ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

যশোরে ট্রেন ও প্রাইভেটের সংঘর্ষে হত ৫

প্রকাশিত: ০৬:১৩, ২৪ জুন ২০১৬

যশোরে ট্রেন ও প্রাইভেটের সংঘর্ষে হত ৫

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ সদর উপজেলার মথুরাপুর-মানিকদিহি জামতলা রেলক্রসিংয়ে ট্রেন ও প্রাইভেটকারের মধ্যে সংঘর্ষে ৫ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন-যশোরের কেশবপুর উপজেলার খতিয়াখালি গ্রামের জয়া রাণী দাস (৫৫), খতিয়াখালি গ্রামের সুব্রত দাসের ছেলে বাঁধন দাস (১৮), উপজেলার তীরের হাট গ্রামের নিত্যরঞ্জন দাসের ছেলে চয়ন দাস (১২), কেশবপুরের বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা সমতা ওয়ার্ল্ড ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল ইসলাম (৩৮) এবং তার গাড়ি চালক বাইশা গ্রামের আব্দুল হাকিম (৩২)। আহত হয়েছেন তীরের হাট গ্রামের নিত্যরঞ্জন দাসের স্ত্রী দিপিকা রাণী দাস (৩৫)। প্রত্যক্ষদর্শী কামরুল ইসলাম জানান, যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়ক থেকে নেমে এসে ছোট সড়কের এই রেলক্রসিংয়ে প্রাইভেটকারটি উঠে পড়লে দ্রুতগামী ট্রেনটি এসে ধাক্কা দেয়। প্রায় ১শ’ মিটার ঠেলে নিয়ে যাওয়ার পর গাড়িটি ছিটকে পড়ে। দুর্ঘটনার পর স্থানীয়দের সহায়তায় হতাহতদের উদ্ধার করে যশোর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। উপজেলার তীরের হাট গ্রামের চিত্তরঞ্জন দাস জানান, তার বৌদি দিপিকা রাণী পিতার বাড়ি কেশবপুরের খতিয়াখালি গ্রাম থেকে শ্বশুরবাড়ি সদর উপজেলার তীরের হাট গ্রামে আসছিলেন। সঙ্গে তার মা জয়া রাণী, ছেলে চয়ন, ভাইয়ের ছেলে বাঁধন এবং একই এলাকার রেজাউল ইসলাম রাজু নামে এক ব্যক্তি ও তার গাড়িচালক ছিলেন। দুর্ঘটনায় দিপিকার মা জয়া, ছেলে চয়ন ও তার ভাইয়ের ছেলে বাঁধন নিহত এবং তিনি (দিপিকা) আহত হয়েছেন। এছাড়া রাজু ও তার গাড়িচালক আব্দুল হাকিম নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ঘটনাস্থলে নিহত জয়া রাণীর লাশ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাকিদের যশোর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালে আনার পথে মারা যান রাজু, হাকিম ও চয়ন। আর যশোর হাসপাতাল থেকে খুলনায় উন্নত চিকিৎসার জন্য নেয়ার পথে মারা যান বাঁধন। যশোর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক কল্লোল সাহা বলেন, হাসপাতালে আনার পর তিনজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। আহত একজনের চিকিৎসা চলছে। আরেকজনকে খুলনা হাসপাতালে রেফার করা হয়।
×