপতি এ্যাডভোকেট শাহ আলম টুকু প্রমুখ। সমীক্ষা রিপোর্ট উত্থাপন করেন বিআইএফপিসিএল’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর উজ্জল কান্তি ভট্টাচার্য। সভায় বিভিন্ন দফতর, বিভাগ ও সামাজিক সংগঠনের শতাধিক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল এ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেস (সিইজিআইএস) এই গবেষণা প্রতিবেদন অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথি মীর বাদশা বলেন, আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে বাংলাদেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে একটি মহল এই মেগা উন্নয়ন প্রকল্পের বিরোধিতা করছে। তারা পরিকল্পিতভাবে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। তিনি এ জন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে আরও প্রচারের মাধ্যমে সঠিক তথ্য তুলে ধরার ওপর গুরুত্ব দেন। পশুর, মংলা-ঘষিয়াখালি ও শিবসা প্রস্তাবিত তিনটি নৌপথের মধ্যে মংলাবন্দরের পশুর চ্যানেলকে অগ্রাধিকার দিয়ে ক্ষতি প্রতিরোধে ১৩ নির্দেশনা সস্পর্কে বিস্তারিত অবহিত করা হয়। নৌপথ তিনটি হলো পশুর নৌপথ : ফেয়ারওয়ে থেকে হিরণপয়েন্ট-আকরাম পয়েন্ট-হাড়বাড়িয়া-মংলা হয়ে রামপাল, শিবসা নৌপথ : ফেয়ারওয়ে থেকে হিরণপয়েন্ট-আকরাম পয়েন্ট-চুনকুরি-চালনা হয়ে বিদ্যুতকেন্দ্র এবং মংলা-ঘাষিয়াখালী নৌপথ : ফেয়ারওয়েবয়া থেকে বলেশ্বর, ঘাষিয়াখালী-মংলা-পশুর-মোংলা বন্দর হয়ে রামপাল তাপ বিদ্যুতকেন্দ্র। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কয়লা বিদ্যুত কেন্দ্রের উদাহারণ উল্লেখ করে সভায় উজ্জল কান্তি ভট্টাচার্য জানান, সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে নির্মিত রামপাল বিদ্যুতকেন্দ্র পরিবেশের বা সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যের কোন প্রকার ক্ষতি হবে না।
×