ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

মূল আসামি শরীফ বন্দুকযুদ্ধে নিহত ;###;সরাসরি জড়িত ছিল অভিজিত, তনয়, নীলাদ্রী, মোর্শেদ, দীপন, ওয়াশিকুর, নাজিমউদ্দিন ও টুটুল হত্যায় নির্দেশদাতা সেলিমকে খোঁজা হচ্ছে

গুপ্তহত্যার তথ্য মিলছে

প্রকাশিত: ০৫:০৬, ২০ জুন ২০১৬

গুপ্তহত্যার তথ্য মিলছে

শংকর কুমার দে ॥ অভিজিত রায় খুনসহ অন্তত দশটি টার্গেট কিলিং বা গুপ্তহত্যার নেপথ্য নায়ক আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সামরিক ও আইটি শাখার শীর্ষ পর্যায়ের প্রশিক্ষক পুরস্কার ঘোষিত জঙ্গী নেতা শরীফ বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। শনিবার রাত পৌনে ৩টায় খিলগাঁও থানার মেরাদিয়া এলাকার বাঁশপট্টি নামক জায়গায় ডিবি পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে শরীফুল ওরফে সাকিব ওরফে শরীফ ওরফে সালেহ ওরফে আরিফ ওরফে হাদি। অভিজিত রায় ছাড়াও জুলহাস মান্নান ও তনয় হত্যা, নীলাদ্রী নীলয়, শান্তা মারিয়ম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রিয়াদ মোর্শেদ বাবু, প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন, ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান বাবু, নাজিমউদ্দিন সামাদ এবং প্রকাশক আহম্মেদ রশীদ টুটুল হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি ছিল শরীফ। অভিজিত রায় হত্যাকা-ে সরাসরি অংশ নেয়া ছাড়াও শরীফ বিভিন্ন অপারেশনের সদস্য নির্বাচন ও সংগ্রহে প্রধান ভূমিকা পালন করত। যে ছয় জঙ্গীকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য সম্প্রতি পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে, তার অন্যতম শরীফ বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়া ছাড়াও অপর পুরস্কার ঘোষিত জঙ্গী সুমন গ্রেফতারের পর রিমান্ডে এনে ডিবি হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদাধীন আছে। এই সুমনের জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই গ্রেফতার অভিযানে নেমে ডিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় শরীফ। ডিবি সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ব্লগার ও লেখক মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার অভিজিত রায় হত্যায় সরাসরি অংশ নেয় শরীফ। ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের সাবেক কর্মকর্তা ও ইউএসএআইডির কর্মকর্তা জুলহাস মান্নান ও তার বন্ধু নাট্যকর্মী মাহবুব রাব্বী তনয় খুনের সঙ্গেও শরীফ অংশ নেয়। যুক্তরাষ্ট্র এ দুটি খুনের ঘটনায় তাদের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই বাংলাদেশে এসে তদন্ত করা ছাড়াও অন্যান্য টার্গেট কিলিং বা গুপ্তহত্যা বন্ধে সহায়তা দেয়ার প্রস্তাবসহ মারাত্মক প্রতিক্রিয়া দেখানোর ঘটনার মধ্যেই এসব খুনে অংশগ্রহণকারী একজন দুর্ধর্ষ জঙ্গী নেতা বন্দুকযুদ্ধে নিহত হলো। ডিবি সূত্র জানায়, ২০১৩ সালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে সৃষ্ট গণজাগরণ মঞ্চের শীর্ষস্থানীয় কর্মী প্রগতিশীল লেখক ও ব্লগার রাজীব হায়দারকে পল্লবীতে তার নিজ বাড়ির সামনে কুপিয়ে হত্যার মধ্য দিয়ে একই কায়দায় কুপিয়ে টার্গেট কিলিং বা গুপ্তহত্যার একের পর এক ঘটনা ঘটতে থাকে। কিন্তু গুপ্তহত্যার ঘটনাগুলো কারা কিভাবে ঘটিয়ে অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে তার রহস্য উদ্ঘাটনে মরিয়া হয়ে ওঠে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা। দুই-একটি ঘটনায় গ্রেফতারের দাবি করা হলেও গুপ্তহত্যা বন্ধ করা যাচ্ছিল না। একের পর এক গুপ্তহত্যার শিকারে পরিণত হতে থাকে বিদেশী নাগরিক, শিক্ষক, ব্লগার, লেখক, প্রকাশক, পুরোহিত, ধর্মযাজক, পুলিশ ও তাদের পরিবারের সদস্যরাও। গত ৫ জুন চট্টগ্রামে পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতুকে খুনের ঘটনার পর টার্গেট কিলিং বা গুপ্তহত্যা বন্ধে সাঁড়াশি অভিযানে মাঠে নামানো হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাকে। সাঁড়াশি অভিযানের মধ্যেই টার্গেট কিলিং ঘটতে থাকলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার গ্রেফতার অভিযানের জাল আরও বিস্তৃত করা হয়। এরই মধ্যে ধরা পড়ে পুরস্কার ঘোষিত ছয় জঙ্গীর একজন সুমন। তাকে গ্রেফতারের পর রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তার দেয়া তথ্যানুযায়ী গ্রেফতার অভিযানে নামে ডিবি। ডিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় শরীফ। শরীফ সম্পর্কে যা বলা হয় ॥ ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্মকমিশনার আব্দুল বাতেন বলেছেন, অভিজিতসহ সাতজন হত্যার নেপথ্যে ছিল বন্দুকযুদ্ধে নিহত শরীফ। এই সাতজনের বাইরেও অন্যান্য খুনের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা থাকার কথা জানা গেছে। রবিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, শনিবার রাত পৌনে ৩টায় খিলগাঁও থানার মেরাদিয়া এলাকার বাঁশপট্টি নামক জায়গায় ডিবি পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে শরীফুল ওরফে সাকিব ওরফে শরীফ ওরফে সালেহ ওরফে আরিফ ওরফে হাদি নিহত হয়। অভিজিত রায়কে সে নিজেই কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে পুলিশের দাবি। এছাড়াও বিভিন্ন অপারেশনের সদস্য নির্বাচন ও সংগ্রহে সে প্রধান ভূমিকা পালন করত। নীলাদ্রী নীলয়, শান্তা মারিয়ম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রিয়াদ মোর্শেদ বাবু, প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন, ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান বাবু, নাজিমউদ্দিন সামাদ, জুলহাস মান্নান ও তনয় হত্যা এবং প্রকাশক আহম্মেদ রশীদ টুটুল হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি ছিল শরীফ নিহত শরীফ নিষিদ্ধ ঘোষিত আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সামরিক ও আইটি শাখার শীর্ষ পর্যায়ের একজন প্রশিক্ষক ছিল বলেও জানিয়েছেন ডিবির এই কর্মকর্তা। বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজীর ছাত্র শরীফের বাড়ি খুলনা এলাকায়। তিনি একটি বেসরকারী এনজিওতে চাকরি করতেন বলে গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য ছিল। যেভাবে ধরা পড়ে শরীফ ॥ গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, সুমন পাটোয়ারী জিজ্ঞাসাবাদে শরীফের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য দেয়। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গোয়েন্দারা রাতে মেরাদিয়ায় অভিযান চালায়। এ সময় একটি মোটরসাইকেলে থাকা তিন যুবক ডিবি পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। ডিবি পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে শরীফ আহত হয় এবং বাকি দুইজন তাকে ফেলে পালিয়ে যায়। গুলিবিদ্ধ জনই হচ্ছে শরীফ। