ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

উপবৃত্তির টাকা নয়ছয়

প্রকাশিত: ০৪:০৮, ২০ জুলাই ২০১৬

উপবৃত্তির টাকা নয়ছয়

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাত করায় প্রধান শিক্ষিকাকে অবরুদ্ধ করেছে অভিভাবকরা। মঙ্গলবার দুপুরে ১০৮ নং উত্তর বারইখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা ২ ঘণ্টা পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা খালেদা বেগমকে তার কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখেন। খবর পেয়ে কয়েকজন শিক্ষক নেতা ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে অভিভাবকদের দাবিকৃত বকেয়া টাকা ফেরত দিয়ে প্রধান শিক্ষিকাকে মুক্ত করেন। এ সময় ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা প্রধান শিক্ষিকার অপসারণ দাবি করেন। ভুক্তভোগী অভিভাবকদের অভিযোগ, ১ম শ্রেণীর ছাত্রী তামান্না আক্তারের নামে আসে ৯শ’ টাকা কিন্তু তাকে দেয়া হয়েছে ৩শ’। ১ম শ্রেণীর ইয়াতিম ছাত্র আব্দুল্লাহ পেয়েছে ৩শ’ অথচ স্বাক্ষর নেয়া হয়েছে ৯শ’ টাকার বিপরীতে। ৩য় শ্রেণীর সাদিয়া আক্তারকে দেয়া হয়েছে ৬শ’। তার নামে বরাদ্দ রয়েছে ১২শ’। ৪র্থ শ্রেণীর হাফিজুর মীর এর নামে ১২শ’ টাকা বরাদ্দ থাকলেও তাকে দেয়া হয়েছে ৬শ’। ৪র্থ শ্রেণীর চাঁদনী ও তার ভাই রাব্বির নামে ২৪শ’ টাকা মাস্টাররোলে পরিশোধ দেখানো হলেও তাদের দেয়া হয়েছে ১৮শ’ টাকা। ৪র্থ শ্রেণীর সিফাত উল্লাহ পিতা চান মিয়া বলেন, তার ছেলের নামে ১২শ’ টাকা মাস্টাররোলে পরিশোধ দেখিয়ে দিয়েছে মাত্র ৫শ’। ৩য় শ্রেণীর ছাত্র সজীবের মা মনিরা বেগম জানান, তার ছেলের নামে মাস্টাররোলে ১২শ’ টাকা পরিশোধ দেখিয়ে দিয়েছে মাত্র ৬শ’ টাকা। অভিভাবক শাহিনুর বেগমের ৩ সন্তানের নামে ২৭শ’ টাকা পরিশোধ দেখালেও মাত্র ১৫শ’ টাকা হাতে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ সম্পর্কে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের সহকারী শিক্ষা অফিসার মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, খুব দ্রুতই এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। কালকিনিতে নিজস্ব সংবাদদাতা, কালকিনি, মাদারীপুর থেকে জানান, কালকিনি উপজেলার ৩৬নং নবগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হালদার রানী বালার বিরুদ্ধে ছাত্র-ছাত্রীদের উপবৃত্তির টাকা প্রদানে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর এতে করে ওই বিদ্যালয়ের অভিভাবকরা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। জানা গেছে, নবগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উপবৃত্তিপ্রাপ্ত ৩৬৪ ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে ১২শ’ টাকা করে দেয়ার কথা থাকলেও প্রধান শিক্ষিকা হালদার রানী বালা অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে ৬শ’ টাকা করে প্রদান করেন এবং বাকি টাকা তিনি আত্মসাত করেন। এদিকে অনিয়মের ব্যাপারটি জানতে পেরে ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকরা ডিজি, জেলা প্রশাসক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
×