ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

দুর্নীতির অর্থ যেখানেই যাবে সেখানেই ব্যবস্থা ॥ দুদক চেয়ারম্যান

প্রকাশিত: ০৮:৫৯, ২৮ জুলাই ২০১৬

দুর্নীতির অর্থ যেখানেই যাবে সেখানেই ব্যবস্থা ॥ দুদক চেয়ারম্যান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শুধু জঙ্গীবাদ নয় দুর্নীতির অর্থ যেখানেই যাবে সেখানেই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে দুর্নীতিবাজদের হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। তিনি বলেন, কষ্টার্জিত অর্থ কোন মানুষই জঙ্গীবাদ বা অন্য কোন কুকর্মে ব্যয় করবেন না। শিক্ষা, স¦শিক্ষা ও সুশিক্ষাই কেবল পারে সমাজ থেকে দুর্নীতি প্রতিরোধে মুখ্য ভূমিকা পালন করতে। বুধবার রাজধানীর দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে দেশের বরেণ্য শিক্ষাবিদদের সঙ্গে কমিশনের ‘‘খসড়া কৌশলগত কর্মপরিকল্পনা ২০১৬-২০২১’’ এর ওপর আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ এসব কথা বলেন। দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতি দুই প্রকারের। একটি অভাবজনিত দুর্নীতি, অপরটি লোভজনিত দুর্নীতি। এই লোভই আমাদের ধ্বংস করছে। এক্ষেত্রে কেবল শিক্ষাই পারে আগামী প্রজন্মের জন্য একটি দুর্নীতিমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে। তিনি বলেন, বর্তমান বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে অভাবজনিত দুর্নীতির কোন কারণ নেই। বর্তমানে যা চলছে তা লোভজনিত দুর্নীতি। তাই কমিশন ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে সততা সংঘ গঠনসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তিনি সভায় আগত বরেণ্য শিক্ষাবিদগণের উদ্দেশে বলেন, আপনারা এগিয়ে এলেই শিক্ষার্থীরা অতীতের ন্যায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং বাড়িতে লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করবে। পাঁচ বছর মেয়াদি খসড়া কর্মপরিকল্পনা প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান বলেন, এ কৌশলপত্র অপরিবর্তনীয় কোন দলিল নয়। আপনাদের সকলের মতামতের ভিত্তিতে এটি সময় সময় পরিবর্তন করা হবে। সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আইনগতভাবে দুদক স্বাধীন ও নিরপেক্ষ। দুদকের আর্থিক স্বাধীনতাও রয়েছে। এ মতবিনিময় সভায় কমিশনের পক্ষে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কমিশনের কমিশনার এ এফ এম আমিনুল ইসলাম, আলোচনা অনুষ্ঠানে মডারেটর ছিলেন কমিশনার ড. নাসিরউদ্দীন আহমেদ। মতবিনিময় সভায় শিক্ষাবিদগণের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর রশিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক মহব্বত খান, ইতিহাস বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, প্রফেসর ইশরাত শামীম, প্রফেসর সাদেকা হালিম, সিটি ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. এনআরএম বোরহান উদ্দীন, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. গোলাম রহমান, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালের উপ-উপাচার্য প্রফেসর নাজমুল আহ্সান কলিমউল্লাহ্, ও তথ্য কমিশনার প্রফেসর ড. খুরশিদা বেগম।
×