ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

হলি আর্টিজান থেকে বেঁচে যাওয়া সত্য প্রকাশের ভয়ঙ্কর বর্ণনা

প্রকাশিত: ০৫:৩৪, ১২ আগস্ট ২০১৬

হলি আর্টিজান থেকে বেঁচে যাওয়া সত্য প্রকাশের ভয়ঙ্কর বর্ণনা

শংকর কুমার দে ॥ গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তরাঁয় জঙ্গী হামলা চালিয়েছে জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি), হিযবুত তাহরির ও আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সমন্বয়ে গঠিত নতুন জঙ্গী সংগঠন দৌলাতুল ইসলাম বাংলাদেশ। গুলশানের জঙ্গী হামলার বিষয়ে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত রেজা করিম ও কানাডার টরোন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তাহমিদ হাসিব খানকে ৮ দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে পাঠানো হতে পারে আজ। জঙ্গী হামলার সেই ভয়াল রাতে গুলশান হলি আর্টিজান রেস্তরাঁয় কী ঘটেছিলÑ প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দীতে বর্ণনা করেছেন বেঁচে যাওয়া ভারতীয় নাগরিক সত্য প্রকাশ। তার ৮ পৃষ্ঠায় লিখিত ইংরেজী ভাষার জবানবন্দীতে জঙ্গী হামলার নেপথ্যে থাকা অনেক অজানা কাহিনী বের হয়ে এসেছে। তার বেঁচে যাওয়ার ঘটনা, হামলাকারী জঙ্গীদের সঙ্গে তার কথোপকথন, লোমহর্ষক হত্যাকা-ের বর্ণনা, পবিত্র রমজানের সেহরি খাওয়া, অভিযানের টিভির খবর জঙ্গীদের হাতে থাকা মোবাইলে পড়া, দেখা ও মন্তব্য করা, হাসনাত রেজা করিম ও তাহমিদ হাসিব খানের সঙ্গে জঙ্গীদের সম্পর্কসহ নানা ঘটনাবলী উঠে এসেছে জবানবন্দীতে। গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তরাঁয় গত ১ জুলাই জঙ্গী হামলার সময় ৫ বিদেশীসহ ৩২ জন জিম্মি উদ্ধার হয়। গত ১ মাস ১০ দিনে এ পর্যন্ত বেঁচে যাওয়া ৯ জন প্রত্যক্ষদর্শীসহ ১০ জন ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দী দিয়ে জঙ্গী হামলার ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। ভারতীয় নাগরিক সত্য প্রকাশ গত ২৬ জুলাই আদালতে যে জবানবন্দী দিয়ে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তরাঁয় জঙ্গী হামলার বর্ণনা দিয়েছেন, তা তুলে ধরা হলোÑ দিনটি ছিল শুক্রবার। আমি হলি আর্টিজান রেস্তরাঁয় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। সেখানে আমি আমার গাড়ি নিয়ে যাই। আমার গাড়ি সেখানে পার্কিং করি। রাত সাড়ে ৮টার দিকে আমি ভেতরেই ছিলাম। আমি সামনের দিকে মুখ করা কোণার দিকের টেবিলে বসি। এ সময় তন্ময় নামে আমার এক বন্ধুকে ফোন করি। সে আমাকে জানায়, খাবার মিস করতে চাই না; কিন্তু তার আসতে দেরি হবে। আমি পাস্তা ও কমলার জুস অর্ডার দেই। তারা আমাকে কমপ্লিমেন্টারি হিসেবে পাউরুটি ও সসেজ দিল। আমি আমার বন্ধুর জন্য অপেক্ষা করছিলাম। হঠাৎ আমি দুই-তিনজন ছেলেকে দেখতে পাই। তারা ধাক্কাধাক্কি করে রেস্টুরেন্টের প্রধান গেট দিয়ে ঢুকছিল। এমন সময় একটা শব্দ শুনতে পেলাম, যা আমার কাছে বোমার শব্দের মতো মনে হলো। হঠাৎ ছয়-সাতজন রেস্টুরেন্টের দিকে দৌড়ে এলেন। আমি চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ালাম। স্থবির হয়ে গেলাম। কিছুক্ষণের মধ্যেই আমি গুলির শব্দ শুনতে পেলাম। একজনকে পড়ে যেতে দেখলাম। একই সময় আমি ‘আল্লাহু আকবার’ ধ্বনি শুনতে পেলাম। আমি একটি পিলারের আড়ালে লুকানোর চেষ্টা করলাম। