ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে ‘খারদুংলা পাস’ আরোহণ

প্রকাশিত: ০৬:৩৬, ১৬ আগস্ট ২০১৬

প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে ‘খারদুংলা পাস’ আরোহণ

খারদুংলা পাস! যেই জায়গাটায় সেখানে মানুষ কেন পশু পাখি ও কয়েকবার চিন্তা করে যাবার আগে!! এটা এতটাই রিমোট!! এখানে খাবার সীমিত, পানি সীমিত, এমনকি অক্সিজেন ও সীমিত, শ্বাস নিতে হলেও এখানে ভাবতে হয়। সীমিত এই স্থানে যেতে হলে আপনার লাগবে অপরিসীম সাহস, ইচ্ছা সঙ্গে শারীরিক ও মানসিক ক্ষমতা। কারণ জায়গাটা সমুদ্রপৃষ্ট থেকে ১৮,৩৮০ ফিট উচ্চতায়!!!! আর একারনেই ‘খারদুংলা পাস’ কে বলা হয় পৃথিবীর ‘হাইয়েস্ট মোটরেবল রোড’ মানে সবচেয়ে উঁচু হাইওয়ে, যা কিনা এভারেস্ট বেস ক্যাম্পের থেকেও উঁচু। যে কোন সাইক্লিস্টের স্বপ্ন থাকে একদিন সে খারদুংলা পাস সাইকেল চালিয়ে উঠবে, এটা সাইক্লিস্টদের জন্য একটি ড্রিম। সেই স্বপ্ন পূরণ করলেন নিয়াজ মোরশেদ ভেলোস লিজিয়ন সিক্সটি সাইকেল নিয়ে নিয়াজ মোরশেদ একা একা মানালি থেকে চালিয়ে ‘লেহ’ হয়ে ‘খারদুংলা পাস’ পয়েন্টে উঠে গেলেন!!! প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে নিয়াজ মোর্শেদ সাইকেল চালিয়ে আরোহণ করলেন পৃথিবীর ‘হাইয়েস্ট মোটরেবল রোড’ সবচেয়ে উঁচু হাইওয়ে ‘খারদুংলা পাস’। এ গৌরব অর্জন করায় গত জুলাই ২৯ সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে তাকে সাইকেল লাইফ এক্সক্লুসিভের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নিয়াজ মোর্শেদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন সাইকেল লাইফ এক্সক্লুসিভের পরিচালক (অপারেশন) মোহাম্মাদ লুৎফুল বারী এবং ম্যানেজার (অপারেশন) মোঃ হাসিবুজ্জামান হাসিব। এছাড়াও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন-বিডি সাইক্লিস্টের সদস্য মাইনুল ইসলাম রাহাত, ইমরুল খান, জাহেদুল হক রাসেল, ফয়সাল মাহমুদ খানসহ তরুণ সাইক্লিস্টরা। নিয়াজ একাই আরোহণ করেছিলেন খারদুংলা পাস। এ সময় নিয়াজের সঙ্গী ছিলেন ভেলোস লিজিয়ন সিক্সটি বাই সাইকেল। ১৮ হাজার ৩৮০ ফিট উচ্চতার খারদুংলা পাস আরোহণ করতে নিয়াজ সময় নিয়েছেন ১২ দিন। ৮ জুলাই হিমাচল প্রদেশের মানালি থেকে নিয়াজ যাত্রা শুরু করেন। সেখান থেকে জম্বু কাশ্মীরের লেহ হয়ে ১৯ জুলাই খারদুংলা পাস পয়েন্ট আরোহণ করে নিয়াজ। মানালি থেকে খারদুংলার দূরত্ব ৫১৫ কিলোমিটার। খারদুংলা পাস সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৮ হাজার ৩৮০ ফিট উচ্চতায়। এখানে খাবার, পানি, অক্সিজেন অনেক সীমিত। পাহারের বুকে আঁকাবাঁকা বন্ধুর পথ যা ক্রমান্বয়ে উঁচু থেকে উঁচুতে উঠতে থাকে। সর্বোচ্চ চূড়াটি এভারেস্ট বেস ক্যাম্পের থেকেও উঁচু। নিয়াজ গত বছর টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া সাইকেল চালিয়ে অতিক্রম করেছিলেন মাত্র ১০ দিনে।
×