ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

সেনা অভ্যুত্থানের পরবর্তী লক্ষ্যস্থল পাকিস্তান!

প্রকাশিত: ০৪:২৩, ২১ জুলাই ২০১৬

সেনা অভ্যুত্থানের পরবর্তী লক্ষ্যস্থল পাকিস্তান!

তুরস্কের পর পাকিস্তানেই সামরিক অভ্যুত্থান ঘটতে যাচ্ছে কিনা হোয়াইট হাউস তা নিয়ে অনুমান ব্যক্ত করতে চায় না বলে জানিয়েছে। হোয়াইট হাউস পাকিস্তানের সঙ্গে ফলপ্রসূ সম্পর্ক বজায় রাখার আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত করেছে। খবর ডন অন লাইনের। চলতি সপ্তাহে ওয়াশিংটনের এক গবেষণা সংখ্যায় পাকিস্তানে কোন সামরিক অভ্যুত্থান ঘটার সম্ভাবনা পরীক্ষা করে দেখা হয়। বিষয়টি সোমবার বিকেলে হোয়াইট হাউসে সংবাদ ব্রিফিংয়ে আবারও উত্থাপিত হয়। যখন এক ভারতীয় সাংবাদিক এ বিতর্কের কথা উল্লেখ করেন এবং পাকিস্তানেই আগামীতে অভ্যুত্থান হতে যাচ্ছে কিনা সেই প্রশ্ন করেন। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জোশ আর্নেস্ট বলেন, আমি আরেক দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে অনুমান ব্যক্ত করতে যাচ্ছি না। পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের স্পষ্টতই এক গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। তিনি বলেন, পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্র সব বিষয়েই যে একমত, এমন নয়। কিন্তু তারা চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে লড়াই করা এবং উভয় দেশের নাগরিকদের রক্ষা করার পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ এমন বিভিন্ন জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে একযোগে কাজ করেছে। কর্মকর্তা উল্লেখ করেন যে, পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক তুরস্কের সঙ্গে এর সম্পর্ক থেকে ভিন্ন। পাকিস্তানের জনগণ কোন সামরিক অভ্যুত্থানকে স্বাগত জানাবে বলে পিটিআই নেতা ইমরান খানের চলতি সপ্তাহের বিবৃতি আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে গুরুত্বসহকারে প্রচার করা হয়। তিনি সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখল অনুমোদন করছেন বলেও কোন কোন খবরে অভিযোগও করা হয়। রবিবার আজাদ কাশ্মীরে এক সমাবেশে ইমরান খান বলেন, যদি পাকিস্তানে সেনাবাহিনী ক্ষমতা গ্রহণ করে, তবে মানুষ আনন্দ উল্লাস প্রকাশ ও মিষ্টি বিতরণ করবে। কোন কোন খবরে উল্লেখ করা হয় যে, ইমরানের সর্বশেষ মন্তব্যের মাত্র দিন কয়েক আগে পাকিস্তানের ১৩ শহরে সামরিক অভ্যুত্থানের পক্ষে রহস্যজনক পোস্টার চোখে পড়ে। ডনের সঙ্গে শেয়ার করা এক পৃথক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর বলেছে যে, পাকিস্তান হিংসাশ্রয়ী চরমপন্থার বিরুদ্ধে এক গুরুত্বপূর্ণ ও স্থায়ী অভিযান শুরু করেছে এবং সন্ত্রাসবাদীদের হাতে বিরাটভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয় যে, সন্ত্রাসবাদ দমনে পাকিস্তানের চেষ্টার প্রশংসা করলেও যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তান সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে খবুই স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, পাকিস্তানের অবশ্যই এর প্রতিবেশীদের ওপর হামলা চালিয়ে থাকে এমন জঙ্গী দলগুলোসহ সব জঙ্গী দলের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে হবে এবং তাদের সব নিরাপদ আস্তানা বন্ধ করে দিতে হবে। বিবৃতিতে বলা হয়, যদিও আমাদের ভিন্ন পরস্পর বিরোধী মত রয়েছে, তবু আমরা পাকিস্তানী কর্তৃপক্ষের কাছে সরাসরি মতামত তুলে ধরি। আমরা আমাদের এ উদ্বেগ গোপন রাখিনি যে, আফগান তালেবান ও হাক্কানি নেটওয়ার্ক পাকিস্তানী ভূখ- থেকে তৎপরতা চালিয়ে থাকে।
×