ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ফাইনালে নেইমারের ব্রাজিল

প্রকাশিত: ০৮:২২, ১৮ আগস্ট ২০১৬

ফাইনালে নেইমারের ব্রাজিল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সেমিতে হন্ডুরাসকে ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত করে রিও অলিম্পিক ফুটবলের (পুরুষ) ফাইনালে উঠে গেছে ব্রাজিল। মারকানার এস্তেদিও স্টেডিয়ামে প্রথম মিনিটেই প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠিয়ে স্বাগতিকদের হয়ে গোলবন্যার শুরুটা করেন বড় তারকা নেইমার। হাফ ডজন গোলের শেষটাও হয় ব্রাজিল অধিনায়কের পায়ের স্পর্শে- ৯০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন তিনি। তার আগে দুর্দান্ত খেলা গ্যাব্রিয়েল জিজাস ২৬ ও ৩৫, মারকুইনহাস ৫১ ও লুয়ান গোল করেন ৭৯ মিনিটে। দ্বিতীয় সেমিতে নাইজিরিয়া ও জার্মানির মধ্যকার বিজয়ী দলে বিপক্ষে ২০ আগস্টের ফাইনালে বহু কাক্সিক্ষত স্বর্ণের যুদ্ধে অবতীর্ণ হবে নেইমারের দল। অলিম্পিক না কোপা আমেরিকা- নেইমারকে এমন কঠিন শর্ত দিয়েছিল তার ক্লাব বার্সিলোনা। অধরা স্বর্ণজয়ের লক্ষ্যে ব্রাজিলিয়ান সেনসেশন অলিম্পিককেই বেছে নেন। অবশ্য ঐতিহ্যের আয়োজনে তাদের শুরুটা একদমই ভাল ছিল না। গ্রুপ পর্বে ইরাক আর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচে গোলেরই দেখা পায়নি, ড্র (০-০এ)! কোণঠাসা অবস্থা থেকে ডেনমার্ককে ৪-০তে উড়িয়ে দিয়ে গ্রুপচ্যাম্পিয়ন হয়ে কোয়ার্টারে উঠে আসে রোনাল্ডোর উত্তরসূরিরা। তবু যেন ব্রাজিলিয়ানদের মন ভরছিল না। প্রিয় তারকার অনুজ্জ্বল পারফর্মেন্সে চারদিকে কেমন চাপা ক্ষোভ। কোয়ার্টারে কলম্বিয়ার বিপক্ষে তখনই জ্বলে ওঠেন নেইমার। ১২ মিনিটে অধিনায়কের দুর্দান্ত গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ৮৩ মিনিটে লুয়ানের হাত ধরে ব্যবধান ২-০ করে স্বাগতিকরা। চিরচেনা ছন্দময় ফুটবল উপহার দিয়ে উঠে আসে শেষ চারে। আর সেমিতে হন্ডুরাসকে নিয়ে তো তারা রীতিমতো ছেলেখেলাই করল! গত কয়েক বছর ধরেই হতাশার বৃত্তে ব্রাজিল ফুটবল। ২০১০ বিশ্বকাপের কষ্টটা আরও কঠিন বাস্তবতায় হয়ে ধরা দেয় ২০১৪ সালে। ২০১১ কোপা আমেরিকার ব্যর্থতা এবার আরও গহীনে গিয়ে পৌঁছায়। একটা অলিম্পিক স্বর্ণই হয়ত তাদের নতুন করে জাগিয়ে তুলতে পারে। এজন্য আর একটি মাত্র ম্যাচের অপেক্ষা...।
×