ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ঈদে সৌদি আরবে ব্যয় ৪ লাখ কোটি টাকা

প্রকাশিত: ০৪:২৬, ১২ জুলাই ২০১৬

ঈদে সৌদি আরবে ব্যয় ৪ লাখ কোটি টাকা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সদ্য উদযাপিত ঈদ-উল-ফিতরে সৌদি আরবে ব্যয় হয়েছে প্রায় চার লাখ ১৮ হাজার কোটি টাকা। চলতি বছরের ঈদের এ ব্যয় আগের বছরের তুুলনায় প্রায় ২০০ শতাংশ বেশি। দেশটির অর্থনীতি বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে সৌদি গেজেটের এক খবরে বলা হয়েছেÑ এ বছর ঈদে সৌদি আরবের নাগরিকরা ভ্রমণ, বিনোদন, কেনাকাটা ও খাবারের পেছনে প্রায় ২০,০০০ কোটি সৌদি রিয়েল বা ৪ লাখ ১৭ হাজার ৮০০ কোটি টাকা খরচ করেছে। খবরে বলা হয়েছে, সাস্প্রতিক বছরগুলোতে অতিরিক্ত ব্যয় না করে সঞ্চয়ে আগ্রহী করতে ব্যাপক প্রচারণার পরও দেশটিতে দিন দিন অপ্রয়োজনীয় খরচ বাড়ছেই। এ বিষয়ে আব্দুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক হাবিবুল্লাহ তুর্কিস্তানী বলেন, এবারের ঈদের ব্যয় দেখে মনে হয় সৌদি আরবের মানুষের ব্যয় করার সামর্থ্য দ্বিগুণ হয়েছে। তবে এজন্য তিনি দেশটির বিভিন্ন শপিংমল ও মার্কেটের বিক্রেতাদের দক্ষতাকেও একটি কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আল বিলাদ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের এক সদস্য ইব্রাহীম আল সুবেইও মনে করেন, সুপার শপ ও শপিংমলগুলো সৌদি আরবের ক্রেতাদের বেশি আকৃষ্ট করতে পারছে। তাই সৌদি আরবের লোকদের ক্রয় করার ক্ষমতার তুলনায় তাদের মধ্যে কৃত্রিম চাহিদা বাড়ছে। তবে সুপার শপ ও শপিংমলগুলোর জৌলুসময় আহ্বানে আকৃষ্ট হয়ে অতিরিক্ত অর্থ খরচ করা বুদ্ধিমানের কাজ না বলে মন্তব্য করেছেন ওই ব্যাংকার। তিস্তার চরগুলো পরিণত হয়েছে বাদাম অঞ্চলে অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ রংপুরের তিস্তার চরগুলো পরিণত হয়েছে বাদাম অঞ্চলে। চরের যেদিকেই চোখ যায় চোখে পড়ে সবুজাভ বাদাম আর বাদাম। চলছে জমি থেকে গাছ সংগ্রহ আর শুকানোর কাজ। কৃষি বিভাগ বলছে, নানামুখী প্রণোদনায় চরের মানুষের ভাগ্য খুলেছে। তিস্তার চরাঞ্চলজুড়ে এখন আর চিকচিকে রূপালী বালুর দেখা মেলে না। শুষ্ক মৌসুমের এ সময়টায় বালুচাপা পড়েছে থোকা থোকা বাদাম গাছের পদতলে। চরগণাই, বিশ্বনাথ চর, আরাজি হরিশ্বরসহ বিভিন্ন চরজুড়েই এখন বাদাম আর বাদাম। চলছে জমি থেকে তা সংগ্রহ আর শুকানোর উৎসব। কৃষকরা বলছেন, পতিত এই চরে আবহাওয়া বাদাম চাষের অনুকূলে হওয়ায় ফলন ভাল হয়েছে। এক সময়ের মঙ্গাপীড়িত এ চরাঞ্চলের মানুষরা কাজের সন্ধানে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাড়ি জমালেও এখন তারা এ চরে কাজ করেই স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন। রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক স. ম. আশরাফ আলী বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এবং তাপসহিষ্ণু ফসলের দিকে ঝুঁকছেন তারা। এরই অংশ হিসেবে চরাঞ্চলগুলোকে বাদাম চাষের আওতায় আনা হয়েছে।
×