ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

মাহবুবা সুলতানা

দর্শকপ্রিয়তা পাচ্ছে পালকি ও অপরাজিতা

প্রকাশিত: ০৬:৩৩, ৪ আগস্ট ২০১৬

দর্শকপ্রিয়তা পাচ্ছে পালকি ও অপরাজিতা

দীপ্ত টিভিতে প্রচারিত ধারাবাহিক নাটক ‘পালকি’। ছোটপর্দার দর্শকদের অনেক পরিবারে সন্ধ্যা রাতের বিনোদনের অন্যতম খোরাক দীপ্ত টেলিভিশনের ‘পালকি’। এটি রয়েছে আলোচনার তুঙ্গে। এক সাধারণ মেয়ের অসাধারণ হয়ে ওঠার গল্প নিয়ে এই মেগা সিরিয়ালটি এগিয়ে যায়। এর বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন স্নিগ্ধা মোমিন, রানী আহাদ, ইমতু রাতিশ, ঝুনা চৌধুরী, নূনা আফরোজ, মোহাম্মদ বারী, সুজাতা, গীতশ্রী, শিরিন আলম, আরজুমান্দ আরা বকুলসহ অনেকে। দর্শকদের কাছে সিরিয়ালটির গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়াতে এর নির্মাণে যেমন পরিবর্তন আসছে, তেমনি নির্মাতাও পরিবর্তন হয়েছে। ‘পালকি’ সিরিয়ালটির নতুন নির্মাতা এখন মোস্তফা মনন। তিনি আগেও সিরিয়ালটির নির্মাণের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। কিন্তু এখন থেকে পুরোপুরি তার নির্দেশনায় নির্মিত হবে ধারাবাহিক ‘পালকি’। পালকি (স্নিগ্ধা মোমিন) গ্রামের সহজ সরল এক কিশোরী। সে হাসতে, পড়তে, খেলতে ভালবাসে। তার খুব আশা পালকিতে চড়ে যাবে শ্বশুরবাড়ি। ঘটনাক্রমে সেই পালকির সঙ্গে দেখা হয়ে যায় স্বাধীনচেতা সাবাহার (রানী আহাদ)। সাবাহ পালকিকে নিজের বাসায় নিয়ে আসে। সাবাহর স্বপ্ন অনেক বড় স্টার হওয়ার। স্বপ্নভঙ্গ হয় সাবাহর যখন শোনে সোহেলের (ইমতু রাতিশ) সঙ্গে তার বিয়ে। সোহেল শহরের ধনাঢ্য ব্যবসায়ীর পুত্র। সাবাহর-সোহেলের বিশাল আয়োজনে বউ বেশে পালকির সঙ্গে বিয়ে হয়ে যায় সোহেলের। শুরু হয় পালকির অধ্যায়। সে জানে না এত বড় বাড়িতে, এত অভিজাত পরিবারে সে কি করবে, কীভাবে চলবে? সাধারণ পালকির সামনে একটাই পথ খোলা, হতে হবে অসাধারণ। তাকে লড়তে হবে পরিবার, সমাজ, এমন কী রাষ্ট্রের সঙ্গে। নিজেকে যোগ্য করে তুলতে হবে বোধ, বুদ্ধি আর বিবেচনায়। অন্যদিকে প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক আশাপূর্ণা দেবীর কালজয়ী উপন্যাস ‘বালুচারী’র পাতা থেকে উঠে আসা, হার না মানা এক নারীর গল্প নিয়ে ধারাবাহিক নাটক ‘অপরাজিতা’। অপরাজিতার কেন্দ্রীয় চরিত্র মন্দিরা । মন্দিরা চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাইরুজ সিফাত। এছাড়াও রয়েছেন আফজাল কবীর, চিত্রলেখা গুহ, সায়মা করিমসহ আরও অনেকে। গল্পে দেখা যায়, অসুস্থ মা, মেজাজি বাবা আর ছোট ছোট ভাই বোন নিয়ে অনার্সপড়ুয়া মন্দিরার মধ্যবিত্ত পরিবার। মন্দিরা, যার স্বপ্ন ভালভাবে পড়ালেখা শেষ করে নিজের পায়ে দাঁড়ানো। আর এই মন্দিরাকে নিয়েই স্বপ্ন দেখে সদ্য পাস করা ডাক্তার অভিজিৎ। মন্দিরা আর অভিজিতের স্বপ্ন একটি রেখায় যুক্ত হয়ে এগিয়ে যেতে থাকে সামনের দিকে। কিন্তু সামনের পথ কি এতটাই সরল? এতটাই সহজ? মাথার ওপর থেকে একটি একটি করে ছায়া সরে গেলে ছোট ভাই বোনগুলোকে নিয়ে শুরু“হয় মন্দিরার নতুন লড়াই। ক্লাসের পরীক্ষায় সবার চেয়ে ভাল ফল করা মন্দিরা কি পারবে জীবনের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে? পারবে কি সে সব বাধা জয় করে হার না মানা অপরাজিতা হয়ে উঠতে।
×