ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকা ট্যানারিকে গ্রিন ট্যানারি হিসেবে চালুর প্রস্তাব

প্রকাশিত: ০৬:১৯, ৪ আগস্ট ২০১৬

ঢাকা ট্যানারিকে গ্রিন ট্যানারি হিসেবে চালুর প্রস্তাব

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ রাষ্ট্রায়ত্ত বন্ধ কারখানা ঢাকা লেদার কোম্পানি লিমিটেডকে গ্রিন ট্যানারি হিসেবে চালুর প্রস্তাব দিয়েছে ইটালির চামড়া শিল্প উদ্যোক্তা প্রতিনিধিদল। তারা বলেন, পরিবেশবান্ধব অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এ লেদার কোম্পানিকে নতুন আঙ্গিকে গড়ে তুলতে ইতালির উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ করবে। কোন ধরনের হাতের স্পর্শ ছাড়াই সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তিতে এ কারখানায় ওয়েট ব্লু এবং ফিনিস লেদার উৎপাদন করা যাবে। এর ফলে বাংলাদেশ থেকে চামড়া রফতানির পরিমাণ বাড়বে বলে তারা উল্লেখ করেন। বুধবার শিল্প মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ সফররত ইতালির দ্বিতীয় প্রজন্মের চামড়া শিল্প উদ্যোক্তা প্রতিনিধিদলের সদস্যরা শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর সঙ্গে বৈঠককালে এ প্রস্তাব দেন। বৈঠকে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বলেন, ইতালির চামড়া শিল্প উদ্যোক্তারা সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে কোনো ধরনের দূষণ ছাড়াই চামড়া প্রক্রিয়াজাত করছে। এ প্রক্রিয়ায় ওয়েট ব্লু লেদার উৎপাদনের পাশাপাশি ফিনিস লেদার ও চামড়াজাত পণ্য তৈরি করা হচ্ছে। বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে এ ধরনের প্রযুক্তির প্রচলন না থাকায় বিশ্বের খ্যাতনামা ব্র্যান্ডগুলো এসব দেশের জুতাসহ অন্যান্য চামড়াজাত পণ্য কিনতে আগ্রহী হচ্ছে না। বাংলাদেশে এ প্রযুক্তিতে চামড়া প্রক্রিয়াজাত করা হলে, তৈরি পণ্যের মূল্য সংযোজন এবং রফতানি বৃদ্ধির সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে তারা মন্তব্য করেন। শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, পরিবেশবান্ধব সবুজ চামড়া শিল্প গড়ে তোলার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় সাভারে কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগারসহ (সিইটিপি) চামড়া শিল্পনগরী স্থাপন করা হচ্ছে। তিনি বিসিআইসির আওতাধীন রাষ্ট্রায়ত্ত বন্ধ কারখানা ঢাকা লেদার কোম্পানিকে গ্রিন ট্যানারি হিসেবে গড়ে তোলার প্রস্তাব দেশীয় চামড়া শিল্পের জন্য ইতিবাচক বলে মন্তব্য করেন। ইতালীয় চামড়া শিল্প উদ্যোক্তাদের এ প্রস্তাব যাচাইবাছাই করে শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি প্রতিনিধিদলকে আশ্বস্ত করেন। সৌদি বেসরকারী খাতে অভিবাসী শ্রমিকরা বেশি অবদান রাখছে অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সৌদি আরবের বেসরকারী খাতে অভিবাসী শ্রমিকরাই সবচেয়ে বেশি অবদান রাখছে। খাতটিতে নিয়োজিত মোট কর্মীর ১৬ দশমিক ৭ শতাংশই প্রবাসী। যা দেশটির সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক। দেশটির সংবিধানে বলা হয়েছে, সরকারী ও বেসরকারী উভয় খাতেই কমপক্ষে ৩৫ শতাংশ সৌদি নাগরিকের কর্মসংস্থান থাকতে হবে। সৌদি গেজেটের খবর অনুসারে, খাতটিতে বর্তমানে প্রায় ৮৯ লাখ অভিবাসী শ্রমিক কাজ করছে, বিপরীতে সৌদি আরবের শ্রমিক সংখ্যা মাত্র ১৮ লাখ। সৌদি নাগরিকদের মতো খাতটিতে নারী শ্রমিকের সংখ্যাও তুলনামূলক অনেক কম। তবে সরকারী খাতে আধিক্য সৌদি নাগরিকদেরই। দেশটির শ্রম ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়রে তথ্য মতে, দেশটিতে মোট ৩৪ লাখ সৌদি নাগরিকের বিপরীতে মাত্র ৫ লাখ প্রবাসী রয়েছেন। মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, দেশটির মোট জিডিপির ১৭ ভাগ আসে সরকারী খাত থেকে বাকি ৮৩ ভাগ আসে বেসরকারী খাত থেকে। দেশটির বেসরকারী খাতে কাজ করা শ্রমিকদের বেশিরভাগই পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের। সৌদি আরবে এখন বাংলাদেশী শ্রমিকের সংখ্যা ১৩ লাখ। আর নারী গৃহকর্মীর সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার।
×