ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

কক্সবাজারে সংখ্যালঘু পরিবারকে দেশ ছাড়ার হুমকি

প্রকাশিত: ০১:৫২, ৭ আগস্ট ২০১৬

কক্সবাজারে সংখ্যালঘু পরিবারকে দেশ ছাড়ার হুমকি

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ কক্সবাজার সদর ঈদগাঁও এলাকায় ভূমিদস্যুরা সুদর্শন জলদাশের ভিটা-বাড়ি কেড়ে নিতে হামলা চালিয়েছে। সুদর্শন জলদাশ ও তার স্ত্রীকে মারধর এবং ভাঙচুর করেছে ঘরের আসবাবপত্র। গুড়িয়ে দিয়েছে সীমানার ঘেরাবেড়া। বসতভিটা ছেড়ে ভারতে চলে না গেলে তাদের জানে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রভাবশালী ও চিহ্নিতদের ভয়ে এলাকার কেউ প্রতিবাদ এবং মুখ খোলার সাহসও পাচ্ছেনা। সুদর্শন জলদাশ শনিবার জেলা পুলিশ সুপার বরাবরে অভিযোগ করেন, কক্সবাজার সদরের জালালাবাদের জলদাশ পাড়ায় শত বছর ধরে তাদের বসবাস। কিন্তু হঠাৎ নেমে আসে বসতভিটা ছেড়ে দেয়ার হুমকি। রাতের আঁধারে ঘরে ঢুকে মারধরসহ কয়েকদফা ভাঙচুর করেছে তাদের বসতবাড়ি। এ পর্যন্ত তিন দফায় তাদের ওপর হামলে পড়েছে সন্ত্রাসীরা। জালালাবাদের জলদাসপাড়ায় ঘটেছে এ ঘটনাটি। এরপরও বসতভিটা ছাড়া করতে না পেরে এখন জঙ্গী কায়দায় তাদের হত্যা করার হুমকি দিচ্ছে প্রভাবশালীরা। এসব কাজে পাশ্ববর্তী ইসলামাবাদ ইউপি মেম্বার সাইফুল ইসলাম নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কান্নাজড়িত ভাষায় সুদর্শন জলদাশ সাংবাদিকদের বলেন, তারা বাপ-দাদা থেকে শুরু করে ওই জায়গাতে বসবাস করে আসছে। শত বছরের দখলীয় জায়গা থেকে উচ্ছেদ করতে প্রভাবশালীরা ওঠে পড়ে লেগেছে। উগ্র কয়েকজন মুসলমানকে ব্যবহার করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বেঁধে দিতে চাচ্ছে কুচক্রিরা। তার পুত্র সুব্রত দাশ জানান, বাবা সুদর্শন জলদাশ দীর্ঘ ৩০ বছরেরও অধিক সময়কাল থেকে ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বে আছেন। তার বাবার কষ্টার্জিত টাকায় তাদের পরিবার চলে। কিন্তু স্থানীয় দখলবাজ ও প্রভাবশালী মিলে তাদের শত বছরের বসতি থেকে উচ্ছেদ করতে চাচ্ছে। সাইফুল ইসলাম মেম্বার, ছৈয়দ নূরসহ একদল চিহ্নিত লোক তাদের এ নির্যাতন করছে প্রতিনিয়ত। এ বিষয়ে তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি মো: আসলাম হোসেন জানান, শুধু সংখ্যালঘু কেন, সাধারণ যে কাউকে নির্যাতন খুবই অমানবিক। যারা এ কাজ করছে, তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×