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে আমি একজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় মুখে হাত দিয়ে দৌড়াতে দেখি। তাকে দেখতে চীন, জাপান বা কোরিয়ার মতো দূরপ্রাচ্যের দেশগুলোর নাগরিকের মতো মনে হচ্ছিল। আমি সম্ভাব্য ঝামেলার আশঙ্কায় ওই জায়গা থেকে সরে যাওয়ার কথা চিন্তা করলাম। সেখানে এক শ্রীলঙ্কান দম্পতিও ছিল, যাদের আমি আগে থেকেই চিনতাম। তারাও ওই পিলারের পেছনে লুকাতে আসেন। জানালা দিয়ে এক হামলাকারীকে উদ্ধত অবস্থায় দেখলাম। সে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাটিতে পড়ে থাকা একজনকে কোপাচ্ছিল। আমি চোখ খুললাম। কিছুক্ষণ পর দেখতে পেলামÑ ওই দম্পতির দিকে এক হামলাকারী এগিয়ে এলো। সে বলল, লুকাবেন না, আমরা আপনার ক্ষতি করব না। আপনারা ওখানে (পিলারের আড়ালে) নিরাপদ নন। দ্রুত বেরিয়ে আসুন। নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা বেরিয়ে এলাম। একজন (হামলাকারী) আমাদের কাছে মোবাইল চাইল। আমি তাকে মোবাইলটা দিয়ে দিলাম। শ্রীলঙ্কান দম্পতি (নারী) ব্যাগ ছুড়ে দিল, সেটি গিয়ে হামলাকারীর কাছে পড়ল। হামলাকারী জানতে চাইলÑ আমি বাঙালী কিনা? আমি বললাম, ‘ইয়েস আমি বাঙালী’ (অন্য প্রত্যক্ষদর্শীরাও সামান্য বাংলা বলতে পারত এবং বাংলায় বেশিরভাগ কথাই বুঝত)। হামলাকারীরা তাদের বাংলায় শুয়ে পড়তে বলল। আমি শুয়ে পড়লাম। কিন্তু ওই শ্রীলঙ্কান দম্পতি তখনও দাঁড়িয়েছিলেন। তখন বন্দুকধারী ওই হামলাকারী আমাকে ভেতরে চলে যেতে বলল এবং আমাকে বাংলাদেশী অন্য লোকজনের সঙ্গে বসতে বলল। তারা আমাকে টেবিলে মাথা রেখে চেয়ারে বসতে বাধ্য করল। টেবিলের নিচে দুটি মেয়ে লুকিয়েছিল। হামলাকারীরা তাদের বেরিয়ে এসে আমার পাশে বসতে বলল। আমি পুরোপুরি আমার মাথা টেবিলে ঠেকিয়ে রাখতে পারছিলাম না, তখন কেউ আমার মাথায় আঘাত করে। ওই মেয়েরা ও এক যুবক হামলাকারীর কাছে অনুরোধ করছিল তাদের ছেড়ে দেয়ার জন্য। হামলাকারী জবাব দেয়Ñ ‘আমাদের বিবেচনায় আপনারা যদি কাফের না হন, তাহলে আমরা আপনাদের কোন ক্ষতি করব না।’ তারা বলে যে, যারা কাফের নয় সেসব মানুষের কোন ক্ষতি তারা করবে না। হামলাকারীদের একজন ইংরেজীতে বলল, আপনারা কী জানেন, কিভাবে আমাদের মুসলিম ভাই ও বোনেরা সিরিয়ায় নির্যাতিত ও হত্যার শিকার হচ্ছেন। তারা ইংরেজী ও বাংলা ভাষায় কথা বলছিল। আমি এক হামলাকারীর সঙ্গে ইসলাম নিয়ে এক যুবককে কথা বলতে শুনি (পরে আমি ওই যুবকের নাম জেনেছি তাহমিদ)। তারা আমাদের মোবাইল ফোনের কল রিসিভ করতে বলে। আমি নিজের মোবাইল ফোন বন্ধ করে ফেলি। একজন হামলাকারী আমার কাছে জানতে চায় মিডিয়ার কিংবা পুলিশের কাউকে আমি চিনি কিনা। আমি জবাব দেই ‘না’। এ কথা শুনে এক মেয়ে তার মাকে ফোন করে লাউড স্পীকারে কথা বলে। সে তার মাকে বলেÑ আম্মা তাড়াতাড়ি বেনজির আঙ্কেলকে বলো, আমি এখানে (গুলশান) আটকে আছি। মেয়েটির মা তখনও ওই ঘটনা সম্পর্কে জানতেন না। এরপর আরেকটি ফোন বেজে ওঠে। আমার সামনে বসা এক ব্যক্তি