ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বৃষ্টি না ভারতের জয়?

প্রকাশিত: ০৬:৫৩, ৪ আগস্ট ২০১৬

বৃষ্টি না ভারতের জয়?

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ কিংস্টন টেস্টে প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ নয়, বৃষ্টিই কেবল ভারতের বাধা হতে পারে! চতুর্থ দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৮ রান (১৫.৫ ওভার) তুলতে ৪ উইকেট হারিয়েছে ক্যারিবীয়রা। ইনিংস পরাজয় এড়াতে পঞ্চম দিনে আরও ২৫৬ রান চাই স্বাগতিকদের। সকালে পত্রিকা হাতে নেয়ার আগেই পাঠক রেজাল্ট জেনে গেছেন। আবহাওয়া বাগড়া না বাধালে চার টেস্টের সিরিজে ২-০তে এগিয়ে গেছে বিরাট কোহলির দল। উইন্ডিজকে মাত্র ১৯৬ রানে গুড়িয়ে দেয়ার পর ৯ উইকেটে ৫০০ রানের বিশাল স্কোর গড়ে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। অতিথিদের হয়ে চারদিনে ব্যাটে-বলে দ্যুতি ছড়িয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন (৫/৫২), লোকেশ রাহুল আর অজিঙ্কা রাহানে। বুধবার চতুর্থ দিনে যতটুকু খেলা হয়েছে সেখানে দাপট দেখিয়েছেন মোহাম্মদ শামি ও ইশান্ত শর্মা। ভেজা উইকেটে আগুন ঝরিয়েছেন দুই পেসার। স্যাবাইনা পার্কে শামির হাত থেকে যেন গোলা বের হচ্ছিল। যেন আশির দশকের ভয়ঙ্কর ম্যালকম মার্শাল-মাইকেল হোল্ডিংরা বল করছেন! ৩০৪ রানে পিছিয়ে থেকে শুরুর পর উত্তরসূরিদের ৪৮/৪Ñ দেখে কমেন্ট্রি বক্সে গ্রেট ভিভ রিচার্ডসের মন্তব্য, ‘এক সময় যে মাঠে আমরা মাস্তানি করেছি, রানে ফোয়ারা ছুটিয়েছি, সেখানেই আমার দেশের ব্যাটসম্যানদের এই দৃশ্য দেখতে খুব কষ্ট হচ্ছে!’ তার পাশে বসা প্রতিপক্ষ গ্রেট যতটা না নিজ দলে পেসারদের সাফল্য, তার চেয়ে প্রতিপক্ষের ব্যাটিং নিয়ে বেশি হতাশ। তিনি বলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ আমার সেকেন্ড হোমের মতো। এখানে ক্রিকেটে তো কম রোমাঞ্চ অনুভব করিনি। এই দেশের ক্রিকেটে হৃদয় আছে, সেই হৃদয়টা এখন আর খুঁজে পাচ্ছি না। উইন্ডিজের হলো টা কী?’ বৃষ্টির জন্য সকালে প্রায় এক ঘণ্টা পর যখন খেলা শুরু হয় তখনই ইশান্তÑশামির আগ্রাসন। তৃতীয় ওভারেই রাজেন্দ্র চন্দ্রিকার (১) স্ট্যাম্প চ্ছত্রখান করে দেন ইশান্ত। এরপর ড্যারেন ব্রাভো (২০) ও লোকাল হিরো মারলন স্যামুয়েলসকে (০) ফেরান শামি। লাঞ্জের পর ফের বৃষ্টি নামায় আর খেলা মাঠে গড়ায়নি। কোহলিরা জিতে থাকলে এরই মধ্যে সেটি ইতিহাস হয়ে গেছে। কারণ ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে ভারত কখনই টানা দুটি টেস্টে জেতেনি! ফিল্ডিংয়ে পাকিস্তান এজবাস্টন টেস্ট স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এজবাস্টন টেস্টে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছে পাকিস্তান। অধিনায়ক মিসবাহ-উল হকের সিদ্ধান্তের যথার্থতা প্রমাণ করে শুরুতেই দারুণ বোলিং করেন সোহাইল খান-রাহাত আলিরা। রাতে এ রিপোর্ট লেখার সময় ১৬৫ রানেই ইংল্যান্ডের টপঅর্ডারের ৫ ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দিয়েছেন তারা, যেখানে ৪টি শিকারই সোহাইলের! ক্যারিয়ারের মাত্র তৃতীয় টেস্ট খেলতে নামা ডানহাতি পেসার একে একে সাজঘরে ফেরান এ্যালেক্স হেলস (১৭), জো রুট (৩), জেমস ভিঞ্চ ও জনি বেয়ারস্টোকে (১২)। ৪৫ রান করা অধিনায়ক এ্যালিস্টার কুককে তুলে নেন রাহাত। বিপদ এড়াতে গ্যারি ব্যালান্স ও মঈন আলি ব্যাট করছিলেন। ১-১ এ চলমান সিরিজে এগিযে যেতে এই ম্যাচটা দু-দলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। লর্ডসে ইয়াসির শাহ-মিসবাহদের নৈপুণ্যে প্রথম টেস্টে জয় পায় পাকিস্তান। রুট-ক্রিস ওকসদের সৌজন্যে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডেই ঘুরে দাঁড়ায় স্বাগতিকরা। এজবাস্টনে ৪ টেস্ট কখনই জয় পায়নি পাকিস্তান। অন্যদিকে ইংলিশরা এখানে সর্বশেষ হেরেছিল সেই ২০০৮ সালে। এরপর ৫ ম্যাচের ৩টিতেই জয়, ড্র ২টিতে। সর্বশেষ জয় গত এ্যাশেজে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।
×