ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রাঙ্গাবালীর ১২ লঞ্চঘাটে পন্টুন নেই ॥ ভোগান্তি চরমে

প্রকাশিত: ০৪:৩০, ১০ আগস্ট ২০১৬

রাঙ্গাবালীর ১২ লঞ্চঘাটে পন্টুন  নেই ॥ ভোগান্তি চরমে

স্টাফ রিপোর্টার, গলাচিপা ॥ পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার ১২ লঞ্চঘাটে পন্টুন না থাকায় যাত্রীদের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। এসব লঞ্চঘাট দিয়ে জোয়ারের সময় পানিতে ভিজে এবং ভাটার সময় কাঁদা পেরিয়ে লঞ্চে ওঠানামা করতে হচ্ছে। চলতি বর্ষার এসব লঞ্চঘাটে যাত্রীদের ভোগান্তি বেশি হচ্ছে। সরজমিনে দেখা গেছে, রাঙ্গাবালী উপজেলার চালিতাবুনিয়া, চিনাবুনিয়া, গরুভাঙ্গা, গাইয়াপাড়া, টুঙ্গিবাড়িয়া, ফেলাবুনিয়া, ডিগ্রি, চরমোন্তাজ, চরম-ল, গহীনখালী, ১২ নম্বর ও নিজকাটা লঞ্চঘাটে কোন পন্টুন নেই।এসব রুটের নিয়মিত যাত্রী চালিতাবুনিয়া মমতাজ উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক গাজী রফিকুল ইসলাম জানান, রাঙ্গাবালী উপজেলার মূল ভূখ- থেকে বিচ্ছিন্ন চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দাদের উপজেলা বা পটুয়াখালী জেলা সদরসহ দেশের যে কোন এলাকায় যাতায়াত করতে হলে নৌপথ ছাড়া বিকল্প নেই। অথচ ইউনিয়নের তিনটি লঞ্চঘাট চালিতাবুনিয়া, চিনাবুনিয়া ও গরুভাঙ্গার কোনটিতেই পন্টুন নেই। বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের নিজকাটা লঞ্চঘাটে দেখা গেছে, সেখানে পন্টুন না থাকায় জোয়ারের সময় হাঁটু পানিতে ভিজে লঞ্চে উঠতে হচ্ছে যাত্রীদের। চরমোন্তাজ ও চরম-ল লঞ্চঘাটে পন্টুন না থাকায় যাত্রীসহ মাছ ব্যবসায়ীরাও ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। কয়েক বছর আগে চরমোন্তাজে একটি পন্টুন স্থাপন করা হলেও পরে সেটি ডুবে যায়। এরপরে আর কোন পন্টুন দেয়া হয়নি। একইভাবে পন্টুন না থাকায় যাত্রীদের ভোগান্তি হচ্ছে উপজেলার গাইয়াপাড়া, টুঙ্গিবাড়িয়া, ফেলাবুনিয়া, ডিগ্রি ও গহীনখালী লঞ্চঘাটে। এ প্রসঙ্গে পটুয়াখালী নৌবন্দরের সহকারী পরিচালক আবদুর রাজ্জাক জানান, রাঙ্গাবালীর বিভিন্ন লঞ্চঘাটে পন্টুনের অভাবে যাত্রীদের দুর্ভোগের বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে রয়েছে।
×