লাউড স্পীকারে কথা বলেন। (পরে আমি জেনেছি তিনি হাসনাত)। ফোনে বলা কথাগুলো আমি মনে করতে পারছি না। এরপর তারা আমাদের পানি ও মাফিন খেতে দেয়। তারা আমাদের বাথরুম ব্যবহারও করতে দেয়। বাথরুমে যাওয়ার সময় আমি দেখি, সিঁড়ির গোড়ায় এক নারী পড়ে আছেন। সঙ্গে সঙ্গে নিজের মুখ ঢেকে ফেলি। কিছু সময় পর আমি শুনতে পাই হামলাকারীরা রেস্তরাঁর এক কর্মচারীকে বলছে, রান্নাঘরে যারা আছে তাদের দরজা খুলে বের হয়ে আসার কথা বলতে। হামলাকারীরা বাংলাদেশীদের হত্যা করবে না বলে ভেতরে থাকা ব্যক্তিদের আশ্বস্ত করেছিল ওই কর্মচারী। এরপর হামলাকারীরা কয়েকবার চেষ্টার পর কোল্ডরুম খুলতে সমর্থ হয়। ভেতরে দুই ব্যক্তিকে পাওয়া যায়। দুজনের একজন ছিলেন রেস্তরাঁর এক কর্মচারী এবং অন্যজন ছিলেন একজন জাপানী (জাপানী ভাষায় কথা বলছিলেন)। হামলাকারীরা বাংলাদেশীকে অন্যদের সঙ্গে বসতে দেয় এবং জাপানী নাগরিককে গুলি করে। তারা আমাকে জিজ্ঞেস করে যে, ওই জাপানী বেঁচে আছেন কিনা। জাপানী ব্যক্তি জবাব দেন, ‘হ্যাঁ’। হামলাকারী আবার তাকে গুলি করে। গুলি করার আগে তারা আমাদের কানে হাত দিতে এবং শিশুদের চোখ ঢেকে দিতে বলে। এক সময় আমি এক নারীর যন্ত্রণার গোঙানির শব্দ শুনতে পাই। কোপাতে থাকা ব্যক্তিটি বলছিল ‘মহিলা মরতেছে না’। আমি তাদের দেখিÑ দুটি বড় গ্যাস সিলিন্ডার কাঁচের দরজার দুই পাশে রাখতে। তারা মোবাইল ফোন, ট্যাব, ল্যাপটপ ব্যবহার করেছিল। তারা মোবাইল ফোন থেকে খবর পড়ছিল ও হাসছিল এবং জোরে জোরে বলছিল, ‘তারা আমাদের সন্ত্রাসী বলছিল, এখন আমাদের জঙ্গী বলছে। আগামীকাল আমাদের কী বলবে তারা জানেই না।’ একপর্যায়ে তারা (হামলাকারী) আমাদের বাংলায় একটি বার্তা (মেসেজ) পড়ে শোনায়। তাদের কর্মকা-ের জন্য অভিনন্দন জানিয়ে এ বার্তা পাঠানো হয়। বার্তাটি অনেক দীর্ঘ ছিল। সবটা আমার মনে নেই। তবে আমার মনে আছে এতে বলা হয়েছে, তারা খুব বড় কাজ করেছে, এজন্য তাদের ভাইয়েরা তাদের নিয়ে গর্বিত। এরপর তারা সেহরি খেতে দেয়। তাদের সন্দেহ এড়াতে আমি কিছুটা খাই। সেহরির পর তারা আবারও আমাদের টেবিলে মাথা রাখতে বলে। আমার আবছাভাবে মনে পড়ে, কেউ একজন নির্দেশ দিচ্ছিল। দুই ব্যক্তি (হামলাকারী) থাকবে ওপরের সিঁড়িতে, দুজন থাকবে সিঁড়ির নিচের দিকে। একজন কিছু একটা করবে, যা আমার মনে পড়ছে না। পরে তারা দুই ব্যক্তিকে তাদের (হামলাকারীদের দিকে) কাছে আসতে বলে। আমি তাদের সিঁড়ি দিয়ে উঠতে দেখি। কিছু সময় পর তারা ফিরে আসেন এবং আমার সামনে টেবিলে মাথা নিচু করে বসেন। এ সময় আমি একমাত্র হামলাকারীকে চলাফেরা করতে দেখি। আমি দেখি, টাক মাথার ব্যক্তি (হাসনাত) সামনের দরজা খুলছেন। আমি বাকি সবার সঙ্গে উঠে দাঁড়াই এবং তারা আমাদের ছড়িয়ে পড়তে বলে। হঠাৎ আমি দেখি, এক ব্যক্তি (হামলাকারী) তাহমিদকে পবিত্র কোরান শরিফ দিচ্ছিল। কিন্তু তাহমিদ তা নিতে অস্বীকৃতি জানায়। আমি তা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেই। তারা আমাদের ফোন (টেবিলের ওপর রাখা) ফিরিয়ে দিতে রাজি হয়। আমরা রেস্তরাঁ থেকে বের হওয়ার জন্য হাঁটা শুরু করি। এটাই আমার জবানবন্দী। সত্য প্রকাশ জানিয়েছেন, তার বয়স ৪৪ বছর এবং তার বাবার নাম বিক্রম সিং। দৌলাতুল