ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আবাহনী শীর্ষে

প্রকাশিত: ০৬:৪১, ৮ জুন ২০১৬

আবাহনী শীর্ষে

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শীর্ষে যাওয়া কঠিন। তবে শীর্ষস্থান ধরে রাখা আরও কঠিন। ‘গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স প্রিমিয়ার বিভাগ হকি লীগ’-এ মঙ্গলবার ক্ষণিকের জন্য পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আরোহণ করেছিল আবাহনী লিমিটেড। মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দিনের প্রথম ম্যাচে তারা ৬-০ গোলে হারায় আজাদ স্পোর্টিং ক্লাবকে। খেলার প্রথমার্ধে ‘দ্য স্কাই ব্লু ব্রিগেড’রা এগিয়েছিল ২-০ গোলে। নিজেদের অষ্টম ম্যাচে এটা তাদের ষষ্ঠ জয়। ২ ড্রতে তাদের সংগ্রহ ২০ পয়েন্ট। পক্ষান্তরে সিনজেদের সপ্তম ম্যাচে আজাদের এটা ষষ্ঠ হার। তাদের সংগ্রহ ৩ পয়েন্ট। খেলা শেষে আবাহনী ‘আপাতত’ পয়েন্ট টেবিলের এক নম্বর দলে পরিণত হয়েছিল। কিন্তু পরের ম্যাচেই ঊষা ক্রীড়া চক্র ৫-০ গোলে এ্যাজাক্স স্পোর্টিং ক্লাবকে হারালে আবাহনী আবারও নেমে যায় দ্বিতীয় স্থানে, ঊষা ফের ফিরে পায় শীর্ষস্থান। নিজেদের অষ্টম ম্যাচে এটা ঊষার সপ্তম জয়। আগের ১ ড্রতে তাদের মোট পয়েন্ট ২২, যা দ্বিতীয় স্থানে থাকা আবাহনীর চেয়ে ২ পয়েন্ট বেশি। পক্ষান্তরে নিজেদের অষ্টম ম্যাচে এ্যাজাক্সের এটা পঞ্চম হার। তাদের সংগ্রহ ৭ পয়েন্ট। আবাহনীর হয়ে জোড়া গোল করেন পাকিস্তানী ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ ইরফান এবং শাকিল আব্বাসি। এছাড়া ১টি করে গোল করেন দুই বাংলাদেশী মাকসুদ আলম হাবুল এবং ফরহাদ আহমেদ শিটুল। এবার মোটেও আশানুরূপ দল গড়তে পারেনি আজাদ। খেলোয়াড়দের সবাই অনভিজ্ঞ ও তরুণ। ফলে দলটিও দুর্বল। পক্ষান্তরে আবাহনী পুরোপুরি বিদেশীনির্ভর দল। এখানেই দুই দলের পার্থক্য। ঊষা-এ্যাজাক্স ম্যাচে ঊষার পাকিস্তানী খেলোয়াড় আলীম বেলাল একাই করেন তিন গোল। তবে হ্যাটট্রিক করতে পারেননি। আলীমের প্রথম দুটি গোলই ছিল পেনাল্টি কর্নার (পিসি) থেকে করা। এছাড়া জাতীয় দলে খেলা কৃতী ফরোয়ার্ড পুস্কর ক্ষিসা মিমো করেন জোড়া গোল। দুটোই ফিল্ড গোল। এ লীগে প্রতিটি দল (১২টি) পরস্পরের বিরুদ্ধে একবার করে লীগ পদ্ধতিতে খেলবে। প্রথমপর্ব শেষে সর্বোচ্চ পয়েন্ট পাওয়া ৬ দল খেলবে সুপার সিক্স লীগে। লীগের প্রতিটি খেলায় বিজয়ী দল ৩, ড্র হলে ১ ও হারলে শূন্য পয়েন্ট পাবে। প্রথমপর্বে অর্জিত পয়েন্ট যোগ করে প্রিমিয়ার বিভাগে সুপার সিক্স লীগের স্থান নির্ধারিত হবে। প্রথমপর্বের গোলসংখ্যা সুপার সিক্সে যোগ হবে না। শুধুমাত্র সুপার সিক্সে পক্ষে এবং বিপক্ষে গোল স্থান নির্ধারণের জন্য ধরা হবে। তবে এ নিয়ম চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। প্রথমপর্ব ও সুপার সিক্স খেলা শেষে সর্বোচ্চ পয়েন্ট পাওয়া দলকে লীগ চ্যাম্পিয়ন ও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পয়েন্ট পাওয়া দলকে রানার্সআপ হিসেবে ঘোষণা করা হবে। তবে পয়েন্ট সমান হলে গোল পার্থক্য ধরা হবে না। সর্বোচ্চ পয়েন্ট অর্জনকারী দলের সংখ্যা বেশি হলে প্লে অফ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। ওই ম্যাচ ড্র হলে পেনাল্টি শূট আউটের মাধ্যমে খেলার ফল নিষ্পত্তি করা হবে। চলমান লীগে এখন পয়েন্ট টেবিলের ভিত্তিতে সুপার সিক্সে খেলার পথে এগিয়ে আছে যে ৬টি দল তারা হলো : ঊষা (২২ পয়েন্ট), আবাহনী (২০), মেরিনার (১৯), মোহামেডান (১৭), ওয়ান্ডারার্স (১৩) এবং বাংলাদেশ এসসি (৯)।
×