ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জ্বালানি খাতের বিদেশী পরামর্শকদের দেয়া হচ্ছে কড়া নিরাপত্তা

প্রকাশিত: ০৪:২১, ১৪ জুলাই ২০১৬

জ্বালানি খাতের বিদেশী পরামর্শকদের দেয়া হচ্ছে কড়া নিরাপত্তা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সম্প্রতি গুলশানে জঙ্গী হামলার পর বিদ্যুত ও জ্বালানি খাতে কাজ করা বিদেশী প্রকৌশলী-পরামর্শকদের দেয়া হচ্ছে কড়া নিরাপত্তা। বিশেষ স্থাপনাগুলোতেও মোতায়েন করা হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য। এ খাতে নিয়োজিত বিদেশীরা এতে আশ্বস্ত হলেও; আতঙ্ক আছে তাদের মনে। এরই মধ্যে প্রত্যেক জেলায় ‘নিরাপত্তা নির্দেশনা’ পাঠানো হয়েছে জানিয়ে নীতিনির্ধারকরা বলছেন- গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার জন্য প্রয়োজন ‘বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী’। গুলশানের হোটেল আর্টিজান ট্র্যাজেডির পর নিরাপত্তা বিধানের নতুন ছক নিয়ে ভাবনা চলছে দেশের প্রায় প্রত্যেকটি খাতে। আতঙ্ক আছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মরত বিদেশীদেরও। বিদ্যুত ও জ্বালানি খাতের বিশেষ স্থাপনাগুলোর পাশাপাশি নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে এসব ক্ষেত্রে কাজ করা প্রায় দেড় হাজার বিদেশীর। নির্মাণাধীন ও চলমান বিদ্যুত প্ল্যান্টের মতো করেই সশস্ত্র প্রহরা বেড়েছে গ্যাসক্ষেত্রগুলোতেও। এতে আতঙ্ক পুরোপুরি না কাটলেও কিছুটা আশ্বস্ত বিদেশী কর্মীরা। ব্রিটিশ নাগরিক কেনেথ ব্যানার বলেন, আমাদের আবাসন এবং কর্মস্থলে নিয়মিত প্রহরার কারণে কিছুটা স্বস্তিতে আছি। পোল্যান্ডের নাগরিক মারেক লোক বলেন, বাড়তি নিরাপত্তায় আমরা খুব একটা আশঙ্কা বোধ করছি না। বিদ্যুত মন্ত্রণালয়ের নীতি প্রণয়নকারী শাখা পাওয়ার সেল বলছে, গুরুত্বপূর্ণ সবকটি স্থাপনায় রয়েছে বাড়তি সতর্কতা। তবে বৈশ্বিক হুমকির শঙ্কায় ভবিষ্যতে বিদ্যুত ও জ্বালানি খাতের নিরাপত্তা দিতে আধুনিক ও বিশেষ বাহিনী গঠন করার কথা ভাবছে সরকার। বিদ্যুত ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, আমরা যতদূর সম্ভব নিরাপত্তা দেয়ার চেষ্টা করছি। এবং তারা সন্তুষ্ট কিনা এটার ব্যাপারে তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তিনি আরও বলেন, সিসি ক্যামেরা লাগালেই নিরাপত্তা বিধান হয়ে যায় না। বিভিন্ন স্থাপনার বিভিন্ন ধরনের নিরাপত্তা মাপকাঠি রয়েছে। ইনস্টলেশন, ইনফ্রাস্ট্রাকচার এগুলোর নিরাপত্তায় বিশেষ বাহিনী দরকার। উল্লেখ্য, এর আগে বিদেশী হত্যাকা-ের ঘটনায় গত বছরের অক্টোবরে নিরাপত্তার অজুহাতে সিদ্ধিরগঞ্জের এ প্রকল্পটি থেকেই ফিরে গিয়েছিল ৪১ স্প্যানিশ কর্মী।
×