ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ১৯ আগস্ট ২০১৬

উবাচ

জঙ্গীবাদ স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান বলছেন, সরকার দেশকে জঙ্গীবাদী রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করতে চায়। জঙ্গী নিধনে সরকারের কঠোর পদক্ষেপের মধ্যেই এ ধরনের বক্তব্য দিলেন বিএনপি নেত্রী। অতীতে বাংলা ভাইদের বেড়ে ওঠার সময়ে বিএনপি জোটের পক্ষ থেকে বলা হতো দেশের জঙ্গীবাদ মিডিয়ার সৃষ্টি। কিন্তু পরে বাংলা ভাই-শায়খ আবদুর রহমানের জঙ্গীবাদ সৃষ্টির প্রমাণ পাওয়া যায়। বিএনপির সময়েই তাদের গ্রেফতার করা হয়। অন্তত এখন সেই রকম কিছু হচ্ছে না। সরকার কঠোর হাতে জঙ্গীবাদ মোকাবেলা করছে। সেলিমা রহমান বলেন, জঙ্গীবাদ নিয়ে সরকারের কোন বক্তব্যই স্পষ্ট নয় বরং এই সরকার দেশটাকে একটি জঙ্গীবাদী রাষ্ট্র হিসেবে পরিচয় করাতে চায়। তাই আমি বলতে চায়, বাংলাদেশে কোন জঙ্গী নেই। তিনি আরও অভিযোগ করেন, বর্তমান সরকার বিএনপির নেতাকর্মীদের ধরে নিয়ে জঙ্গী বানানোর চেষ্টা করছে। এমনকি তারা আমাদের লোকদের একের পর এক মামলা দিচ্ছে। কিন্তু সম্প্রতি জঙ্গী তৎপরতায় গ্রেফতারকৃতদের সবাই জেএমবির সদস্য। তাহলে বিএনপি নেত্রী এদেরই কি নিজের লোক দাবি করছেন? রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বাংলাদেশ একটি ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। রাষ্ট্র একটি দলের তল্পিবাহক হয়ে কাজ করছে। সর্বত্রই গুম-খুন হচ্ছে। পৃথিবীর চোখের সামনে একের পর এক এসব ঘটনা ঘটছে। কিন্তু বিশ্ব বিবেক নীরব। ‘বিগত আন্দোলনে নির্যাতনের শিকার পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে সারাদেশে বিরোধী দলের লাখ লাখ নেতাকর্মীর নামে হাজার হাজার মামলা দিয়ে নির্যাতন করছে সরকার। তারা মনে করে বিএনপিকে ধ্বংস করতে পারলেই প্রতিবাদ করার মতো আর কেউ থাকবে না। সহজেই এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা যাবে। বিএনপির এই নেতা বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকার ২০১০ সাল থেকে হত্যাকা- শুরু করে। সরকারের হত্যাকা-ের শিকার হয়েছেন এক হাজারের বেশি, গুম হয়েছে পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী। গুম, খুন, পত্রিকা বন্ধ করে সমস্যার সমাধান করা যাবে না বলে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, উগ্রবাদ-জঙ্গীবাদ সমস্যা সমাধানে বিএনপি চেয়ারপারসন নিঃস্বার্থভাবে জাতীয় ঐক্যর ডাক দিয়েছেন। সরকার তাতে কর্ণপাত না করে প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা জানে কোন জাতীয় ঐক্য হলে তারা সেখান থেকে সুবিধা নিতে পারবে না। রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস দিয়ে জঙ্গীবাদ বন্ধ হবে না। সবাইকে মিলে জাতীয় ঐক্য গঠন করে উগ্রবাদ-জঙ্গীবাদ প্রতিরোধ করতে হবে। আমাদের আন্দোলন চলছে। সত্য ও সুন্দরের আন্দোলন কোনদিন ব্যর্থ হয়নি। আমাদের এ আন্দোলন ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়। এ আন্দোলন গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা ও মানুষের অধিকার রক্ষার আন্দোলন। আমাদের আন্দোলন সফল হবেই। ধন্যবাদ স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতীয় শোক দিবসে ‘মিথ্যা জন্মদিন’ উদ্যাপনের নামে কেক না কাটার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। গত মঙ্গলবার দুপুরে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস এ্যান্ড হসপিটাল (এনআইএনএস) মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ সব কথা বলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এনআইএনএস শাখা এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর এই সদস্য বলেন, খালেদা জিয়াকে বলব আপনি তথাকথিত মিথ্যা জন্মদিনে কেক কাটা বন্ধ করেছেন ভাল কথা; এত বড় শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে আপনার, এ জন্য আমি আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। খালেদা জিয়ার উদ্দেশে মোহাম্মদ নাসিম আরও বলেন, আপনি ১৫ আগস্ট মিথ্যা জন্মদিনে কেক কাটা কেন বন্ধ করছেন, স্পষ্টভাবে বলেন না কেন? বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে শোক দিবসে আমি কেক কাটা বন্ধ করেছি, এই সত্য কথা বলেন। মানুষও আপনাকে ধন্যবাদ জানাবে। জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে জানিয়ে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, যাদের পিতামাতা নিজের সন্তানের লাশ নিতে চায় না, সন্তানের লাশ আঞ্জুমান মফিদুলে দিয়ে দিতে হয়, এ থেকে বোঝা যায়, জঙ্গীবাদীরা কোনদিন জয়ী হবে না।
×