ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পাকিদের সিরিজ বাঁচানোর লড়াই

প্রকাশিত: ০৬:৩৬, ১১ আগস্ট ২০১৬

পাকিদের সিরিজ বাঁচানোর লড়াই

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ পাকিস্তান কেন ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ সফরে ইতোমধ্যে সেটি প্রমাণিত। লর্ডসে অমন দুর্দান্ত জয়ে শুরু করা একটা দল কিভাবে এতটা গুহায় ঢুকে যেতে পারে, মিসবাহ-উল হকদের না দেখলে সেটি বোঝা যাবে না। মোহাম্মদ আমিরের আলোচিত প্রত্যাবর্তন, লেগস্পিনার ইয়াসির শাহর রেকর্ডগড়া বোলিং- সব মিলিয়ে প্রথম টেস্ট জয়ের পর অতিথিদের চোখ চিক চিক করছিল। হয়তো ইংল্যান্ড জয়ের স্বপ্ন দেখছিল তারা! কিন্তু পরের দুটি টেস্টে টানা হারে মিসবাহদের সে স্বপ্ন ধুলোয় মিশে গেছে। উল্টো চার ম্যাচের ‘ইনভেস্টেক’ সিরিজে এখন ইংলিশরা এগিয়ে ২-১ ব্যবধানে। জয়ের স্বপ্ন শেষ, সিরিজ খোয়াতে না চাইলে ওভালে আজ থেকে শুরু হওয়া শেষ টেস্টে জিততেই হবে পাকিদের। এ্যালিস্টার কুকদের ড্র করলেও চলবে। কিন্তু অতিথিদের একবিন্দু ছাড় দেবে না তারা। ইংলিশদের লক্ষ্য সিরিজ ৩-১ করে র‌্যাঙ্কিংয়ে আরও এগিয়ে যাওয়া। টানা দুই হারের পথে মূলত ব্যাটসম্যানরাই পাকিস্তানকে ডুবিয়েছে। ওল্ডট্র্যাফোর্ডের দ্বিতীয় টেস্টে কুক (১০৫) জো রুটদের (২৫৪) দুরন্ত ব্যাটিংয়ে ৮ উইকেটে ৫৮৯ রানের বড় স্কোর গড়ে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে ইংল্যান্ড। জবাবে ক্রিস ওকস (৪/৬৭) বেন স্টোকসদের (২/৩৯) বোলিং তোপে ১৯৮ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। একমাত্র হাফ সেঞ্চুরি মিসবাহর (৫২)। কুক-রুটের ঝড়ো হাফ সেঞ্চুরিতে ১ উইকেটে ১৭৩ রান করে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে ইংলিশরা। ৫৬৫ রানের অসম্ভব লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২৩৪-এ অলআউট পাকিস্তান হারে ৩৩০ রানের বিশাল ব্যবধানে। ৩টি করে উইকেট নেন এ্যান্ডারসন, মঈন আলি আর ওকস। তবে এজবাস্টনের তৃতীয় টেস্টটা বাঁচানোর সুযোগ ছিল পাকিদের। জয়ের জন্য তাদের প্রয়োজন ছিল ৩৪৩ রান, শেষদিনে হাতে ছিল পুরো ১০ উইকেট, জিততে না পারলেও অন্তত ড্র করা সম্ভব ছিল। কিন্তু এখানেও ব্যাটিং ভরাডুবি। দ্বিতীয় স্থানে রহমতগঞ্জ স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ময়মনসিংহে চলমান ‘জেবি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ’ ফুটবলে প্রত্যাশিত জয় কুড়িয়ে নিয়েছে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি। বুধবার বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকউদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে পুরান ঢাকার এই ক্লাবটি ২-০ গোলে হারায় উত্তর বারিধারাকে। দলের হয়ে গোল দুটি করেন সিও জুনাপিও ও দাউদা সিসে। ৪ ম্যাচে এটা রহমতগঞ্জের দ্বিতীয় জয়। পয়েন্ট ৮। এ জয়ে পয়েন্ট টেবিলে এক লাফে পঞ্চম থেকে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলো তারা। সমান পয়েন্ট থাকলেও গোল তফাতে তিন নম্বরে আছে চট্টগ্রাম আবাহনী এবং চারে আছে ঢাকা আবাহনী। শীর্ষে থাকা মুক্তিযোদ্ধারও পয়েন্ট ৮। তবে গোল তফাতে তারা আবার এগিয়ে রহমতগঞ্জের চেয়ে (মুক্তির +৫, রহমতগঞ্জের +৪)। পক্ষান্তরে সমান ম্যাচে এটা বারিধারার তৃতীয় হার। সিরিজ নিউজিল্যান্ডের স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ স্বাগতিক জিম্বাবুইয়েকে ২-০তে হোয়াইটওয়াশ করে প্রত্যাশিতভাবে টেস্ট সিরিজ জিতে নিল নিউজিল্যান্ড। সিরিজ বাঁচাতে হলে বুলাওয়েতে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে জিম্বাবুইয়েকে জিততেই হতো। শেষ দিনে স্বাগতিকদের প্রয়োজন ছিল ৩২৯ রান। শক্তি-সামর্থ্য ও বাস্তবতার বিচারে দুরন্ত কিউই বোলারদের তোপ সামলে ড্র করতে পারলে সেটিই হতো বড় অর্জন। কিন্তু ব্যর্থতার বৃত্তে বন্দী গ্রায়েম ক্রেমারের দল সেটিও পারল না। পঞ্চম দিনে তাদের আয়ু ৪৩.২ ওভার, অবশিষ্ট ৭ উইকেট হারিয়ে আর ৭৪ রান যোগ করে জিম্বাবুইয়ে অলআউট ১৩২ রানে। সব মিলিয়ে হার ২৫৪ রানে।
×