ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

টোয়েন্টি ওয়ানে অসীম হালদারের একক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী

প্রকাশিত: ০৮:২৪, ৯ জুন ২০১৬

টোয়েন্টি ওয়ানে অসীম হালদারের একক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গ্যালারিতে প্রবেশ করেই প্রথমে চোখে পড়ে মানুষের মাথার খুলির গলার অংশ থেকে বের হয়েছে গাছের শেকড়, কোন মাথার অংশে রয়েছে পাখি, একটি মাথার খুলির ওপর আর একটি ছোট মাথার খুলি বসিয়ে বোঝানো হয়েছে মা ও শিশুর অবয়ব, ফুলদানির ওপর বসে আছে পাখি। প্রদর্শনীতে স্থান পাওয়া কাজগুলোর মধ্যে সব ক’টিই সিরামিক ভাস্কর্য। এগুলো তৈরি করেছেন তরুণ ভাস্কর অসীম হালদার সাগর। সিরামিকের এসব ভাস্কর্য নিয়ে ধানম-ির গ্যালারি টোয়েন্টিওয়ান গ্যালারিতে চলছে শিল্পী অসীম হালদার সাগরের তৃতীয় একক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী ‘মুভিং রুটস’। প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের যে নিবিড় সম্পর্ক, মা ও সন্তানের মধ্যে যে ভালবাসার বন্ধন, দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে প্রকৃতি ও পারিপার্শিকতা যেভাবে ওতপ্রোত হয়ে আছে তারই প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে শিল্পীর শিল্পকর্মগুলোতে। শিল্পী বললেন, আমি সব সময় চাই সুন্দর পৃথিবীর শান্তময় পরিবেশ, যেখানে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে বেড়ে উঠবে সব প্রাণী। আর এ কারণেই আমার শিল্পকর্মের মূল ভাবনার বিষয় বন্ধুত্বপূর্ণ শান্তিময় সুন্দর সমাজ। এই প্রদর্শনীর কাজের মাধ্যমে প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের এক শান্তিময় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নির্মাণের প্রয়াশ চালিয়েছি। শিল্পি অসীম হালদার সাগরের সিরামিক মিডিয়ায় স্কাল্পচার করার ধারণা একেবারেই নতুন এবং আলাদা। তার ভাষ্য মতে, প্রকৃতিকে উপজীব্য করে শান্তিপূর্ণ সমাজ ব্যবস্থায়, মানুষ প্রকৃতি ও প্রাণীর এক ধরনের মেলবন্ধন উপস্থাপন করা হয়েছে এ প্রদর্শনীতে। এ স্কাল্পচারগুলো ক্রিস্টালাইন, ক্রাক, সলট ও ওয়েল স্পট গ্লেজ দিয়ে তৈরি। এই সময়ের শিল্পের ধারা ও প্রবণতাসমূহের ব্যাপারে কৌতূহলী শিল্পী অসীম। তার শিল্প অনুশীলনে জীবন ও সময়কে প্রকাশ করতে চান, যে জীবন বর্তমান ও যে সময় প্রবহমান। তার শিল্পকর্মে উপকরণ ও উপস্থাপন একই সঙ্গে রীতিনিষ্ঠ ও রীতিবিরোধী হয়ে উঠতে চায়। তিনি সমকালীন শিল্পকলা প্রচলিত প্রথাগত কাঠামো ভেঙ্গে নিজেকে প্রসারিত করতে চান। প্রর্শনীতে স্থান পেয়েছে শিল্পীর সদ্য নির্মিত ৩১টি শিল্পকর্ম। প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলা এ প্রদর্শনী শেষ হবে আগামীকাল শুক্রবার।
×