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। ওই মোটরসাইকেলে সেলিম ছিল না। পুলিশের কাছে তার শারীরিক বর্ণনা আছে যে, সে দেখতে লম্বা ও মোটাসোটা। কিন্তু যে দুইজন মোটরসাইকেলে ছিল তারা মাঝারি আকৃতির যুবক। এর আগে গত ১৫ জুন একই দলের সদস্য সুমন হোসেন পাটোয়ারী ওরফে সিহাব ওরফে সাকিব ওরফে সাইফুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুদ্ধস্বরের প্রকাশক আহমেদুর রশীদ টুটুল হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই সুমনের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতেই শরীফসহ অন্যদের গ্রেফতার করতে গেলে ডিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ ঘটে। এতে নিহত হয় শরীফ। অভিজিত রায় হত্যাকা-ে নিশ্চিত কিভাবে ॥ বন্দুকযুদ্ধে নিহত শরীফই যে অভিজিত রায় হত্যাকারীদের একজন তা নিশ্চিত হলেন কিভাবে? এ প্রশ্নের জবাবে ডিবির কর্মকর্তা আবদুল বাতেন বলেন, ‘আমরা টিএসসির ভিডিওফুটেজ মিলিয়ে দেখেছি। তাছাড়া আমাদের কাছে আগে থেকেই তথ্য ছিল শরীফ অভিজিত হত্যাকা-ে অংশ নেয়। তার গ্রামের বাড়ি খুলনার সাতক্ষীরায়। বন্দুকযুদ্ধের পর ওই সব তথ্য মিলিয়ে আমরা নিশ্চিত হয়েছি শরীফ অভিজিতের হত্যাকারী। অন্যান্য হত্যাকা-ে শরীফের কী কী ভূমিকা ছিল? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে আব্দুল বাতেন বলেন, সে মূলত পরিকল্পনাকারী ও প্রশিক্ষক। জুলহাস ও তনয় হত্যাকা-ে তার টিম অংশ নিয়েছিল। ওয়াশিকুরের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে। জাগৃতির প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা, তেজগাঁওয়ে ওয়াশিকুর রহমান বাবু হত্যা এবং সূত্রাপুরে সংঘটিত ব্লগার নাজিমউদ্দিন সামাদ, কলাবাগানে জুলহাস মান্নান ও তনয় হত্যার অন্যতম পরিকল্পনাকারী হিসেবেও তার বিষয়ে তথ্য পাওয়া গেছে। অভিজিত রায় হত্যাকা-ের তদন্তে সিসিটিভি ফুটেজে তার উপস্থিতি ধরা পড়েছে বলে জানান গোয়েন্দা কর্মকর্তা। এ ছাড়াও শরীফ আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সামরিক প্রশিক্ষণ দেয়া ছাড়াও আইটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিত। এছাড়া বিভিন্ন অপারেশনের সদস্য নির্বাচন ও সংগ্রহে প্রধান ভূমিকা পালন করে সে। প্রতিটি ঘটনায় তার সরাসরি উপস্থিতি পাওয়া গেছে তদন্তে। পুলিশ বলছে, সাকিব, শরীফ, সালেহ, আরিফ ও হাদি নাম ব্যবহার করে পরিচয় গোপন করে আসছিলেন শরিফুল। বন্দুকযুদ্ধে নিহত শরীফকে ধরিয়ে দিতে পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। জঙ্গী আস্তানার সন্ধান ॥ গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, সম্প্রতি রাজধানীর মোহাম্মদপুর, সাতারকুলসহ বিভিন্ন এলাকায় জঙ্গী আস্তানার সন্ধান পান গোয়েন্দারা। এসব জঙ্গী আস্তানায় অভিযান চালিয়ে সংগঠনটির বিভিন্ন নথিপত্র পান তারা। বিভিন্ন অভিযানে গ্রেফতার আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্যদের কাছ থেকে পাওয়া গেছে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন তথ্যও। একজন আধ্যাত্মিক নেতা (বুজুর্গ বলে তারা) সংগঠনটির নেতৃত্বে থাকেন। তিনি সংগঠনের