ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

অবৈধ মিয়ানমার নাগরিকদের ফেরত পাঠাতে আলোচনা চলছে

প্রকাশিত: ০৯:১৮, ৭ জুন ২০১৬

অবৈধ মিয়ানমার নাগরিকদের ফেরত পাঠাতে আলোচনা চলছে

সংসদ রিপোর্টার ॥ অবৈধভাবে বিপুলসংখ্যক মিয়ানমার নাগরিকের অনুপ্রবেশের ফলে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এলাকার নিরাপত্তার, জনমিতিক বিন্যাস, অর্থনীতি এবং সামাজিক পরিবেশের ওপর প্রতিকূল প্রভাব পড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরে চলমান এই পরিস্থিতি এই অঞ্চলের সার্বিক অবস্থাকে ক্রমশই নাজুক করে তুলছে। তাই সরকার শরণার্থী ও অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারী মিয়ানমার নাগরিকদের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। অনুপ্রবেশকারীদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে সে দেশের সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে। সোমবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারী দলের সংসদ সদস্য দিদারুল ইসলামের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্ব টেবিলে উত্থাপন করা হয়। মন্ত্রী জানান, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এলাকাটি ভৌগলিক, ভূ-প্রাকৃতিক ও কৌশলগত কারণে বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর একটি অঞ্চল। কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় অবস্থিত দুটি রেজিস্টার্ড ক্যাম্পে বর্তমানে ৩২ হাজার ৮৯৪ শরণার্থী এবং ক্যাম্পের বাইরে প্রায় ৩ থেকে ৫ লাখ অবৈধ অনুপ্রবেশকারী মিয়ানমার নাগরিকদের উপস্থিতির ফলে দেশের ওপর প্রতিকূল প্রভাব পড়ছে। এসব ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াও সরকারের পক্ষ থেকে ক্যাম্প ব্যবস্থাপনা বাবদ প্রতিবছর প্রায় ৭৬ লাখ টাকা ব্যয় করা হচ্ছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে আরও জানান, শরণার্থী ও অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারী মিয়ানমার নাগরিকদের তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে আমরা মিয়ানমার সরকার এবং জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। কুয়েতে অন-এ্যারাইভাল ভিসা ॥ সংসদ সদস্য সেলিম উদ্দিনের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারী ব্যক্তিরা কুয়েতে অন-এ্যারাইভাল ভিসা সুবিধা পাবেন। সম্প্রতি কুয়েতের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরকালে বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টের ক্ষেত্রে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে এটি সম্ভব হবে। তিনি জানান, কুয়েত সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশীদের ক্ষেত্রে কঠোর ভিসা নীতি অনুসরণ করে আসছিল। কিন্তু এই সফরকালে কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারী ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যা বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারী ব্যক্তিবর্গ কুয়েতে আগমনী (অন এ্যারাইভাল) ভিসা সুবিধা পাবেন।
×