ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সাঁড়াশি অভিযানের নামে সিলেটে পুলিশের বাণিজ্য

প্রকাশিত: ০৭:২১, ১৬ জুন ২০১৬

সাঁড়াশি অভিযানের নামে সিলেটে পুলিশের বাণিজ্য

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট অফিস ॥ সাঁড়াশি অভিযানের নামে ঘুষ বাণিজ্য শুরু করেছে সিলেট মহানগরের শাহপরান (রহ.) থানা পুলিশ। সরাসরি এ ঘুষের অভিযোগ উঠেছে থানার এসি ও ওসির বিরুদ্ধে। নিরীহ লোককে আটক করে থানায় নিয়ে মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ঘুষ আদায়ের প্রতিবাদে মঙ্গলবার গভীর রাতে এলাকাবাসী থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভও করেছে। শাহপরান (রহ.) থানা পুলিশের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন থেকেই নানা অভিযোগ রয়েছে। তবে সদ্য সাঁড়াশি অভিযান শুরু হওয়ার পর উল্লেখযোগ্য দাগী কোন অপরাধী ও জঙ্গী আটক না করলেও নিরীহ মানুষ আটক করে বাণিজ্য শুরু করেছে থানার সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা। অনুসন্ধানে জানা যায়, ৯ জুন গভীর রাতে শহরতলীর শাহপরান মাজার সংলগ্ন বাসা থেকে আনোয়ার হোসেনের ছেলে ছাত্রলীগ নেতা আলী হোসেনকে আটক করে ওসি শাহজালাল মুন্সির নেতৃত্বে একদল পুলিশ। একপর্যায়ে তাকে ডাকাতি মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে মোটা অংকের টাকা দাবি করে। জানতে পেরে খাদিমপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আফসর আহমদ ওসির সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তাকে পাত্তা দেয়া হয়নি। দুইদিন থানায় আটক রাখার পর আলীর বাবার কাছ থেকে ৬৫ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে ওসি তাকে মেট্রো আইনে আদালতে পাঠায়। এ টাকার একটি অংশ যায় এসি সাজ্জাদের পকেটে। এর পরদিন সুরমাগেট নিজ ওয়ার্কশপ থেকে পাভেল নামের এক যুবককে আটক করে এএসআই ইব্রাহীম। তার বিরুদ্ধে চোরাই মোবাইল ব্যবহারের অভিযোগ তোলে। এরপর সাজন নামের আরেকজনকে আটক করে থানায় নেয়া হয়। এদেরও দুইদিন থানায় আটক রেখে ৫৮ হাজার টাকা নিয়ে শনিবার রাতে মুচলেখা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। একইদিন রাতে মেজরটিলার জুবেদকে টিলাগড় পয়েন্ট থেকে আটক করে এসআই ফজলে মাসুদ। এ সময় তার ব্যবহৃত প্রাইভেটকার আটক করে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। তিনি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গাড়িটি থানায় নিয়ে যায়। পরে থানায় গাড়ির কাগজপত্র দাখিল করার পর এসআই ফজলে মাসুদ ৫০ হাজার টাকা ছাড়িয়ে গিয়ে এক লাখ টাকা দাবি করে। তবে টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় জুবেদকে গাড়ি চুরির মামলায় আদালতে প্রেরণ করে।
×