পক্ষে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন লোকের সঙ্গে সম্পর্ক রাখেন। তার পরে থাকে সংগঠনটির একজন অপারেশনাল প্রধান। তিনি সব হত্যার পরিকল্পনা করেন ও নির্দেশনা দেন ও সার্বিক মনিটরিং করেন। সেই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে কর্মীদের রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বাসাভাড়া নিয়ে অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দিত শরীফ। সে বিভিন্ন হত্যার অভিযান সমন্বয়ও করত। হত্যা যেখানে করা হতো ওই এলাকায় অবস্থানও করত শরীফ। কে এই জঙ্গী সেলিম ॥ সেলিম নামে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের উচ্চপর্যায়ের এক সদস্য রয়েছেন। এই সেলিম নির্দেশনা দেন যে, কখন কাকে হত্যা করতে হবে, কেন হত্যা করতে হবে, কোন এলাকায় কিভাবে গিয়ে হত্যা করতে হবেÑ তার তথ্য সংগ্রহ করে নির্দেশনা দেন সেলিম। এছাড়া যারা হত্যায় অংশ নেবেন তাদের মোটিভেশনাল ট্রেনিং দেন। নিজেদের যুক্তি তুলে ধরে সংগঠনের পক্ষ থেকে কেন ওই লোককে হত্যা করা জরুরীÑ তাও সেলিম ব্যাখ্যা করেন। হত্যা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আগে শরীফ ও সেলিম তাদের একজন অপারেশনাল প্রধানের (বড় ভাই) সঙ্গে বৈঠক করতেন। অপারেশনাল প্রধানের সঙ্গে বৈঠকে হত্যায় সংগঠনের লক্ষ্য কিভাবে বাস্তবায়ন হবেÑ সেটিও তুলে ধরতেন সেলিম ও শরীফ। এরপর যাকে হত্যা করতে হবে তার গতিবিধির ওপর নজরদারি বাড়াতেন। তার বাসা ও কর্মস্থলের এলাকা তারা সাতদিন আগে রেকি করতেন। এজন্য তারা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় তাদের ভাড়াবাসায় বসতেন। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের এ রকম বেশকিছু ভাড়াবাসার তথ্য সংগ্রহ করেছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। সেলিমকে ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে। অবশিষ্ট চারজন ॥ প্রগতিশীল লেখক, প্রকাশক ব্লগার হত্যায় জড়িত সন্দেহভাজন যে ছয় জঙ্গী সদস্যকে ধরিয়ে দিতে পুলিশ মাসখানেক আগে পুরস্কার ঘোষণা করেছিল, তাদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে নিহত দ্বিতীয়জন ছিল শরীফুল। গত ১৯ মে লেখক অভিজিত রায়, প্রকাশক ফয়সাল আরেফিনসহ (দীপন) অন্তত ১০টি হত্যায় জড়িত সন্দেহে ছয়জনকে ধরিয়ে দিতে তাদের নাম ও ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশ করে ডিএমপি। এই ছয়জন হলেনÑ সুমন, শরিফুল, সেলিম, সিফাত, রাজু ও সাজ্জাদ। তাদের ধরিয়ে দিলে দুই লাখ থেকে পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। পুলিশ বলছে, পুরস্কার ঘোষিত ছয়জনের মধ্যে সুমনকে গত বুধবার রাতে রাজধানী থেকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি প্রকাশক আহমেদুর রশীদকে (টুটুল) হত্যাচেষ্টায় জড়িত। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সুমন ধরা পড়ার পর বাকি থাকে পাঁচজন। পাঁচজনের মধ্যে শরীফ নামের একজন বন্দুকযুদ্ধে নিহত হলো। এখন অবশিষ্ট রয়েছে পুরস্কার ঘোষিত আরও চারজন। এই চারজন হচ্ছেÑ সেলিম, সিফাত, রাজু ও সাজ্জাদ। এই চারজনসহ অন্যদের ধরার জন্য অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। যে কোন সময় এই চারজনের গ্রেফতারের বিষয়েও চাঞ্চল্যকর খবর চলে আসতে পারে বলে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা আশাবাদী।
×