ইসলাম বাংলাদেশ গুলশান হলি আর্টিজান রেস্তরাঁয় জঙ্গী হামলা করেছে নতুন জঙ্গী সংগঠন দৌলাতুল ইসলাম বাংলাদেশ। জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি), হিযবুত তাহরির ও আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে দৌলাতুল ইসলাম বাংলাদেশ নামক জঙ্গী সংগঠনটি। গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তরাঁয় জঙ্গী হামলার পরে উদ্ধারকৃত একটি রুমালে লেখা ছিলÑ ‘দৌলাতুল ইসলাম’ জঙ্গী সংগঠনটির নাম। তবে আলামত উদ্ধার হলেও এই নতুন সংগঠনটির বিষয়ে খুব একটা জানা যায়নি। মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে সিফাত (২৭), জাহিদ হাসান ওরফে মাইন (২১), মোঃ নয়ন হোসেন (২১), জাহিদ আনোয়ার ওরফে পরাগ (২২), মোঃ জিয়াবুল হক (২৪) এবং মোঃ তাজুল ইসলাম ওরফে তাজুল (২৯) নামের ৬ জঙ্গীকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে নতুন জঙ্গী সংগঠন দৌলাতুল ইসলাম বাংলাদেশ নামের খোঁজ পাওয়া যায়। জেএমবি, হিযবুত ও আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের সমন্বয়ে গঠিত এ নতুন জঙ্গী সংগঠনটির ব্যানারে এসেছে গ্রেফতারকৃত জঙ্গীরা। মঙ্গলবার র‌্যাবের হাতে গ্রেফতারকৃত জঙ্গীদের সঙ্গে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তরাঁয় হামলাকারী জঙ্গীরা একই ব্যানারের বা প্ল্যাটফর্মে একত্রিত হয়েছে, যা দীর্ঘদিন ধরেই তারা জঙ্গী তৎপরতা চালিয়ে হত্যা ও আক্রমণ করে চলেছে। দেশে বিভিন্ন জঙ্গী হামলার পর ‘আত-তামকীন’ নামে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে মিডিয়াতে নিজেদের আইএস হিসেবে প্রচার করত। যে কোন জঙ্গী হামলার পর তারাই আইএস পরিচয়ে দায় স্বীকার করে দেশ-বিদেশে নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশ করত। এই জঙ্গীদের নতুন জঙ্গী সংগঠন দৌলাতুল ইসলাম বাংলাদেশের নেতৃত্বে কারা, জঙ্গীর সংখ্যা কত, অর্থের যোগানদাতা কে, মদদদাতা কারা, কিভাবে জঙ্গী হামলায় সংগঠিত হচ্ছেÑ তার বিস্তারিত জানার চেষ্টা করা হচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদে। হাসনাত করিম ও তাহমিদ সমাচার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত রেজা করিম ও কানাডার টরোন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তাহমিদ হাসিব খানকে ৮ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে পাঠানো হতে পারে আজ। গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তরাঁয় জঙ্গী হামলার সময় অন্যান্য জিম্মিদের সঙ্গে তাদের উদ্ধার করা হয় এবং উদ্ধারের পর ছেড়ে দেয়া হলেও দীর্ঘ এক মাস তারা কোথায় ছিলেনÑ গ্রেফতারের আগ পর্যন্ত তা ছিল রহস্যাবৃত। তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে আছেন। অপরদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে নেই, নজরদারিতে আছেন। গ্রেফতারের পর সেই রহস্যের অবসান ঘটে। কিন্তু ৮ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে হলি আর্টিজান রেস্তরাঁয় হামলা ও জঙ্গী সম্পৃক্ততার বিষয়টির সম্পর্কে তাদের পক্ষে-বিপক্ষে তুমুল আলোচনা হলেও তদন্তকারীরা কেউই মুখ খুলছেন না। অটিজম মোকাবে
×