ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ফরিদ আলী আবারও অসুস্থ

প্রকাশিত: ০৭:১৮, ২২ আগস্ট ২০১৬

ফরিদ আলী আবারও অসুস্থ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অভিনেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ আলী আবারও অসুস্থ হয়ে রাজধানীর হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের সিসিইউতে আছেন। তার ছোট ছেলে ইমরান আলী জয় রবিবার দুপুরে জনকণ্ঠকে জানান, তার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। তার দুটি পা অবশ হয়ে গেছে। ফুসফুসে পানি জমেছে এবং হার্টের রেট এখন ২৫ শতাংশ। তিনি হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ আবদুল কাদের আখন্দের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন। জয় বলেন, গত ১৯ আগস্ট বাবা ও মায়ের ৪১তম বিবাহবার্ষিকীর আয়োজন করছিলাম। এদিন সন্ধ্যায় হঠাৎ বাবা চিৎকার করে ওঠেন। তার সারা শরীর ঘামতে থাকে। সঙ্গে সঙ্গে আমরা বাবাকে ওয়ারী বারডেম হাসপাতালে নিয়ে যাই। ওইখানের ডাক্তাররা বাবার আগের প্রেসক্রিপশন দেখে। কয়েক মাস আগে বাবার চিকিৎসা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহায়তায় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে হয়েছিল। ডাক্তাররা সেই প্রেসক্রিপশন দেখে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেন। ব ওই দিনই সেখানে ভর্তি করা হয়। এখন তাকে সিসিইউতে রাখা হয়েছে। পা দুটো অবশ এবং ফুসফুসে পানি জমেছে। তিনি এখন হাসপাতালের সিসিইউতে ৬নং বেডে আছেন। এখন তার শারীরিক অবস্থা মোটেই ভাল নয়। আমরা বাবার জন্য সবার দোয়া চাই। অভিনেতা ফরিদ আলীর বয়স এখন ৭২ পেরিয়ে। একাডেমিক শিক্ষায় তেমন অগ্রসর না হয়েও তিনি অভিনয় জগতে দেখিয়েছেন পারদর্শিতা। কৌতুক অভিনয়ে তিনি দর্শকমনে এখনও দাগ কেটে রয়েছেন। বিশেষ করে ‘টাকা দেন দুবাই যাব, বাংলাদেশে থাকব না’ এ সংলাপটির সঙ্গে যারা পরিচিত তারা জানেন অভিনেতা ফরিদ আলীর নাম। নাটক লেখা ও নির্দেশনায়ও সিদ্ধহস্ত ছিলেন এই শিল্পী। শহীদুল আমীনের লেখা ‘কনে দেখা’ নাটকে একটিমাত্র নারী চরিত্রে অভিনয় করে ১৯৬২ সালে তিনি অভিনয় শুরু করেন। অসংখ্য মঞ্চনাটকে তিনি অভিনয় করেছেন। অধ্যাপক মুনীর চৌধুরীর লেখা ‘একতলা দোতলা’ নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে ১৯৬৪ সালে তিনি প্রথম টিভিতে দৃশ্যমান হন। তার নিজের লেখা প্রথম টিভি নাটক হলোÑ ‘নবজন্ম’। অভিনেতা ফরিদ আলীর চলচ্চিত্রে পদার্পণ ১৯৬৬ সালে আমজাদ হোসেনের ‘ধারাপাত’ চলচ্চিত্রের অভিনয়ের মাধ্যমে। এরপর অসংখ্য নাটক ও চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন
×