ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশের পোশাকশিল্প অচিরেই শীর্ষস্থান দখল করবে ॥ আঙ্কটাড মহাসচিব

প্রকাশিত: ০৪:৩০, ২১ জুলাই ২০১৬

বাংলাদেশের পোশাকশিল্প অচিরেই শীর্ষস্থান দখল করবে ॥ আঙ্কটাড মহাসচিব

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের উদীয়মান তৈরি পোশাকশিল্প অচিরেই বিশ্বের শীর্ষস্থান দখল করবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন বিষয়ক সংস্থা আঙ্কটাডের মহাসচিব ড. মুখিসা কিটুই। তিনি বলেন, তৈরি পোশাকশিল্প খাতে বাংলাদেশের অগ্রগতির দৃষ্টান্ত বিশ্বের যেকোন দেশের জন্য অনুকরণীয়। কেনিয়ায় সফররত শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর সঙ্গে বৈঠককালে এ অভিমত ব্যক্ত করেন আঙ্কটাডের মহাসচিব। নাইরোবীর কেনিয়া ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে গত মঙ্গলবার এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন তারা। বাংলাদেশসহ স্বল্পোন্নত দেশগুলোর শিল্পায়ন ও বিনিয়োগপ্রবাহ বাড়াতে আঙ্কটাডের সহায়তা জোরদারের বিষয়ে আলোচনা হয় ওই বৈঠকে। এ সময় বাংলাদেশের উদীয়মান চামড়া, প্লাস্টিক, ওষুধ শিল্পের উন্নয়নের পাশাপাশি কেনিয়ায় বাংলাদেশী দক্ষ জনশক্তি রফতানির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বাংলাদেশের চামড়া, প্লাস্টিক, ওষুধ শিল্পের অগ্রগতির প্রশংসা করে আঙ্কটাডের মহাসচিব বলেন, এ তিন শিল্প খাতে বাংলাদেশের অর্জন বিশ্বের অন্য যেকোন দেশের জন্য রোল মডেল হতে পারে। বিশ্ব বাণিজ্যিক নেতাদের অবগতির জন্য এ তথ্য ওয়ার্ল্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরামের সমাপনী অধিবেশনে তুলে ধরার আশ্বাস দেন তিনি। একই সঙ্গে সামগ্রিক শিল্প খাতের অগ্রগতি সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য আঙ্কটাডের প্রতিনিধি দল শীঘ্রই বাংলাদেশ সফরের কথাও জানান তিনি। আঙ্কটাডের মহাসচিব বলেন, কেনিয়ায় এখনও প্রচুর অব্যবহৃত জমি রয়েছে। এসব জমিতে তুলা চাষের মাধ্যমে সুতা উৎপাদনের সুযোগ রয়েছে। তুলা থেকে সুতা উৎপাদনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ তুলা চাষী ও অভিজ্ঞ শ্রমিক আমদানির বিষয়ে শিল্পমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ড. মুখিসা কিটুই। বৈঠকে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, ইতোমধ্যে বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষস্থান দখল করেছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্প। সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা, উদ্যোক্তাদের দক্ষতা এবং মনোবলের কারণে বিশ্বমন্দার মাঝেও বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্পে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে দক্ষ তুলা চাষী ও শ্রমিক নেয়ার বিষয়ে আঙ্কটাড মহাসচিবের প্রস্তাবকে স্বাগত জানান শিল্পমন্ত্রী। এ বিষয়ে কেনিয়া সরকারের আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পেলে বাংলাদেশ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে বলে জানান তিনি। ব্রেক্সিটের প্রভাব পড়বে না বাংলাদেশে ॥ এডিবি অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বিশ্বব্যাপী অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ব্রিটেনের বিচ্ছেদ (ব্রেক্সিট) বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না বলে জানিয়েছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)। সংস্থাটির মতে, বিশ্বব্যাপী মন্দার সম্ভাবনা থাকলেও তৈরি পোশাক খাতনির্ভর বাংলাদেশের অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে। সম্প্রতি এডিবির প্রধান অর্থনীতিবিদ শ্যাং-জিন উয়ি এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে এশিয়ার উন্নয়নশীল মূল্যমান এবং স্টক মার্কেটে ব্রেক্সিটের প্রভাব পড়েছে। খুব কম সময়ের জন্য এটি অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ব্রেক্সিটের নেতিবাচক প্রভাব দীর্ঘায়িত হবে না। শ্যাং-জিন উয়ি বলেন, শিল্প প্রধান অর্থনীতির সম্ভাবনা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নীতি নির্ধারকদের অনেক বেশি সতর্ক থাকা উচিত। একইসঙ্গে এই অঞ্চলের প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাতে সাড়া দিতে প্রস্তুত থাকা উচিত। গত মার্চ মাসে এডিবির প্রকাশিত ক্রোড়পত্রে বলা হয়েছিল, ২০১৬ সালে এশিয়ার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে। এর আগে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার কথা বলেছিল সংস্থাটি। ২০১৭ সালে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৭ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এডিবি।
×