ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন ২০১৬ মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ২১ জুন ২০১৬

রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন ২০১৬ মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ পদ্মাতীরের রাজশাহীকে পরিকল্পিত নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ এবং ইমারত নির্মাণ বা জলাশয় ভরাটের জন্য জেল-জরিমানার বিধান রেখে একটি আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ‘রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৬’ নামের এই আইনের অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। বর্তমান রাজশাহী উন্নয়ন কর্তপক্ষ (আরডিএ) ১৯৭৬ সালের ‘রাজশাহী টাউন ডেভেলপমেন্ট অর্ডিনেন্স’ অনুযায়ী চলছিল জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সামরিক শাসনামলে জারিকৃত অধ্যাদেশ উচ্চ আদালত বাতিল করায় সেটি এখন আইনে পরিণত করা হয়েছে। তিনি বলেন, নতুন আইনে ৯টি অধ্যায় ও ৭টি ধারা রয়েছে রয়েছে। একটা কর্র্তপক্ষ গঠনের প্রস্তাব রয়েছে। এখানে একজন চেয়ারম্যান ও চারজন সর্বক্ষণিক সদস্য থাকবেন। এছাড়াও পদাধিকারবলে বাইরের কিছু সদস্য থাকবেন। রাজশাহী জেলা প্রশাসক, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপসচিব পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় মনোনীত জাতীয় গৃহায়ন অধিদফতরের প্রতিনিধি, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও পরিকল্পনা বিভাগের প্রধান, স্থাপত্য অধিদফতরের প্রতিনিধিসহ মোট ১৫ জন সদস্য থাকবেন কমিটিতে। এই কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া ভবন নির্মাণ ও পুকুর খনন করা যাবে না। অনুমোদন ছাড়া ভবন নির্মাণ ও পুকুর খনন করা হলে কর্তৃপক্ষ তা বন্ধের নির্দেশ দেবে। এই নির্দেশের পরেও নির্মাণকাজ অব্যাহত থাকলে কর্তৃপক্ষ সেগুলো উচ্ছেদ করবে। এমনকি আরডিএ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া জলাশয় ভরাট করা যাবে না। শফিউল আলম বলেন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আদলে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ হবে। ভূমির যৌক্তিক ব্যবহার নিশ্চিত করা, শহরের জন্য মহাপরিকল্পনা গ্রহণ ও সে অনুযায়ী কাজ করা হলো এর মূল দায়িত্ব। অর্থাৎ একটা পরিকল্পিত নগর তৈরির দায়িত্ব রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে দেয়া হয়েছে। আইনে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে যা ভঙ্গ করলে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমোদন ছাড়া কেউ কোন ইমারত নির্মাণ বা পুকুর খনন করতে পারবে না। সিটি করপোরেশন, পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদ, যে কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে কোন নির্মাণ বা পুকুর খননের জন্য কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে, অনুমতি ছাড়া করা নির্মাণ করা যাবে না। কেউ নিচু জমি বা জলাশয় ভরাট করতে পারবে না, কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। আইনের লঙ্ঘন করলে অনধিক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা এক বছর কারাদ- বা উভয় দ-ে দ-িত হওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। আগের অধ্যাদেশে শুধু ৫ হাজার টাকা জরিমানা ছিল বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
×