ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জামালপুরে বাঁধ সংস্কারের টাকা পকেটে

প্রকাশিত: ০৬:৩৩, ২২ আগস্ট ২০১৬

জামালপুরে বাঁধ সংস্কারের টাকা পকেটে

নিজস্ব সংবাদদাতা, জামালপুর, ২১ আগস্ট ॥ ইসলামপুর উপজেলার নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের তাড়তাপাড়া গ্রামে স্বেচ্ছাশ্রমে তৈরি বাঁধটির দেড়শ’ মিটার মাটি গত বন্যায় প্রচ- পানির তোড়ে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ধসে যাওয়ার আশঙ্কায় শংকিত হয়ে বাঁধটির সুফলভোগী ছয় ইউনিয়নের বাসিন্দা চাঁদা তুলে প্রায় নয় লাখ টাকা দিয়ে সংস্কারের কাজ শুরু করে। কিন্তু বাঁধটির সংস্কার কাজ চলমান থাকাবস্থায় স্থানীয় সংসদ সদস্য ফরিদুল হক খান দুলাল চাঁদা তুলে বাঁধের কাজ না করার জন্য নির্দেশ ও ২টি নতুন কমিটি গঠন করে দেন। স্থানীয়দের অভিযোগ বাঁধ তৈরির মূল উদ্যোক্তা নোয়ারপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মসিউর রহমান বাদল সরকারদলীয় লোক না হওয়ায় তাকে বাদ দিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের মাধ্যমে বাঁধের সংস্কার কাজ শুরু করা হয়। সংস্কারের মূল দায়িত্ব দেয়া হয় নোয়ারপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি লুৎফর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সর্দার গোলাম মোস্তফা, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি এসএম আসাদুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিমের ওপর। এই চার নেতা নামমাত্র সংস্কার কাজ করে বরাদ্দের সিংহভাগ টাকাই আত্মসাত করেছে। নোয়ারপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ডাঃ চাঁন মিয়া বলেন, শুনেছি আমাকেও নতুন কমিটিতে রাখা হয়েছে। কিন্তু বাঁধের সংস্কারের জন্য সরকারী অনুদানের টাকা কিভাবে ব্যয় করা হচ্ছে তার কিছুই আমি জানি না। আমাকে জানানো হয় না। বাঁধের বেশ কিছু অংশ ধসে গেছে। তাই এলাকাবাসী বাধ্য হয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাঁশ সংগ্রহ করে বাঁধের ভাঙা অংশ সংস্কারের কাজ করে যাচ্ছে। এলাকাবাসী জানায়, বাঁধের উল্লেখযোগ্য সংস্কার কাজ না হওয়ায় স্থানীয় সংসদ সদস্য ফরিদুল হক খান দুলাল বাঁধ এলাকা পরিদর্শন করে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এলাকাবাসী জানায়, বাঁধটি সংস্কারের জন্য দুই দফায় ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। বরাদ্দকৃত বিপুল পরিমাণ অর্থ বাঁধ সংস্কার কাজে ব্যয় না করে আত্মসাত করা হয়েছে। সংসদ সদস্য ফরিদুল হক খান দুলাল বলেন, বাঁধটি সংস্কারের জন্য দুই দফায় মোট ২৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এর মধ্যে কিছু কাবিখা প্রকল্পের ও কিছু নগদ অর্থ রয়েছে। তিনি বলেন, এই দিয়ে ১৯ লাখ টাকার জিও ব্যাগ কেনা হয়েছে। তিনি বলেন, বাঁধ সংস্কারের কাজ তদারকীর দায়িত্ব আমি পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে দিয়েছি যদিও এটি তাদের কাজ না। অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে তিনি বলেন, সামান্য কিছু টাকা এদিক সেদিক হতে পারে। বাঁধের কিছু অংশ ধসে যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের মূল বাঁধের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
×