ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

৯ দিন পর প্রাণবন্ত বেনাপোল স্থলবন্দর

প্রকাশিত: ০৩:৫৪, ১১ জুলাই ২০১৬

৯ দিন পর প্রাণবন্ত বেনাপোল স্থলবন্দর

স্টাফ রিপোর্টার, বেনাপোল ॥ ঈদ উপলক্ষে টানা নয় দিনের ছুটি শেষে রবিবার যশোরের বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল স্থলবন্দরের মধ্যে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য শুরু হয়েছে। বেলা সাড়ে ১১টায় আমদানি-রফতানি কার্যক্রম শুরুর পর যথারীতি প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে বন্দর। পণ্য লোড-আনলোডে ব্যস্ত সময় পার করেন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, কাস্টমস ও বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। রবিবার সকালে বেনাপোল স্থলবন্দর ঘুরে দেখা যায়, আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত কাস্টমস, বন্দর, সিঅ্যান্ডএফ, ট্র্রান্সপোর্ট, ব্যাংক ও ইনস্যুরেন্স অফিস খুলেছে এবং এসব প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন। অফিস খুলেছে বন্দরের পণ্য লোড-আনলোডের সঙ্গে জড়িত শ্রমিক ইউনিয়নগুলো। বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস কার্গো শাখার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শাহ আলম মিয়া জানান, ছুটি শেষে কাস্টমস হাউজের প্রতিটি শাখায় অফিসিয়াল কার্যক্রম শুরু হয়েছে। টানা নয় দিন বন্ধের পর আমদানি-রফতানি শুরু হওয়ায় ব্যস্ততা কিছুটা বেড়েছে। তিনি আরও জানান, বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত আধা ঘণ্টায় এ পথে ভারত থেকে আমদানি করা পণ্য নিয়ে ৫০টি ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে। চলছে রফতানি বাণিজ্যও। বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) নিতাই চন্দ্র সেন জানান, ছুটি শেষে বেশিরভাগ কর্মী কর্মস্থলে ফিরে আসায় যথারীতি অফিসিয়াল কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ছুটিতে আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকায় বন্দরে আটকে থাকা পণ্য দ্রুত খালাসের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। বন্দর সূত্রে জানা গেছে, দেশের অর্থনীতিতে বেনাপোল বন্দরের ভূমিকা অনেক। স্থলপথে ভারত থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ৮০ ভাগই আসে এ বন্দর দিয়ে। এ পথে পণ্য পরিবহন খরচও কম। বেনাপোল বন্দর থেকে ভারতের কলকাতা শহরের দূরত্ব মাত্র ৮৪ কিলোমিটার। আড়াই থেকে তিন ঘণ্টায় একটি ট্রাক কলকাতা থেকে পণ্য নিয়ে বেনাপোল বন্দরে পৌঁছতে পারে। প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৩০০ থেকে ৩৫০ ট্রাক পণ্য আমদানি করা হয়। রফতানি হয় ১৫০ থেকে ২০০ ট্রাক পণ্য। এছাড়াও বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাঁচা মালের পাশাপাশি বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যও আসে এ বন্দর দিয়ে। এতে আমদানিকারকদের বেনাপোল বন্দর ব্যবহারে বরাবরই আগ্রহ রয়েছে। প্রতিবছর এ বন্দর থেকে সরকার প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার রাজস্ব পায়।
×