স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক গৃহবধূকে গভীর রাতে হাত-পা বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করেছে চিহ্নিত দুই বখাটে। রক্তাক্ত জখম অবস্থায় প্রতিবেশীরা হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় মিতু বেগমকে (২৬) উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে থানায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ তাৎক্ষণিক এক বখাটেকে গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার দুপুরে গ্রেফতারকৃত বখাটে আলামিন হাওলাদারকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। ঘটনাটি জেলার গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত বংকুরা গ্রামের।
জানা গেছে, ওই গ্রামের মহিউদ্দিন মোল্লা ঢাকায় সেনেটারি মিস্ত্রির কাজ করেন।
তার স্ত্রী মিতু বেগম কন্যাসন্তান নিয়ে বাড়িতে বসবাস করেন। এ সুযোগে একই গ্রামের মৃত করমআলী বেপারীর পুত্র নুরজামাল ও মৃত হামেদ হাওলাদারের পুত্র আলামিন দীর্ঘদিন থেকে তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। বখাটেদের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তারা হুমকি প্রদর্শন করে।
এ ঘটনায় দেড় মাস পূর্বে গৃহবধূ মিতু বেগম বাদী হয়ে বখাটে নুরজামাল ও আলামিনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বখাটেরা মামলা উত্তোলনের জন্য মিতু বেগমকে চাপ প্রয়োগ করে। এ ঘটনার জের ধরে বুধবার রাত দেড়টার দিকে দুই বখাটে ঘরের জানালা ভেঙ্গে প্রবেশ করে মিতু বেগমের মুখ, হাত ও পা বেঁধে ধর্ষণের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। একপর্যায়ে মিতুর সাত বছরের বড় মেয়ে ঘুম থেকে জেগে বিষয়টি দেখে চিৎকার শুরু করে। তার চিৎকারে পার্শ¦বর্তী বাড়ির লোকজন এগিয়ে এলে বখাটেরা পালিয়ে যায়। পরে রাতেই মুমূর্ষু অবস্থায় মিতু বেগমকে গৌরনদী উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
