ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সিটিসেলের কাছে পাওনা ৪৭৭ কোটি টাকা, বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু

প্রকাশিত: ০৬:০১, ১৭ আগস্ট ২০১৬

সিটিসেলের কাছে পাওনা ৪৭৭ কোটি টাকা, বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মোবাইল অপারেটর সিটিসেল বন্ধের ফাইল অনুমোদনের জন্য আজ বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হচ্ছে। সিটিসেল বন্ধের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে গ্রাহকদের বিকল্প সেবা নেয়ার জন্য আরও ৭ দিন সময় দিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়। এই সময় পার হয়ে গেলে সিটিসেলের গ্রাহকদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে। মঙ্গলবার সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এ কথা বলেন। এর আগে বিকল্প সেবা নিতে দেশের প্রথম মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেলের গ্রাহকদের ১৬ আগস্ট পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল বিটিআরসি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, সিটিসেলের কাছে সরকারের ৪৭৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সিটিসেলকে এই টাকা পরিশোধের জন্য তাগিদ দেয়া হলেও সিটিসেল সরকারের পাওনা পরিশোধ করেনি। এখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, সিটিসেলকে বন্ধ করে দেয়ার। সিটিসেল বন্ধের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ সংক্রান্ত ফাইল আমরা সরকারের (প্রধানমন্ত্রী) কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠাব। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থার (বিটিআরসি) তথ্য অনুযায়ী গত জুন মাস পর্যন্ত সিটিসেলের গ্রাহক সংখ্যা ছিল ৭ লাখ ২ হাজার। পাওনা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেল বন্ধের (লাইসেন্স বাতিল) চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে গ্রাহকদের বিকল্প সেবা নেয়ার জন্য আরও ৭ দিন সময় দেয়া হয়েছে। পাওনা আদায়ে মামলা মোকদ্দমা যা করার দরকার সরকার তা করবে। সিটিসেল বন্ধের সিদ্ধান্ত কেন নিলেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পাওনা আদায়ে আমরা তাদের নোটিস দিয়েছি, জবাব চেয়ে চিঠি দিয়েছি। কিন্তু তারা কোন জবাব দেয়নি, পাওনাও পরিশোধ করেনি। ফলে দীর্ঘ প্রক্রিয়া অবলম্বন করে আমরা এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি। এদিকে প্রতিমন্ত্রী গত রবিবার সিটিসেল বন্ধের বিটিআরসির সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেন, ওই সিদ্ধান্ত ছিল ‘অপরিপক্ক’। টু-জি তরঙ্গ ফি, বার্ষিক লাইসেন্স ফি, বার্ষিক তরঙ্গ ফি, রেভিনিউ শেয়ারিংসহ বিভিন্ন খাতে সিটিসেলের কাছে সরকারের পাওনা দাঁড়িয়েছে ৪৭৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা। বার বার তাগাদা দিয়েও ওই টাকা আদায় করতে না পেরে সিটিসেলকে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে তরঙ্গ বাতিল ও অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধসহ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে বিটিআরসি। ওই সময়ের মধ্যে সিটিসেলের গ্রাহকদেরও বিকল্প সেবা বা ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। সিটিসেল বন্ধের প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে একটি মিটিং করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
×